১২:৪৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০১ অগাস্ট ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিরাজগঞ্জে ‘বিসিক শিল্প পার্ক’ এ প্লট বরাদ্দ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন

সিরাজগঞ্জে বহুল প্রতীক্ষিত “বিসিক শিল্প পার্ক, সিরাজগঞ্জ” এর প্লট বরাদ্দপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে প্লট বরাদ্দ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এদিন ৭২ জনকে প্লট প্রদান করা হয়। প্রায় ১ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের আশা করা হচ্ছে।
 বুধবার (৩০ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় সিরাজগঞ্জ  জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এ.কে. শামসুদ্দিন সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত  ছিলেন, জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম।
রাজশাহীর বিসিক আঞ্চলিক কার্যালয়ের আঞ্চলিক পরিচালক জাফর বায়েজীদ এঁর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) গনপতি রায়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, সিরাজগঞ্জ বিসিক জেলা কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মাহবুবুল ইসলাম।
এসময়ে অনুষ্ঠানে আরও  বক্তব্য রাখেন, সিরাজগঞ্জ জেলা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মো.সাইদুর রহমান বাচ্চু।
স্বাগত বক্তব্যে সিরাজগঞ্জ বিসিক জেলা কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মাহবুবুল ইসলাম বলেন, শিল্পায়নের মাধ্যমে উত্তরবঙ্গের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করাই ছিল সিরাজগঞ্জ বিসিক শিল্প পার্ক নির্মাণের উদ্দেশ্য। এছাড়াও বেকারত্ব হ্রাস, অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং শিল্পায়নের পরিবেশ সৃষ্টি করাও ছিল লক্ষ্য। এই শিল্প পার্কে ৮২৯টি প্লটের পরিকল্পনা ছিল, সবগুলোই প্রস্তুত করা হয়েছে। দেশি-বিদেশি উদ্যোক্তারা প্লট বরাদ্দ পেয়েছেন।
বরাদ্দপত্র পাওয়ার পর ইজারা গ্রহীতার করণীয় সম্পর্কে বিসিক শিল্প পার্কের প্রধান মো. সাজিদুল ইসলাম বলেন, বিসিক ১৯৫৭ সালে যাত্রা শুরু করে। সারাদেশে ৮৩টি শিল্প নগরী রয়েছে, যার মধ্যে সিরাজগঞ্জ অন্যতম। নির্ধারিত সময়ে ডাউনপেমেন্ট, সার্ভিস চার্জ পরিশোধ না করলে, অনুমোদিত লে-আউট মানা না হলে, ৫ বছরের বেশি শিল্প কারখানা বন্ধ থাকলে বা আবাসিক কাজে ব্যবহার করলে প্লট বরাদ্দ স্থগিত করা হতে পারে। এছাড়াও মোবাইল টাওয়ার স্থাপন করা যাবে না, করলে প্লট বরাদ্দ বাতিল করা হবে।
জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, ঢাকার কাছাকাছি জেলা সিরাজগঞ্জ হলেও এখানে শিল্পায়ন তেমন হয়নি, অথচ পাশের জেলা বগুড়ায় হয়েছে। এটি বিসিকের সবচেয়ে বড় পার্ক সিরাজগঞ্জে। অধিকাংশ উদ্যোক্তা এই জেলার বাসিন্দা। সিরাজগঞ্জ এখন শিল্প পার্কের জন্য উপযুক্ত।রেলপথ, সড়কপথ ও নদীপথ – সব যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো। যারা প্লট বরাদ্দ পেয়েছেন, তাদের দ্রুত কার্যক্রম শুরুর অনুরোধ করছি।
রাজশাহীর বিসিক আঞ্চলিক কার্যালয়ের আঞ্চলিক পরিচালক জাফর বায়েজীদ বলেন, আজকের দিনটি আমাদের জন্য এক আনন্দের দিন। আজকের দিনের জন্য আমরা দীর্ঘদিন অপেক্ষা করেছি। অনেক কঠিন পথ পেরিয়ে আসতে হয়েছে। সবার আবেগকে কাজে লাগিয়ে এই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা। আমরা সর্বোচ্চ সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত। বিসিকের জিডিপিতে ১১ ভাগ অবদান রয়েছে।
উল্লেখ্য, যমুনা সেতুর পশ্চিমপাড়ে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়নের ছাতিয়ানতলী ও পশ্চিম মোহনপুর এবং কালিয়া হরিপুর ইউনিয়নের বনবাড়িয়া, বেলুটিয়া ও মোড়গ্রাম মৌজার মোট ৪০০ একর জমির ওপর প্রকল্পটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয় শিল্প মন্ত্রণালয়। ৭১৯ কোটি ২১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পের কাজ ধরা হয়েছে।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

ছাদ ধসে আহত ১০ শ্রমিক, কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন হল ভবনে ভয়াবহ দুর্ঘটনা

সিরাজগঞ্জে ‘বিসিক শিল্প পার্ক’ এ প্লট বরাদ্দ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন

পোস্ট হয়েছেঃ ১১:৫০:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫
সিরাজগঞ্জে বহুল প্রতীক্ষিত “বিসিক শিল্প পার্ক, সিরাজগঞ্জ” এর প্লট বরাদ্দপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে প্লট বরাদ্দ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এদিন ৭২ জনকে প্লট প্রদান করা হয়। প্রায় ১ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের আশা করা হচ্ছে।
 বুধবার (৩০ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় সিরাজগঞ্জ  জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এ.কে. শামসুদ্দিন সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত  ছিলেন, জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম।
রাজশাহীর বিসিক আঞ্চলিক কার্যালয়ের আঞ্চলিক পরিচালক জাফর বায়েজীদ এঁর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) গনপতি রায়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, সিরাজগঞ্জ বিসিক জেলা কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মাহবুবুল ইসলাম।
এসময়ে অনুষ্ঠানে আরও  বক্তব্য রাখেন, সিরাজগঞ্জ জেলা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মো.সাইদুর রহমান বাচ্চু।
স্বাগত বক্তব্যে সিরাজগঞ্জ বিসিক জেলা কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মাহবুবুল ইসলাম বলেন, শিল্পায়নের মাধ্যমে উত্তরবঙ্গের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করাই ছিল সিরাজগঞ্জ বিসিক শিল্প পার্ক নির্মাণের উদ্দেশ্য। এছাড়াও বেকারত্ব হ্রাস, অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং শিল্পায়নের পরিবেশ সৃষ্টি করাও ছিল লক্ষ্য। এই শিল্প পার্কে ৮২৯টি প্লটের পরিকল্পনা ছিল, সবগুলোই প্রস্তুত করা হয়েছে। দেশি-বিদেশি উদ্যোক্তারা প্লট বরাদ্দ পেয়েছেন।
বরাদ্দপত্র পাওয়ার পর ইজারা গ্রহীতার করণীয় সম্পর্কে বিসিক শিল্প পার্কের প্রধান মো. সাজিদুল ইসলাম বলেন, বিসিক ১৯৫৭ সালে যাত্রা শুরু করে। সারাদেশে ৮৩টি শিল্প নগরী রয়েছে, যার মধ্যে সিরাজগঞ্জ অন্যতম। নির্ধারিত সময়ে ডাউনপেমেন্ট, সার্ভিস চার্জ পরিশোধ না করলে, অনুমোদিত লে-আউট মানা না হলে, ৫ বছরের বেশি শিল্প কারখানা বন্ধ থাকলে বা আবাসিক কাজে ব্যবহার করলে প্লট বরাদ্দ স্থগিত করা হতে পারে। এছাড়াও মোবাইল টাওয়ার স্থাপন করা যাবে না, করলে প্লট বরাদ্দ বাতিল করা হবে।
জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, ঢাকার কাছাকাছি জেলা সিরাজগঞ্জ হলেও এখানে শিল্পায়ন তেমন হয়নি, অথচ পাশের জেলা বগুড়ায় হয়েছে। এটি বিসিকের সবচেয়ে বড় পার্ক সিরাজগঞ্জে। অধিকাংশ উদ্যোক্তা এই জেলার বাসিন্দা। সিরাজগঞ্জ এখন শিল্প পার্কের জন্য উপযুক্ত।রেলপথ, সড়কপথ ও নদীপথ – সব যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো। যারা প্লট বরাদ্দ পেয়েছেন, তাদের দ্রুত কার্যক্রম শুরুর অনুরোধ করছি।
রাজশাহীর বিসিক আঞ্চলিক কার্যালয়ের আঞ্চলিক পরিচালক জাফর বায়েজীদ বলেন, আজকের দিনটি আমাদের জন্য এক আনন্দের দিন। আজকের দিনের জন্য আমরা দীর্ঘদিন অপেক্ষা করেছি। অনেক কঠিন পথ পেরিয়ে আসতে হয়েছে। সবার আবেগকে কাজে লাগিয়ে এই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা। আমরা সর্বোচ্চ সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত। বিসিকের জিডিপিতে ১১ ভাগ অবদান রয়েছে।
উল্লেখ্য, যমুনা সেতুর পশ্চিমপাড়ে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়নের ছাতিয়ানতলী ও পশ্চিম মোহনপুর এবং কালিয়া হরিপুর ইউনিয়নের বনবাড়িয়া, বেলুটিয়া ও মোড়গ্রাম মৌজার মোট ৪০০ একর জমির ওপর প্রকল্পটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয় শিল্প মন্ত্রণালয়। ৭১৯ কোটি ২১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পের কাজ ধরা হয়েছে।