১২:৩০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিরাজগঞ্জের রতনকান্দিতে টানা বৃষ্টি ও ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড ৪ গ্রামের ২০ থেকে ৩০ টা ঘরবাড়ি গাছপালাসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া টানা বৃষ্টি ও ঘূর্ণিঝড়ে উপজেলাব্যাপী অন্তত ৪ টি গ্রামের
বিশ ত্রিশ টা ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে। উপড়ে গেছে এবং ভেঙে পড়েছে গাছপালা ও ফসল। এছাড়াও  বৈদ্যুতিক খুঁটি, মুরগির ফার্ম ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাম গুলোতে  অসংখ্য নারী-পুরুষ ও শিশু আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার  (১৫ জুলাই) সকাল ১১ টা থেকে  ১২ টার দিকে সদর উপজেলার রতনকান্দিতে  এ ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে।  এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চর চিলগাছা গ্রামের ঠান্ডু , রফিকুল, আব্দুল মান্নান, মহির, হামিদ, সাকমান, আনোয়ার রহমত, খুকি,আব্দুল আলিমের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘরবাড়ি হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে এই এলাকার অধিকাংশ পরিবার।  সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত অনেকেই খোলা আকাশের নিচে  বসে কান্নাকাটি করতে দেখা যায়। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে। এসব এলাকায় প্রচুর পরিমাণ গাছপালা ভেঙে পড়ে আছে। ক্ষতিগ্রস্ত রুবেল  জানান, বৃষ্টি নেমেছে আমার পরিবার নিয়ে ঘরের ভিতর বসে আছি  হঠাৎ ঘূর্ণিঝড় শুরু হয়। এর আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে আমার সুখের সংসার।  কোনোভাবে প্রাণ রক্ষা করতে পেরেছেন তিনি ও তার পরিবার। প্রবল ঝড়ে সব উড়ে যাওয়ায় সন্তানদের  নিয়ে খোলা আকাশের নিচে সময় পার করছেন। একই গ্রামের আব্দুল আলিম বলেন,  সবকিছু হারিয়ে ছেলে মেয়ে  নিয়ে বিপাকে রয়েছেন। ঝড় অসহায় পরিবারটির বসতঘর লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে। এই ক্ষতি কীভাবে সামাল দেবেন তা জানা নেই আলিমের। এদিকে ক্ষতিগ্রস্তদের লিস্ট করা হচ্ছে তাদের ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে যাবতীয় সহযোগিতা করা হবে বলে জানিয়েছেন রতনকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক ডা.
মো. মেরাজ হোসেন মিসবাহ।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

হুজরাপুর মডেল একাডেমী প্রাঙ্গণে জলাবদ্ধতা অতি বৃষ্টিতে হাঁটু পানি, ব্যাহত পাঠদান

সিরাজগঞ্জের রতনকান্দিতে টানা বৃষ্টি ও ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড ৪ গ্রামের ২০ থেকে ৩০ টা ঘরবাড়ি গাছপালাসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

পোস্ট হয়েছেঃ ১১:৩৩:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া টানা বৃষ্টি ও ঘূর্ণিঝড়ে উপজেলাব্যাপী অন্তত ৪ টি গ্রামের
বিশ ত্রিশ টা ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে। উপড়ে গেছে এবং ভেঙে পড়েছে গাছপালা ও ফসল। এছাড়াও  বৈদ্যুতিক খুঁটি, মুরগির ফার্ম ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাম গুলোতে  অসংখ্য নারী-পুরুষ ও শিশু আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার  (১৫ জুলাই) সকাল ১১ টা থেকে  ১২ টার দিকে সদর উপজেলার রতনকান্দিতে  এ ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে।  এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চর চিলগাছা গ্রামের ঠান্ডু , রফিকুল, আব্দুল মান্নান, মহির, হামিদ, সাকমান, আনোয়ার রহমত, খুকি,আব্দুল আলিমের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘরবাড়ি হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে এই এলাকার অধিকাংশ পরিবার।  সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত অনেকেই খোলা আকাশের নিচে  বসে কান্নাকাটি করতে দেখা যায়। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে। এসব এলাকায় প্রচুর পরিমাণ গাছপালা ভেঙে পড়ে আছে। ক্ষতিগ্রস্ত রুবেল  জানান, বৃষ্টি নেমেছে আমার পরিবার নিয়ে ঘরের ভিতর বসে আছি  হঠাৎ ঘূর্ণিঝড় শুরু হয়। এর আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে আমার সুখের সংসার।  কোনোভাবে প্রাণ রক্ষা করতে পেরেছেন তিনি ও তার পরিবার। প্রবল ঝড়ে সব উড়ে যাওয়ায় সন্তানদের  নিয়ে খোলা আকাশের নিচে সময় পার করছেন। একই গ্রামের আব্দুল আলিম বলেন,  সবকিছু হারিয়ে ছেলে মেয়ে  নিয়ে বিপাকে রয়েছেন। ঝড় অসহায় পরিবারটির বসতঘর লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে। এই ক্ষতি কীভাবে সামাল দেবেন তা জানা নেই আলিমের। এদিকে ক্ষতিগ্রস্তদের লিস্ট করা হচ্ছে তাদের ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে যাবতীয় সহযোগিতা করা হবে বলে জানিয়েছেন রতনকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক ডা.
মো. মেরাজ হোসেন মিসবাহ।