দেওয়ানগঞ্জ পল্লী বিদ্যুতের নতুন লাইন সম্প্রসারনে লক্ষে দেওয়ানগঞ্জ সাবস্টেশন হতে কাঠারবিল এলাকার এলজিইডির গাছ কাটার উৎসব চলছে। বিদ্যুতের লাইন সম্প্রসারণ , খুটি স্থাপন বা বিদ্যুৎ সঞ্চালন বিপদমুক্ত রাখার ক্ষেত্রে গাছের ডালপালা কাটা ও ছাটার নিয়ম বিদ্যমান কোন ভাবেই মগডাল কাটার সুযোগ নেই। কোন কর্তৃপক্ষ বা ব্যক্তি ইচ্ছা করলেই গাছের মগডাল কাটতে পারেননা, অবশ্যই তা বিধি বিধান, অনুমোদন সর্বশেষ টেন্ডারের মাধ্যমে কেবল গাছ কাটার ঘটনা ঘটতে পারে। সরকারের যথাযথ আইন মেনেই গাছ কাটার বৈধতা পায়। বৃক্ষ কাটা আইনে এমনও বলা হয়েছে ব্যক্তি মালিকানার গাছ কাটতে হলেও অনুমতি প্রয়োজন, খোজ নিয়ে জানা গেছে পশ্চিম চুনিয়া পাড়া ও গুলুরঘাট এলাকার পল্লী বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন পৃথকীকরন ও নতুন লাইন সম্প্রসারনের ক্ষেত্রে একাধিক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। সড়কের ধার গর্ত বিভিন্ন ধরনের ফলজ, বনজ বৃক্ষের নিধন রিতিমত উদ্বেগের কারনে পরিনত হয়েছে। ডালপালা কাটার পরিবর্তে সরাসরি মগডাল কাটা কেবল আইন অমান্য নয় এক ধরনের স্বেচ্ছাচারিতা বটে। এখানেই শেষ নয় কর্তন করা গাছ এবং ডাল পালা কোথায় কি অবস্থায় আছে এই প্রক্রিয়ার সাথে সংশ্লিষ্টরা জানেন। সড়কের ধারের এমন ও বড় বড় গাছ এর অর্ধেক অংশ কর্তন করে ডালপালা এবং অর্ধাংশ গুড়ি অবশিষ্ট আছে। পল্লী বিদ্যুৎ দেওয়ানগঞ্জ জোনাল ডিজিএম মো. ইয়াহিয়া সিদ্দিকী গাছ কর্তন বিষয়ে কে জানান বিদ্যুৎ লাইন সম্প্রসারনের জন্য গাছ ছাটা হচ্ছে এবং বন বিভাগের অনুমতি নেওয়া হয়েছে। দেওয়ানগঞ্জ বন বিভাগের কর্মকর্তা মো.রাশেদ ইবনে সিরাজের  কাছে সড়কের গাছ কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, পল্লী বিদ্যুৎ কে ডাল ছাটার অনুমতি দেওয়া হয়েছে কোন গাছের মগডাল কাটার অনুমতি দেওয়া হইনি। তিনি আরও বলেন বিদ্যুতের তার স্বাভাবিক রাখতে যতটুকু ডাল কাটার প্রয়োজন ততটুকু কাটতে অনুমিত দেওয়া হয়।