০৬:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নরসিংদী শিলমান্দী ইউনিয়নে নিখোঁজের তিনদিন পর শিশুর মরদেহ উদ্ধার

  • মেহেদী হাসান
  • পোস্ট হয়েছেঃ ১০:৩২:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫
  • 242
রোববার (১৭ মার্চ) সকালে উপজেলার মধ্য শিলমান্দী কবরস্থানের পাশে মরদেহটি দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পরে শেখেরচর পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে।  নিহত শিশুর নাম সাদ্দাম হোসেন (৩ বছর)। সে শিলমান্দী বিলপাড় এলাকার বাসিন্দা আমজাদ হোসেনের ছেলে।  পরিবারের বরাতে পুলিশ পরিদর্শক মো. মাসুদ আলম জানান, “গত ১৩ মার্চ দুপুরে নিজ বাড়ির সামনে খেলার সময় নিখোঁজ হয় সাদ্দাম। সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান না পেয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে ওই দিন রাতেই থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।” রোববার সকালে কবরস্থানের পাশ থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে স্থানীয়রা একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে। পরে পরিবারের সদস্যরা এসে নিশ্চিত করেন, সেটি সাদ্দামেরই লাশ।
পুলিশ পরিদর্শক মাসুদ আলম বলেন, “শিশুটির মরদেহ পচে গেছে ও তাতে পোকা ধরেছে। তবে প্রাথমিকভাবে শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।” শিশুটির মৃত্যু দুর্ঘটনা, নাকি এটি হত্যাকাণ্ড— তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ইতোমধ্যে পরিবারের করা জিডির সূত্র ধরে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। স্থানীয়দের মধ্যে শিশুটির রহস্যজনক নিখোঁজ ও মৃত্যুকে ঘিরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে অপরাধীদের শনাক্ত ও দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা ‘অবিবেচনাপ্রসূত’, ভয়াবহ পরিণতির আশঙ্কা—কাতার

নরসিংদী শিলমান্দী ইউনিয়নে নিখোঁজের তিনদিন পর শিশুর মরদেহ উদ্ধার

পোস্ট হয়েছেঃ ১০:৩২:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫
রোববার (১৭ মার্চ) সকালে উপজেলার মধ্য শিলমান্দী কবরস্থানের পাশে মরদেহটি দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পরে শেখেরচর পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে।  নিহত শিশুর নাম সাদ্দাম হোসেন (৩ বছর)। সে শিলমান্দী বিলপাড় এলাকার বাসিন্দা আমজাদ হোসেনের ছেলে।  পরিবারের বরাতে পুলিশ পরিদর্শক মো. মাসুদ আলম জানান, “গত ১৩ মার্চ দুপুরে নিজ বাড়ির সামনে খেলার সময় নিখোঁজ হয় সাদ্দাম। সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান না পেয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে ওই দিন রাতেই থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।” রোববার সকালে কবরস্থানের পাশ থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে স্থানীয়রা একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে। পরে পরিবারের সদস্যরা এসে নিশ্চিত করেন, সেটি সাদ্দামেরই লাশ।
পুলিশ পরিদর্শক মাসুদ আলম বলেন, “শিশুটির মরদেহ পচে গেছে ও তাতে পোকা ধরেছে। তবে প্রাথমিকভাবে শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।” শিশুটির মৃত্যু দুর্ঘটনা, নাকি এটি হত্যাকাণ্ড— তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ইতোমধ্যে পরিবারের করা জিডির সূত্র ধরে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। স্থানীয়দের মধ্যে শিশুটির রহস্যজনক নিখোঁজ ও মৃত্যুকে ঘিরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে অপরাধীদের শনাক্ত ও দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালানো হচ্ছে।