
খুলনায় খাদ্য পরিদর্শক সুশান্ত কুমার মজুমদার অপহরণকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে উঠে এসেছে ছাত্রদলের সাবেক নেতা রেজা মাহমুদের নাম। অপহরণ-পরবর্তী পুলিশি তদন্তে তার সম্পৃক্ততার বিষয়টি স্পষ্ট হলেও, ঘটনার পর থেকেই রেজা পলাতক রয়েছে এবং তার মোবাইল নম্বরও বন্ধ। জানা যায়, রেজা মাহমুদ একসময় রেজা ইউনিয়ন ছাত্রদলের আহ্বায়ক ছিলেন। বর্তমানে তিনি জেলা যুবদল নামে একটি ফেসবুক পেজ পরিচালনা করেন এবং বিএনপি ও যুবদলের একাধিক নেতার সঙ্গে তোলা অসংখ্য ছবি রয়েছে তার ব্যক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইলে। যদিও জেলা যুবদলের আহ্বায়ক ইবাদুল হক রুবায়েত স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, “রেজা ভালো ছেলে নয়। সবার সঙ্গে ছবি তুলে নিজ স্বার্থে ব্যবহার করে। ওর সঙ্গে যুবদলের কোনো সম্পর্ক নেই।” পুলিশ জানায়, রোববার রাতে অপহৃত সুশান্তকে উদ্ধারে একাধিক টিম মাঠে নামে এবং রাতেই রেজার পরিচয় শনাক্ত হয়। তবে, পুলিশের ওপর রাজনৈতিক চাপ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া গোঙানির ভিডিওর কারণে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগের দাবিকে ঘিরে চলমান আন্দোলনের মধ্যেই ছাত্রদল নেতাকে গ্রেপ্তার করা নিয়ে দোটানায় পড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবুও কেএমপি’র অতিরিক্ত কমিশনার আবু রায়হান মোহাম্মদ সালেহ বলেন, “অপরাধীর পরিচয় সে অপরাধী। রাজনৈতিক পরিচয় বিবেচনায় আনার সুযোগ নেই। রেজাসহ জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।” এদিকে, খুলনা শহরে এখনো আতঙ্ক বিরাজ করছে। রেজা মাহমুদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং অপহরণের পেছনের রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য খতিয়ে দেখার দাবি জানিয়েছেন সাধারণ নাগরিকরা। প্রসঙ্গত, রেজার একসময়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগী লাবু বর্তমানে শিক্ষকতা পেশায় যুক্ত রয়েছেন। তিনি নিশ্চিত করেছেন, রেজার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ছাত্রদল থেকেই গড়ে ওঠে।
পুলিশ জানিয়েছে, চিহ্নিত আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে, তবে মূল পরিকল্পনাকারী এখনো অধরা।