০৭:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্কুলের গাছ কেটে হজম করেছে প্রধান শিক্ষক

 মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ধানখোলা মাঝের পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাজেদুল আলম শাহীন মিয়ার বিরুদ্ধে বিদ্যালয় চত্বরে থাকা একটি পুরাতন পেও গাছ বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, তিনি গত মাসে কোন প্রকার রেজুলেশন বা সরকারী অনুমোদন ছাড়াই গাছ বিক্রি করে দেন। পুরাপুরি নিজের সিদ্ধান্তে গাছ বিক্রি করে। বিষয়টি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সহকারী শিক্ষা অফিসার ও বর্তমান বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ওবাইদুল্লার দৃষ্টি গোচর করা হলেও এই সংবাদ লেখা পর্যন্ত যথাযথ কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। বিষয়টি জানা জানি হওয়ার পর এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। সরকারী কর্মকর্তাদের ভূমিকা নিয়েও উঠছে নানান প্রশ্ন।ধানখোলা গ্রামের স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, ৩০ বছরের বেশি বয়সী একটি পেও গাছ। গাছটি অনেক বড় এবং গাছের কাঠও পাকা। গাছটি প্রায় ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। বিক্রিত টাকার একটি অংশ স্থানীয় বাসিন্দা আজিজুল হক ফতুকে ৭ হাজার টাকা প্রদান করেন। স্থানীয়রা আরও বলেন বিক্রির বিষয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির কোনো সিদ্ধান্ত ছিল না এবং এ নিয়ে কোনো লিখিত অনুমোদনও গ্রহণ করা হয়নি। বিষয়টি সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জানা সত্বেও প্রয়োজনীয় কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।এদিকে গাছ বিক্রির অভিযোগকে ভিত্তিহীন দাবি করে ওই জমিটিও স্কুলেরই নয় বলে জানিয়েছেন ধানখোলা মাঝের পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাজেদুল আলম (শাহিন মিয়া)। তিনি বলেন জমি মাপামাপির পর ওই জমিটি স্থানীয় ফতুর আলীর হয়। সেই ব্যক্তি গাছটি বিক্রি করেছেন আমার এবিষয়ে জানা নেই।এদিকে স্থানীয় আজিজুল হক ফতু জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জমিটি মেপে গাছটি স্কুলের মধ্যে পড়লে সে গাছ বিক্রি করে দেয়। তবে আমাকে তিনি পরে ৭ হাজার টাকা দিয়েছে।গাছটির ক্রেতা কাঠ ব্যবসায়ী ধাখোলা গ্রামের শফিরুল ইসলাম বলেন স্কুল কতৃপক্ষ গাছটি বিক্রি করেছে। আমি ক্রয় করি। তবে দাম জানতে চাইলে শফিরুল সটকে পরেন। এবং এবিষয়ে আর কথা বলতে চাইনি।সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও বর্তমান বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ ওবাইদুল্লাহ প্রধান শিক্ষকের পক্ষে সাফাই দিয়ে বলেন এটা পার্শ্ববর্তী জমির মালিকের গাছ, তারা কেটেছে। এলাকাবাসী ও পাশ্ববর্তী জমির মালিকদের অভিযোগটি আবারো তাকে জানানো হলে তিনি কোনসদুত্তর দিতে পারনি এবং এই প্রতিনিধিকে সরাসরি দেখা করে বিষয়টি বুঝিয়ে বলবেন বলে জানান।  উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রশিদের কাছে বিষয়টি জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন এত খুটিনাটি বিষয় সব সময় নজরে থাকে না। তবে গাছ কাটা হয়ে থাকলে অবশ্যই অন্যায় হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।  তবে স্থানীয় সচেতন মহল এ ঘটনার তদন্ত এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

বাড়ছে গোমতী নদীর পানি, কুমিল্লায় বন্যার শঙ্কা

স্কুলের গাছ কেটে হজম করেছে প্রধান শিক্ষক

পোস্ট হয়েছেঃ ০৮:৪৮:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫

 মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ধানখোলা মাঝের পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাজেদুল আলম শাহীন মিয়ার বিরুদ্ধে বিদ্যালয় চত্বরে থাকা একটি পুরাতন পেও গাছ বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, তিনি গত মাসে কোন প্রকার রেজুলেশন বা সরকারী অনুমোদন ছাড়াই গাছ বিক্রি করে দেন। পুরাপুরি নিজের সিদ্ধান্তে গাছ বিক্রি করে। বিষয়টি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সহকারী শিক্ষা অফিসার ও বর্তমান বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ওবাইদুল্লার দৃষ্টি গোচর করা হলেও এই সংবাদ লেখা পর্যন্ত যথাযথ কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। বিষয়টি জানা জানি হওয়ার পর এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। সরকারী কর্মকর্তাদের ভূমিকা নিয়েও উঠছে নানান প্রশ্ন।ধানখোলা গ্রামের স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, ৩০ বছরের বেশি বয়সী একটি পেও গাছ। গাছটি অনেক বড় এবং গাছের কাঠও পাকা। গাছটি প্রায় ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। বিক্রিত টাকার একটি অংশ স্থানীয় বাসিন্দা আজিজুল হক ফতুকে ৭ হাজার টাকা প্রদান করেন। স্থানীয়রা আরও বলেন বিক্রির বিষয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির কোনো সিদ্ধান্ত ছিল না এবং এ নিয়ে কোনো লিখিত অনুমোদনও গ্রহণ করা হয়নি। বিষয়টি সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জানা সত্বেও প্রয়োজনীয় কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।এদিকে গাছ বিক্রির অভিযোগকে ভিত্তিহীন দাবি করে ওই জমিটিও স্কুলেরই নয় বলে জানিয়েছেন ধানখোলা মাঝের পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাজেদুল আলম (শাহিন মিয়া)। তিনি বলেন জমি মাপামাপির পর ওই জমিটি স্থানীয় ফতুর আলীর হয়। সেই ব্যক্তি গাছটি বিক্রি করেছেন আমার এবিষয়ে জানা নেই।এদিকে স্থানীয় আজিজুল হক ফতু জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জমিটি মেপে গাছটি স্কুলের মধ্যে পড়লে সে গাছ বিক্রি করে দেয়। তবে আমাকে তিনি পরে ৭ হাজার টাকা দিয়েছে।গাছটির ক্রেতা কাঠ ব্যবসায়ী ধাখোলা গ্রামের শফিরুল ইসলাম বলেন স্কুল কতৃপক্ষ গাছটি বিক্রি করেছে। আমি ক্রয় করি। তবে দাম জানতে চাইলে শফিরুল সটকে পরেন। এবং এবিষয়ে আর কথা বলতে চাইনি।সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও বর্তমান বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ ওবাইদুল্লাহ প্রধান শিক্ষকের পক্ষে সাফাই দিয়ে বলেন এটা পার্শ্ববর্তী জমির মালিকের গাছ, তারা কেটেছে। এলাকাবাসী ও পাশ্ববর্তী জমির মালিকদের অভিযোগটি আবারো তাকে জানানো হলে তিনি কোনসদুত্তর দিতে পারনি এবং এই প্রতিনিধিকে সরাসরি দেখা করে বিষয়টি বুঝিয়ে বলবেন বলে জানান।  উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রশিদের কাছে বিষয়টি জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন এত খুটিনাটি বিষয় সব সময় নজরে থাকে না। তবে গাছ কাটা হয়ে থাকলে অবশ্যই অন্যায় হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।  তবে স্থানীয় সচেতন মহল এ ঘটনার তদন্ত এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।