০৭:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

উপজেলা পরিষদ মাঠে এখন জলালয় দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

পঁচা দুর্গন্ধ আর থই থই করছে পানি। মাঠের কোথাও কম আবার কোথাও বেশি পানি। সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাশয়ে পরিণত হয়। প্রথমে দেখলে পুকুর বা জলাশয় মনে হলেও আসলে এটা আত্রাই উপজেলার পরিষদ মাঠ। যে মাঠে তরুণদের খেলাধুলা কথা থাকলেও এখন খেলা করে হাঁসের দল। দীর্ঘদিন ধরে এ মাঠটি পানিতে তলিয়ে আছে। স্থানীয়রা বলছেন পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা যাদের করার প্রয়োজন তারা যেন দেখেও দেখা না।
একসময় প্রতিদিন বিকালে এ মাঠে খেলতে আসতো আশে পাশের কিশোরেরা। ফুটবল বা ক্রিকেটের আয়োজন করা হতো এখানে। হতো বিভিন্ন সভা-সমাবেশও। কিন্তু এই মাঠটি প্রায় দুই মাস ধরে পানির নিচে তলিয়ে আছে। এই বিষয় নেই কারো মাথাব্যথা।
স্থানীয়রা জানান, মাঠে দীর্ঘদিন পানি জমে থাকার কারণে মাঠের ঘাস পঁচে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়েছে এবং পানিতে পোকা এবং মশা উৎপত্তি শুরু হয়েছে। মাঠের পাশ্বে বেশ কয়েকটি সরকারি দপ্তর রয়েছে তারাও এই বিষয়ে নেয় না কোন উদ্যোগ। আরো কয়েকজন ব্যক্তি বলেন, উপজেলা পরিষদের ভবনের সাথেই এই পরিষদ মাঠ, উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তা আসেন দীর্ঘদিন এখানে থাকেন এবং চলেও যান। কিন্তু এই পরিষদ মাঠের বেহাল দশা এই বিষয়টা তাদের নজরে আসে না।
আত্রাই যুব উন্নয়ন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান সোহাগ বলেন, আমাদের ক্লাবের সদস্যসহ এই মাঠে বিভিন্ন ক্লাবের সদস্যরা নিয়তির খেলাধুলা করতো, কিন্তু এখন মাঠে পানি জমে থাকায় প্রায় দুই মাস ধরে খেলাধুলা বন্ধ আছে। এভাবে আর কিছুদিন থাকলে হয়তো ক্লাবগুলোই অচল হয়ে পড়বে। বিষয় এখনই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরী।
বেশ কয়েকজন তরুণ খেলোয়াড়রা জানান, আমরা প্রতিনিয়ত এই মাঠে আগে খেলতাম, এখন মাঠে দীর্ঘদিন ধরে পানি জমে থাকার কারণে আমরা মাঠে খেলতে পারছি না। অন্যদিকে এই মাঠ ছাড়া উপজেলায় আর কোন মাঠ নেই। তাই দ্রুত মাঠের পানি নিষ্কাশনের মাধ্যমে মাঠ খেলার উপযোগী করে তোলার জন্য অনুরোধও জানান তারা।
এদিকে উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসার এস এম নাসির উদ্দিন বলেন, মাঠে পানি জমে থাকার কারণে যুবকরা ঠিকমতো খেলাধুলা করতে পারছে না। তবে খুব দ্রুতই মাটির সংস্কার করা হবে এবং যুবকরা আবারও মাঠে খেলা করবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাকিবুল হাসান বলেন, একদিকে মাঠটি নিচু অন্যদিকে মাঠের চারপাশের ভবন হওয়ায় সামান্য পানি হলেই মাঠে পানি জমে থাকছে। আমারা ২৫-২৬ অর্থ বছরে সরকারের কাছ থেকে বড় বরাদ্দ নিয়ে মাঠটি উঁচু করে এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থার মাধ্যমে চিরতরে সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করব।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

দামুড়হুদায় ডিবি পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযান ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার ১

উপজেলা পরিষদ মাঠে এখন জলালয় দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

পোস্ট হয়েছেঃ ০৮:৫২:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫
পঁচা দুর্গন্ধ আর থই থই করছে পানি। মাঠের কোথাও কম আবার কোথাও বেশি পানি। সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাশয়ে পরিণত হয়। প্রথমে দেখলে পুকুর বা জলাশয় মনে হলেও আসলে এটা আত্রাই উপজেলার পরিষদ মাঠ। যে মাঠে তরুণদের খেলাধুলা কথা থাকলেও এখন খেলা করে হাঁসের দল। দীর্ঘদিন ধরে এ মাঠটি পানিতে তলিয়ে আছে। স্থানীয়রা বলছেন পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা যাদের করার প্রয়োজন তারা যেন দেখেও দেখা না।
একসময় প্রতিদিন বিকালে এ মাঠে খেলতে আসতো আশে পাশের কিশোরেরা। ফুটবল বা ক্রিকেটের আয়োজন করা হতো এখানে। হতো বিভিন্ন সভা-সমাবেশও। কিন্তু এই মাঠটি প্রায় দুই মাস ধরে পানির নিচে তলিয়ে আছে। এই বিষয় নেই কারো মাথাব্যথা।
স্থানীয়রা জানান, মাঠে দীর্ঘদিন পানি জমে থাকার কারণে মাঠের ঘাস পঁচে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়েছে এবং পানিতে পোকা এবং মশা উৎপত্তি শুরু হয়েছে। মাঠের পাশ্বে বেশ কয়েকটি সরকারি দপ্তর রয়েছে তারাও এই বিষয়ে নেয় না কোন উদ্যোগ। আরো কয়েকজন ব্যক্তি বলেন, উপজেলা পরিষদের ভবনের সাথেই এই পরিষদ মাঠ, উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তা আসেন দীর্ঘদিন এখানে থাকেন এবং চলেও যান। কিন্তু এই পরিষদ মাঠের বেহাল দশা এই বিষয়টা তাদের নজরে আসে না।
আত্রাই যুব উন্নয়ন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান সোহাগ বলেন, আমাদের ক্লাবের সদস্যসহ এই মাঠে বিভিন্ন ক্লাবের সদস্যরা নিয়তির খেলাধুলা করতো, কিন্তু এখন মাঠে পানি জমে থাকায় প্রায় দুই মাস ধরে খেলাধুলা বন্ধ আছে। এভাবে আর কিছুদিন থাকলে হয়তো ক্লাবগুলোই অচল হয়ে পড়বে। বিষয় এখনই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরী।
বেশ কয়েকজন তরুণ খেলোয়াড়রা জানান, আমরা প্রতিনিয়ত এই মাঠে আগে খেলতাম, এখন মাঠে দীর্ঘদিন ধরে পানি জমে থাকার কারণে আমরা মাঠে খেলতে পারছি না। অন্যদিকে এই মাঠ ছাড়া উপজেলায় আর কোন মাঠ নেই। তাই দ্রুত মাঠের পানি নিষ্কাশনের মাধ্যমে মাঠ খেলার উপযোগী করে তোলার জন্য অনুরোধও জানান তারা।
এদিকে উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসার এস এম নাসির উদ্দিন বলেন, মাঠে পানি জমে থাকার কারণে যুবকরা ঠিকমতো খেলাধুলা করতে পারছে না। তবে খুব দ্রুতই মাটির সংস্কার করা হবে এবং যুবকরা আবারও মাঠে খেলা করবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাকিবুল হাসান বলেন, একদিকে মাঠটি নিচু অন্যদিকে মাঠের চারপাশের ভবন হওয়ায় সামান্য পানি হলেই মাঠে পানি জমে থাকছে। আমারা ২৫-২৬ অর্থ বছরে সরকারের কাছ থেকে বড় বরাদ্দ নিয়ে মাঠটি উঁচু করে এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থার মাধ্যমে চিরতরে সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করব।