
সরকারি প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা-২০২৫ এ কিন্ডার গার্টেনের শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে সারা দেশের ন্যায় বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন সোসাইটি নীলফামারী শাখা কর্তৃক মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
আজ (৩০ জুলাই) মঙ্গলবার সকালে সরকারি ভাবে প্রাথমিক বৃত্তি ২০২৫ পরীক্ষায় বৃত্তি কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক কিন্ডার গার্টেনে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হবে না। এ বিষয়টি চিঠি আকারে প্রকাশিত হওয়ার পর কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। তারই ফলশ্রুতিতে নীলফামারীর অন্তর্গত সকল কিন্ডারগার্টেন এক যোগে সারা দেশের ন্যায় বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন নীলফামারী শাখা কর্তৃক সকাল ১১ টার সময় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। মানববন্ধন শেষে বেলা ১২টার সময় জেলা প্রশাসক বরাবর একটি স্মারক লিপি প্রদান করা হয়।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিভিন্ন কিন্ডারগার্ডেন স্কুলের শিক্ষকগণ সরকারের বৈষম্যমূলক আচরণের কথা তুলে ধরে বক্তব্য প্রদান করেন। শিক্ষকরা বক্তব্যে বলেন, সরকারি বৃত্তি-২০২৫ কমিটি যে মনোবাসনা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এতে করে দেশে এক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে তারা যে বৈষম্যের স্বপ্ন এঁকেছেন তা কোনদিনই সফল হতে দেয়া যাবে না। এই বৈষম্য কেউ মেনে নেবে না। প্রয়োজনে রক্ত দিয়ে হলেও শিক্ষার্থীদের অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে।
সরকারি কমিটির মতে যারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে তারা দরিদ্র। এই কথাটি নিতান্তই মিথ্যা কথা। কারণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ধনী গরিব সকল শ্রেণীর শিক্ষার্থীরাই পড়াশোনা করে। তাহলে কেন আজ এই কিন্ডার গার্ডেনের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মনে আঘাত দেয়া হচ্ছে, কেন আজ তারা এই সরকারিভাবে মেধাযাচাইয়ের পরীক্ষাটি দিতে পারবে না। কেন এই বৈষম্য, তারা কি বাংলাদেশের নাগরিক না। সরকারের কাছে আকুল আবেদন কতিপয় অসাধু লোকের কথায় আপনি এই বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করে বৈষম্য সৃষ্টি করবেন না দেশকে অস্থিতিশীল বানাবেন না।
স্মারকলিপি প্রদানের সময় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীগণ জেলা প্রশাসককে জানায়, আমরা জন্মসূত্রে বাংলাদেশের নাগরিক দয়া করে আমাদেরকে জীবনের শুরুর লগ্নে একটা বড় মেধা যাচাই মূলক পরীক্ষা না দিতে দিয়ে বৈষম্য সৃষ্টি করবেন না। আমরা আপনাদেরই সন্তান আমরা এদেশেরই নাগরিক সুতরাং এটা আমাদের প্রাপ্ত অধিকার আশা করি এই অধিকার থেকে আমাদেরকে বঞ্চিত করবেন না। এই বৈষম্যের জন্যই কি দেশ স্বাধীন করেছিল ছাত্ররা।