
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে পাঁচ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে যশোর-চুয়াডাঙ্গা রুটের শাপলা বাস সার্ভিস। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। টানা ৫ দিন কর্ম না থাকায় সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন মোটর শ্রমিকরা। বাস না চলায ঝুঁকি নিয়ে অননুমোদিত বাহনে চলাচল করছেন কোটচাঁদপুর, মহেশপুর ও চুয়াডাঙ্গা গামী যাত্রীরা। জানা গেছে, সম্প্রতি যশোর-কালীগঞ্জ-চুয়াডাঙ্গা রুটে নতুন বাস চালু করে যশোর মিনিবাস মালিক সমিতির এক নেতা। এ নিয়ে আপত্তি করে কালীগঞ্জ মোটর মালিক সমিতির নেতারা। এর জেরে কালীগঞ্জের বেশ কয়েকটি রুপসা-গড়াই সার্ভিসের বাস আটকে দেয় যশোরের মোটর মালিক সমিতির নেতারা। পরে যশোর-কালীগঞ্জ-চুয়াডাঙ্গা রুটের শাপলা বাস সার্ভিসও আটকে যায়।
সংকট নিরসনে যশোর ও কালীগঞ্জ মোটর মালিক সমিতি ও মিনিবাস মালিক সমিতির নেতারা একাধিক বৈঠক করলেও কোনো সমাধান হয়নি। গত চারদিন ধরে কালীগঞ্জ রুটে বন্ধ রয়েছে শাপলা বাস সার্ভিস। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন কালীগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গা, মহেশপুর, জীবননগর ও কোটচাঁদপুর গামী যাত্রীরা। অননুমোদিত বাহনে যাত্রীরা চলাচল করছেন ঝুঁকি নিয়ে। শাহিনুর রহমান নামের এক যাত্রী বলেন, শাপলা বাস সার্ভিস কালীগঞ্জে আসতে দিচ্ছে না যশোরের শ্রমিক নেতারা। ফলে কালীগঞ্জ থেকে কোটচাঁদপুর, মহেশপুর ও চুয়াডাঙ্গা রুটে ইজিবাইক, অটোভ্যান, লেগুনায় চলাচল করতে হচ্ছে। ঝুঁকি নিয়ে চললেও আমাদের সমস্যা দেখার কেউ নেই।
এদিকে টানা ৫ দিন বাস সার্ভিস বন্ধ থাকায় কর্ম হারিয়ে বিপাকে পড়েছেন মোটর শ্রমিকরা। রোজগার না থাকায় সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। কালীগঞ্জ কোটচাঁদপুর মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক আব্বাস উদ্দিন বলেন, গাড়ির চাকা ঘুরলে আমাদের পেট চলে। পাঁচদিন গাড়ি বন্ধ। শ্রমিকরা মানবেতর জীবনযাপন করছে। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে একাধিকবার বৈঠক হলেও সমস্যার সমাধান আসেনি। দ্রুত বাস চলাচলের দাবি জানাই। কালীগঞ্জ মোটর মালিক সমিতির সভাপতি ফরিদ উদ্দিন বলেন, পাঁচদিন ধরে যশোর-কালীগঞ্জ-চুয়াডাঙ্গা রুটে শাপলা বাস সার্ভিস আটকে দিয়েছেন যশোরের শ্রমিক নেতারা। বিষয়টি নিয়ে সমাধানের চেষ্টা করেও কোনো ফল পাওয়া যায়নি। প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।