
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)-এর শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রদানের জন্য সাময়িক সময়ের জন্য আর্থিক ক্ষমতা অর্পণ করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ জামিনুর রহমানের ওপর। কুয়েট-এ নতুন ভাইস-চ্যান্সেলর (উপাচার্য) নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্ব পালন করবেন।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব এ.এস.এম. কাসেম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এই তথ্য জানানো হয়।
এর ফলে দীর্ঘ তিন মাস পর কুয়েটের প্রায় ১১’শ শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তাদের বেতন-ভাতা পাওয়ার আশায় স্বস্তি ফিরে পেয়েছেন। গত ১৯ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে এ দায়িত্বে কেউ না থাকায় বন্ধ হয়ে যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক কার্যক্রম। ফলে টানা প্রায় তিন মাস ধরে বেতন-ভাতা থেকে বঞ্চিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং কর্মচারী সমিতির ব্যানারে একাধিকবার মানববন্ধন, স্মারকলিপি প্রদান ও আন্দোলন করেন তারা। পাশাপাশি শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির দৃষ্টি আকর্ষণ করে দ্রুত সমাধানের দাবি জানিয়ে আসছিলেন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক কর্মচারী জানান, দীর্ঘ সময় বেতন না পেয়ে তারা পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। কেউ কেউ বাধ্য হয়ে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক বলেন, “অবশেষে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সমাধান এলো। আমরা এখন চাই, দ্রুত একজন স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থা কাটানো হোক।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রমও এ সময় অনেকাংশে স্থবির হয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা নিয়ে অনিশ্চয়তায় ছিলেন।
উল্লেখ্য, কুয়েট বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়। উপাচার্য না থাকায় প্রতিষ্ঠানটির প্রশাসনিক ও আর্থিক কার্যক্রমে যে স্থবিরতা দেখা দিয়েছিল, তা এই সিদ্ধান্তে কিছুটা হলেও কাটবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছেন সংশ্লিষ্টরা।