০৬:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হানি মেলন জাতের তরমুজ পরীক্ষামূলক উৎপাদন এখন গাজীপুরের কালিয়াকৈরে

গাজীপুরের কালিয়াকৈর হানি মেলন জাতের তরমুজ বাংলাদেশে পরীক্ষামূলক ভাবে উৎপাদন শুরু করেছেন চীনের একদল তরুণ। । হানি মেলন জাতের তরমুজ উষ্ণ মৌসুমে চাষ করা হয়। এই জাতের তরমুজ চাষের জন্য ৮৫ থেকে ৯০ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রা সহ আধা শুষ্ক অঞ্চলে চাষ ভালো হয়।
 মুনচান জানান, বাংলাদেশে হানি মেলন হোয়াইট জাতের তরমুজ সারা বছর উৎপাদন করার জন্য পরীক্ষামূলক ভাবে আমরা চাষ শুরু করেছি। চায়নার একদল কৃষি অভিজ্ঞতা সম্পন্ন লোক পরীক্ষামূলক এ জাতের তরমুজের চাষ করছে। গ্রীন হাউস পদ্ধতিতে হানি মেলন জাতের তরমুজ চাষ করা হচ্ছে। তবে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে একটু সমস্যা হচ্ছে।
হানি মেলন হোয়াইট  জাতের তরমুজ পরিপক্বতার উপর ভিত্তি করে সংগ্রহ করা হয়। এই জাতের তরমুজ দেড় কেজি থেকে দুই কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। চারা রোপনের ৭০ দিনের মধ্যে এ জাতের  তরমুজের ফলন পাওয়া যায়।
কালিয়াকৈরে সোনাতলা এলাকায়   সবেজমিনে গিয়ে  চায়নাদের তিন একর জায়গার উপর এ প্রকল্প দেখা যায়। হানি মেলন তরমুজের পাশাপাশি তারা বিভিন্ন জাতের সবজি উৎপাদন করছেন। গ্রীন হাউস পদ্ধতিতে তরমুজ চাষ করার জন্য সকল প্রকার উপাদান তারা চীন থেকে নিয়ে এসেছে বলে জানা যায়।
জানা যায়, ১৯৪০ দশকে চীন সফরে সময় স্হানীয়দের তরমুজের বীজ দান করেছিলেন  আমেরিকান কৃষি সচিব হেনরি এ.ওয়ালেস।সেই থেকে চীনে গবেষণা করে নতুন নতুন জাতের তরমুজ তৈরি করা হয়।  চীনের উত্তর পশ্চিমে গানসু প্রদেশের রাজধানী লানঝো শহরের কাছে স্হায়ী ভাবে এ তরমুজ বিখ্যাত। এই তরমুজ কে চীনে বাইলান তরমুজ নামেও পরিচিত।
হানি মেলন হোয়াইট জাতের তরমুজের পুষ্টিগুন ও দাম বেশি। এই জাতের তরমুজের মধ্যে শক্তি, কার্বোহাইড্রেট, চিনি, ফাইবার, মোটা, প্রোটিন, খনিজ ভিটামিন সহ বিভিন্ন উপাদান পাওয়া যায়।
চায়নাদের পাশাপাশি বাংলাদেশের রফিকুল ইসলাম, জাহিদ হাসান  সহ ৫/ ৬  জন শ্রমিক এখানে কাজ করছেন। তারা চায়না ভাষায় কথা বলতে পারে না। তবে চায়নারা কি কাজ করতে বলে তা বুঝতে পারে। মুনচান নামের একজন মহিলা আছেন তিনি  কিছু কিছু বাংলায় কথা বলতে পারেন। হানি মেলন হোয়াইট জাতের তরমুজ  উৎপাদনে ৫/৬ মাস ধরে কাজ  শুরু করেছেন।
জানুয়ারি /ফেরুয়ারী শীতকালে এ জাতের তরমুজের উৎপাদন ভালো ছিল।
এ জাতের তরমুজ গোলাকার, ডিম্বাকৃতির, মৃসণ, শক্ত খোসা ছাড়াই, পাকানোর সাথে সাথে মসৃণ সাদা বা হলুদ রঙে পরিনত হয়। এ জাতের তরমুজ খেতে খুব সুস্বাদু  ও দামও বেশি। বর্তমান তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সমস্যা  হবার ফলে কিছু তরমুজ অপ্রাপ্ত বয়সে পড়ে যাচ্ছে। তবে চায়নার এ প্রকল্পের সাথে জড়িতরা বলছেন তারা সকল সমস্যার সমাধান করে এ জাতের তরমুজ বাংলাদেশে সারা বছর যেন উৎপাদন করা যায় সে লক্ষ্যে পরীক্ষামূলক কাজ করে যাচ্ছেন।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা ‘অবিবেচনাপ্রসূত’, ভয়াবহ পরিণতির আশঙ্কা—কাতার

হানি মেলন জাতের তরমুজ পরীক্ষামূলক উৎপাদন এখন গাজীপুরের কালিয়াকৈরে

পোস্ট হয়েছেঃ ০১:৩৮:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫
গাজীপুরের কালিয়াকৈর হানি মেলন জাতের তরমুজ বাংলাদেশে পরীক্ষামূলক ভাবে উৎপাদন শুরু করেছেন চীনের একদল তরুণ। । হানি মেলন জাতের তরমুজ উষ্ণ মৌসুমে চাষ করা হয়। এই জাতের তরমুজ চাষের জন্য ৮৫ থেকে ৯০ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রা সহ আধা শুষ্ক অঞ্চলে চাষ ভালো হয়।
 মুনচান জানান, বাংলাদেশে হানি মেলন হোয়াইট জাতের তরমুজ সারা বছর উৎপাদন করার জন্য পরীক্ষামূলক ভাবে আমরা চাষ শুরু করেছি। চায়নার একদল কৃষি অভিজ্ঞতা সম্পন্ন লোক পরীক্ষামূলক এ জাতের তরমুজের চাষ করছে। গ্রীন হাউস পদ্ধতিতে হানি মেলন জাতের তরমুজ চাষ করা হচ্ছে। তবে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে একটু সমস্যা হচ্ছে।
হানি মেলন হোয়াইট  জাতের তরমুজ পরিপক্বতার উপর ভিত্তি করে সংগ্রহ করা হয়। এই জাতের তরমুজ দেড় কেজি থেকে দুই কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। চারা রোপনের ৭০ দিনের মধ্যে এ জাতের  তরমুজের ফলন পাওয়া যায়।
কালিয়াকৈরে সোনাতলা এলাকায়   সবেজমিনে গিয়ে  চায়নাদের তিন একর জায়গার উপর এ প্রকল্প দেখা যায়। হানি মেলন তরমুজের পাশাপাশি তারা বিভিন্ন জাতের সবজি উৎপাদন করছেন। গ্রীন হাউস পদ্ধতিতে তরমুজ চাষ করার জন্য সকল প্রকার উপাদান তারা চীন থেকে নিয়ে এসেছে বলে জানা যায়।
জানা যায়, ১৯৪০ দশকে চীন সফরে সময় স্হানীয়দের তরমুজের বীজ দান করেছিলেন  আমেরিকান কৃষি সচিব হেনরি এ.ওয়ালেস।সেই থেকে চীনে গবেষণা করে নতুন নতুন জাতের তরমুজ তৈরি করা হয়।  চীনের উত্তর পশ্চিমে গানসু প্রদেশের রাজধানী লানঝো শহরের কাছে স্হায়ী ভাবে এ তরমুজ বিখ্যাত। এই তরমুজ কে চীনে বাইলান তরমুজ নামেও পরিচিত।
হানি মেলন হোয়াইট জাতের তরমুজের পুষ্টিগুন ও দাম বেশি। এই জাতের তরমুজের মধ্যে শক্তি, কার্বোহাইড্রেট, চিনি, ফাইবার, মোটা, প্রোটিন, খনিজ ভিটামিন সহ বিভিন্ন উপাদান পাওয়া যায়।
চায়নাদের পাশাপাশি বাংলাদেশের রফিকুল ইসলাম, জাহিদ হাসান  সহ ৫/ ৬  জন শ্রমিক এখানে কাজ করছেন। তারা চায়না ভাষায় কথা বলতে পারে না। তবে চায়নারা কি কাজ করতে বলে তা বুঝতে পারে। মুনচান নামের একজন মহিলা আছেন তিনি  কিছু কিছু বাংলায় কথা বলতে পারেন। হানি মেলন হোয়াইট জাতের তরমুজ  উৎপাদনে ৫/৬ মাস ধরে কাজ  শুরু করেছেন।
জানুয়ারি /ফেরুয়ারী শীতকালে এ জাতের তরমুজের উৎপাদন ভালো ছিল।
এ জাতের তরমুজ গোলাকার, ডিম্বাকৃতির, মৃসণ, শক্ত খোসা ছাড়াই, পাকানোর সাথে সাথে মসৃণ সাদা বা হলুদ রঙে পরিনত হয়। এ জাতের তরমুজ খেতে খুব সুস্বাদু  ও দামও বেশি। বর্তমান তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সমস্যা  হবার ফলে কিছু তরমুজ অপ্রাপ্ত বয়সে পড়ে যাচ্ছে। তবে চায়নার এ প্রকল্পের সাথে জড়িতরা বলছেন তারা সকল সমস্যার সমাধান করে এ জাতের তরমুজ বাংলাদেশে সারা বছর যেন উৎপাদন করা যায় সে লক্ষ্যে পরীক্ষামূলক কাজ করে যাচ্ছেন।