
আমি বাঁচতে চাই, আমাকে সাহায্য করুন,আমিও আর দশজনের মতো চলতে চাই।
চোখের সামনে যন্ত্রণায় ছটফট করছে নাড়ি ছেঁড়া ধন। আর গর্ভধারিণী মা সেই সন্তানের সামনে বসে কাঁদছেন। এখন কান্নায় যেন তাদের একমাত্র সম্বল।
এক অসহায় পরিবারের আর্তনাদ নাম তাহার সাবিনা খাতুন বয়স ২২-২৪ হবে তাহার এই বয়সে মরন বেদি ফুসফুসে ক্যান্সার। অর্থের অভাবে কেমোথেরাপি দিতে পারছে না। সাবিনা খাতুনের বাড়ি সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার রতনকান্দি ইউনিয়নের ফুল বয়ড়া
গ্রামে। তিনি দরিদ্র একটি পরিবারের মেয়ে। সাবিনার কোন ভাই নেই তার শুধু চার টা বোন। সাবিনার বাবা ছিলেন একজন দিনমজুর সাইফ উদ্দিন বড় বোনের বিয়ে হয়ে যায় । বাবার কষ্ট সইতে না পেরে ক্লাস সেভেনে পড়া অবস্থায় পারি জমান ঢাকা গার্মেন্টসের চাকরি করতে।চাকরি করে বাবা মায়ের জন্য কিছু করে টাকা পাঠায় এ ভাবেই চলে কয়েক বছর। বড় আর একটি বোনকে বিয়ে দেয়। তার পর সাবিনা কুমিল্লা জেলার সুজন নামের একটি ছেলের সঙ্গে বিয়ে হয়। তার ঘরে আলো করে আসে একটি ছেলে একটি মেয়ে সন্তান। তার পর থেকেই তার পরিবারে আলোর প্রদীপ নিভে যেতে থাকে। বাবা চলে যান না ফেরার দেশে।
তারপর থেকে সাবিনা অসুস্থ বোধ করে। প্রথমে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা করে কোন উন্নতি না হওয়ায়
শেষে ঢাকা ক্যান্সার হাসপাতালে গিয়ে পরীক্ষার পর শুনতে পান তার ফুসফুসে ক্যান্সার। তখন থেকেই তার স্বামী সুজন চিকিৎসার খরচ চালিয়েছেন।
সুজনের চিকিৎসা করার মতো আর কোনো অবস্থা না থাকায় শাশুড়ি ফুল মালা খাতুন কে বলে কি করা যায়। সাবিনার মা ফুলমালা খাতুন গ্রামে বিভিন্ন লোকের থেকে ঋণ দেনা করে চিকিৎসা চালায় কিন্তু কোন উন্নতি হয়নি। সাবিনা তার স্বামী সুজনকে বলে আমি তো বাঁচবো না আমার ছেলে মেয়ে কে দেখবে কে? তাই তুমি আমার ছোট বোনকে বিয়ে করো। সুজন তার কথায় রাজি হয়ে বিয়ে করে। এই ভাবেই তার স্বামী ও মায়ের পরিবার সাবিনার চিকিৎসা ব্যয় বহন করতে গিয়ে সবকিছু হারিয়েছেন। এখন তার চিকিৎসার খরচ চালাতে পারছেন না পরিবার।
চিকিৎসক বলেছেন, ২১ দিন পর পর কেমোথেরাপি দিতে হবে।
সাবিনা খাতুন বলেন, আমি একটি নিম্নবিত্ত পরিবারের মেয়। আমার বাবা মারা গেছে আমার কোন ভাই নেই। আমিও বাঁচতে চাই কিন্তু আমার জন্য আমার মা আর কোথায় থেকে টাকা ধার নিবে? এমনিতে ই এক লক্ষ ত্রিশ হাজার টাকা ঋণ হয়েছে। সেই টাকাই দিতে পারছে না মানুষ টাকার জন্য চাপ দিচ্ছে এই দিকে কেমোথেরাপি দেওয়ার ডেট ওভার হয়ে গেছে।
চিকিৎসক বলেছে, ২১ দিন পর পর কেমোথেরাপি দিতে হবে। আমি এ পযন্ত ২০ টা দিয়েছি টাকার অভাবে আর দিতে পারছি না তিন মাস পার হয়ে গেছে।
জীবনের সব চেষ্টা যেন বৃথা হয়ে গেল। সাবিনা আরও বলেন, আমিও জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছি। অসুস্থতার শুরু থেকে বর্তমান পর্যন্ত অনেকের উৎসাহে আমার বাঁচার স্বপ্নটা অনেক বড় হয়ে গেছে। সকলের সাহায্য-সহযোগিতায় আমি এই সুন্দর পৃথিবীতে আরও কিছুদিন বাঁচতে চাই। এই মুহূর্তে ৪ লাখ টাকা জোগাড় করা আমার দরিদ্র মায়ের পক্ষে সম্ভব না। তাই সমাজের বিত্তবানদের প্রতি অনুরোধ আমি বাঁচতে চাই, আমাকে সহযোগিতা করুন। সাবিনা খাতুনের সঙ্গে কথা বলতে ও সহযোগিতার হাত বাড়াতে নিম্নোক্ত মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করুন। সাবিনা খাতুন
বিকাশ পারসোনাল * রকেট পারসোনাল ০১৩৪৩০৯২১৮০