
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপির কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, আহত মহাসচিবের ভাই—এরপর সেই পুরনো দৃশ্যপট: দায় চাপানো শুরু! এবারও ব্যতিক্রম নয়। ঘটনাস্থল ঠাকুরগাঁও, চরিত্র বিএনপি, আর অভিযোগের নিশানা—জামায়াত।
১২ জুলাই ২০২৫, বালিয়াডাঙ্গী বিএনপির কাউন্সিল শেষে ফলাফল ঘোষণার পর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ভাই মির্জা ফয়সাল আমিনের গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় তিনি এবং আরও কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন।
তড়িঘড়ি করে পুলিশ ও প্রশাসন উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। ইউএনও পলাশ কুমার দেবনাথ জানান, “কাউন্সিল চলাকালীন হঠাৎ বিশৃঙ্খলা শুরু হয়, এবং একাধিক ব্যক্তি হামলার শিকার হন। তদন্ত চলছে।”
হামলার পরদিন (১৩ জুলাই) নাটকীয়ভাবে পাল্টে যেতে থাকে বিবৃতি ও অবস্থান। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের ওপর হা*মলা চালিয়েছেন সৈয়দ আলম,মাহবুবুর রহমান পন্থীরা-সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন জেলা বিএনপি।এই দাবির ভিত্তিতে ঠাকুরগাঁও বালিয়াডাঙ্গী বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনের ফলাফল স্থগিত করেছেন নির্বাচন কমিশন।
কিন্তু পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় উপজেলা বিএনপির সম্পাদক অভিযোগ তোলে—এই হামলার নেপথ্যে রয়েছে জামায়াত ও আওয়ামী লীগের লোকজন! তাদের দাবি, বিএনপির অভ্যন্তরীণ ঐক্য নষ্ট করতেই এ ষড়যন্ত্র।
পুলিশ বলছে, এখনো নির্দিষ্ট করে কাউকে শনাক্ত করা যায়নি, তবে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ভাষায়, এ ঘটনা বিএনপির অভ্যন্তরে দীর্ঘদিনের কোন্দলের বহিঃপ্রকাশ। আবারও দেখা গেল—নিজেদের সংঘর্ষ ঢাকতে বাইরের শত্রুর গল্প!
বছরের পর বছর ধরে একই নাটক: নিজেরা মারামারি, আর দোষ জামায়াতের কাঁধে!
এদিকে কেন্দ্রীয় বিএনপির পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি।