০২:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পীরগাছায় একটি বসতবাড়ীতে টিনের বেড়া দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ থানায় মামলা

  • আতিকুর রহমান
  • পোস্ট হয়েছেঃ ০৮:৪৩:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
  • 10
রংপুরের পীরগাছায় একটি বসতবাড়ীতে টিনের বেড়া দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে বিএনপি এক নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার তাম্বুলপুর ইউনিয়নের রহমতচর গ্রামে। এঘটনায় গত ১১ জুলাই শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ওই গ্রামের রমজান আলীর ছেলে রইচ উদ্দিন (৬০), রইচ উদ্দিনের ছেলে আব্দুল মতিন (৪০), মশিয়ার রহমান (৩৫) ও আব্দুর রাজ্জাক ওরফে রেশনের (২৫) নামে পীরগাছা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোন আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি থানা পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, রহমতচর গ্রামের রমজান আলীর ছোট ছেলে শফিকুল ইসলাম স্থানীয় নয়ারহাটের একজন খাদ্য ব্যবসায়ী। আসামিরা পারিবারিক ও পৈতৃক জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি করে শফিকুল ও তার পরিবারের ক্ষতিসাধনের চেষ্টা করতে থাকেন। ঘটনার দিন ৮ জুলাই অনুমান সন্ধ্যায় বিভিন্ন মালিকের কাছ থেকে ক্রয়কৃত ধান ও ভুট্টার টাকা পরিশোধের জন্য দুই লক্ষ আশি হাজার ৫০০ টাকা সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দিকে রওনা হন। পথিমধ্যে ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রইচ উদ্দিনসহ আরও অনেকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাকে আটক করে মোটরসাইকেলে কেড়ে নেন। এরপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে শফিকুল ইসলামকে মারপিট করেন এবং তাদের হাতে থাকা নাইলনের রশি তার গলায় পেঁচিয়ে ধরে। এসময় সঙ্গে থাকা দুই লক্ষ আশি হাজার ৫০০ টাকা বের করে নেন তারা। পরে আহত শফিকুল ইসলামকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করানো হয়। শফিকুল ইসলামের মা রহিমা বেগম বলেন, আমার বাবাকে (শফিকুল) এভাবে কেউ মারে। রইচ উদ্দিনের বিচার কামনা করেন তার মা। তিনি আরও জানান, জোর করে টিনের বেড়া দিয়েছে রইচ। আমরা এখন চলাচল করতে পারছিনা।
তবে এবিষয়ে রইচ উদ্দিন তার নিজের জমি দাবি করে টিনের বেড়া দিয়েছেন বলে জানান। এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (এসআই) নুর আলম জানান, বিষয়টি পারিবারিক। তারা পারিবারিকভাবে মীমাংসা করার কথা আমাদেরকে জানিয়েছেন, তাই আসামি ধরা হয়নি। থানা ওসি নুরে আলম সিদ্দিকী জানান, অভিযোগের পর আমরা সরেজমিনে গিয়ে বেড়া খুলে দিয়ে এসেছি। এরপর যদি অবরুদ্ধ করে তাহলে আমরা আদালতকে জানাবো আইন শৃঙ্খলা অবনতির জন্য এধরনের অপকর্ম করছে।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

পীরগাছায় একটি বসতবাড়ীতে টিনের বেড়া দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ থানায় মামলা

পোস্ট হয়েছেঃ ০৮:৪৩:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
রংপুরের পীরগাছায় একটি বসতবাড়ীতে টিনের বেড়া দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে বিএনপি এক নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার তাম্বুলপুর ইউনিয়নের রহমতচর গ্রামে। এঘটনায় গত ১১ জুলাই শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ওই গ্রামের রমজান আলীর ছেলে রইচ উদ্দিন (৬০), রইচ উদ্দিনের ছেলে আব্দুল মতিন (৪০), মশিয়ার রহমান (৩৫) ও আব্দুর রাজ্জাক ওরফে রেশনের (২৫) নামে পীরগাছা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোন আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি থানা পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, রহমতচর গ্রামের রমজান আলীর ছোট ছেলে শফিকুল ইসলাম স্থানীয় নয়ারহাটের একজন খাদ্য ব্যবসায়ী। আসামিরা পারিবারিক ও পৈতৃক জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি করে শফিকুল ও তার পরিবারের ক্ষতিসাধনের চেষ্টা করতে থাকেন। ঘটনার দিন ৮ জুলাই অনুমান সন্ধ্যায় বিভিন্ন মালিকের কাছ থেকে ক্রয়কৃত ধান ও ভুট্টার টাকা পরিশোধের জন্য দুই লক্ষ আশি হাজার ৫০০ টাকা সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দিকে রওনা হন। পথিমধ্যে ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রইচ উদ্দিনসহ আরও অনেকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাকে আটক করে মোটরসাইকেলে কেড়ে নেন। এরপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে শফিকুল ইসলামকে মারপিট করেন এবং তাদের হাতে থাকা নাইলনের রশি তার গলায় পেঁচিয়ে ধরে। এসময় সঙ্গে থাকা দুই লক্ষ আশি হাজার ৫০০ টাকা বের করে নেন তারা। পরে আহত শফিকুল ইসলামকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করানো হয়। শফিকুল ইসলামের মা রহিমা বেগম বলেন, আমার বাবাকে (শফিকুল) এভাবে কেউ মারে। রইচ উদ্দিনের বিচার কামনা করেন তার মা। তিনি আরও জানান, জোর করে টিনের বেড়া দিয়েছে রইচ। আমরা এখন চলাচল করতে পারছিনা।
তবে এবিষয়ে রইচ উদ্দিন তার নিজের জমি দাবি করে টিনের বেড়া দিয়েছেন বলে জানান। এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (এসআই) নুর আলম জানান, বিষয়টি পারিবারিক। তারা পারিবারিকভাবে মীমাংসা করার কথা আমাদেরকে জানিয়েছেন, তাই আসামি ধরা হয়নি। থানা ওসি নুরে আলম সিদ্দিকী জানান, অভিযোগের পর আমরা সরেজমিনে গিয়ে বেড়া খুলে দিয়ে এসেছি। এরপর যদি অবরুদ্ধ করে তাহলে আমরা আদালতকে জানাবো আইন শৃঙ্খলা অবনতির জন্য এধরনের অপকর্ম করছে।