
বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়ীয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চরআবদানী গ্রামের বেলতলা খেয়াঘাট এলাকায় নদী দখলের অভিযোগ উঠেছে বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাসুদ হাওলাদারের বিরুদ্ধে। স্থানীয়দের অভিযোগ- মেসার্স হাওলাদার আয়রন স্টোরের স্বত্বাধিকারী মাসুদ হাওলাদার গত ১৩ জুলাই সন্ধ্যার পর থেকে ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে নদীর দখল করে বালু ভরাট কাজ শুরু করেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়- নদীর পাড় থেকে ভেতরে প্রায় ১৫০/১৮০ ফুট নদী দখল করে পাইলিং দিয়ে ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে বালু ভরাট কাজ শুরু করেছেন। ইতোমধ্যে দুই তৃতীয়াংশ ভরাট হয়ে গেছে।
এলাকাবাসী জানান- দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকায় ধীরে ধীরে নদী দখলের প্রবণতা বাড়ছে। তবে রাজনৈতিক পরিচয় থাকায় প্রশাসন কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না বলে তাদের অভিযোগ। মাসুদ হাওলাদারের এই কার্যক্রম পরিবেশ ও নৌপথের স্বাভাবিক গতিপ্রবাহে বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে বলেও মনে করছেন স্থানীয়রা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বেশ কয়েক জন বাসিন্দা বলেন, এ নদীতে আগে স্টিমার চলত। নদীতে বড় বড় ঢেউ দেখতাম। জেলেরা মাছ ধরত। এখন সেই নদী দখল করে কারখানা নির্মাণ করছে। প্রভাবশালী ব্যক্তি হওয়ায় ভয়ে নদী দখলের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারি না। পানি সরবরাহ না থাকায় কৃষি জমিতে ফসল হচ্ছে না, বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। বছরের ৩ থেকে ৪ মাস পানিতে তলিয়ে থাকে ঘরবাড়ি। আমরা চাই নদী অবমুক্ত করা হোক, দখল উচ্ছেদ করা হোক। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা নদীর পাড় ধরে চলাচল করি। এখন সেই জায়গা বালু ফেলে দখল করা হচ্ছে। কোনো অনুমতি ছাড়াই রাতের আঁধারে এসব করা হচ্ছে। এসব বিষয়ে মেসার্স হাওলাদার আয়রন স্টোরের স্বত্বাধিকারী মাসুদ হাওলাদার এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি আজকের খবর প্রতিনিধি কে বলেন, ‘নদী দখল করে ভরাটের অভিযোগটি সত্য নয়। আমরা যেখানে ভরাট করেছি সেটি আমাদের রেকর্ডভুক্ত জমি। ওখানে আমাদের রেকর্ডীয় জায়গা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা আছে পাশে যেখানে আমরা কাজ করিনা।’ এ বিষয়ে বরিশাল সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) আজহারুল ইসলাম বলেন- বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ জাবেদ ইকবাল এর কাছে আজকের খবর প্রতিনিধি জানতে চাইলে তিনি বলেন, কেউ নদী দখল করতে পারবে না। একটা গুরুতর অপরাধ।