
জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার নিলক্ষিয়া ইউনিয়নের মানজালিয়া এলাকায় সংঘটিত চাঞ্চল্যকর গণধর্ষণ মামলায় পুলিশ একাধিক আসামিকে গ্রেফতার করেছে। বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ শনিবার মামলার প্রধান আসামি রাশেদুর রহমান ওরফে পাপ্পু (৩০) এবং নিলক্ষিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আশরাফুল ইসলামসহ তিনজনকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে।
থানা সূত্রে জানা গেছে, এজাহারভুক্ত চারজনসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও দুইজন মোট ছয়জনকে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে। ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত সকল আসামিকে আইনের আওতায় আনতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, গ্রেফতারকৃত ইউপি সদস্য আশরাফুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরেই ক্ষমতার অপব্যবহার করে এলাকায় নানা অপরাধে লিপ্ত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলায় নাম আসায় এলাকায় চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।
ভুক্তভোগী নারীর জবানিতে জানা যায়, চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি তিনি স্বামীর সঙ্গে মানজালিয়ায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। তার স্বামী পেশায় সিএনজি চালক। ঘটনার দিন তারা নিলক্ষীয়া বাজারে যাওয়ার উদ্দেশ্যে একটি অটোরিকশা ভাড়া করেন। পথে মানজালিয়া এলাকায় পৌঁছালে কয়েকজন দুর্বৃত্ত তাকে অটোরিকশা থেকে জোরপূর্বক নামিয়ে ফেলে। এরপর টেনেহিঁচড়ে স্থানীয় ফরিদের পরিত্যক্ত বাড়ির রান্নাঘরে নিয়ে গিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
ঘটনার পরই তিনি বকশীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটি স্থানীয় প্রশাসনের নজরকাড়া একটি স্পর্শকাতর ঘটনায় পরিণত হয়।এ বিষয়ে বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। এজাহারভুক্ত চারজনসহ ছয়জনকে ইতোমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। পলাতক আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এ ঘটনায় বকশীগঞ্জ জুড়ে জনমনে ক্ষোভ, প্রতিবাদ এবং অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি উঠে এসেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দ্রুত বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়া প্রয়োজন।