
বুধবার(১৯ মার্চ) পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হয়েছে বাঁশবাড়িয়া-সন্দ্বীপ নৌ-রুটে ফেরী কপোতাক্ষ, পরীক্ষামূলকভাবে চলবে উদ্বোধন হওয়ার আগ (আগামী ২৪ মার্চ) পর্যন্ত ।
এই জনপদের মানুষের বুক/কোমর সমান পানি এবং কোমর/হাঁটু সমান কাদা পেরোনো নিত্য সঙ্গী। এভাবেই চলছে শত বছর ধরে। তবে এবার কাঁদা বা পানি নয় কষ্ট শেষ হতে চলেছে দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপবাসীর। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২৪ মার্চ চালু হচ্ছে স্বপ্নের ফেরি সার্ভিস সীতাকুণ্ড(চট্টগ্রাম)-সন্দ্বীপ(গুপ্তছড়া) রুটে। উন্মোচিত হবে সম্ভাবনার নতুন দুয়ার।
চট্টগ্রামের সমতল হতে বিচ্ছিন্ন সমুদ্রঘেরা দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপে বসবাস প্রায় ৪.৫০ লাখ মানুষের। জীবন-জীবিকা, শিক্ষা ও চিকিৎসার মতো অতি জরুরি কাজে সন্দ্বীপের মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উত্তাল বঙ্গোপসাগর (প্রায় ১৮ কি.মি. নৌ-পথ) পাড় হয়ে চট্টগ্রাম শহরে আসা-যাওয়া করতে হয়। পোহাতে হত চরম দুর্ভোগ, এসবের অবসান হতে চলেছে আগামী ২৪ মার্চ ফেরী চলাচল উদ্বোধনের মাধ্যেমে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিওটিএ) সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামের বাঁশবাড়িয়া ঘাট থেকে ফেরি সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া এলাকায় গিয়ে ভিড়বে৷ এজন্য বাঁশবাড়িয়া ঘাটে বেড়িবাঁধ থেকে সাগরের ফোরশোর এলাকায় ব্লক দিয়ে প্রায় ৮০০ মিটারের সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। একইভাবে সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া ঘাটে নির্মাণ করা হয়েছে প্রায় ৫০০ মিটার সড়ক। এছাড়া গুপ্তছড়া ঘাট এলাকায় আরও ২০০ মিটার সড়ক নির্মাণ করছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ)। ফেরি চলাচলে নির্মাণ করা হয়েছে জেটি, পল্টুন, গাড়ি পার্কিং ইয়ার্ডসহ অন্যান্য অবকাঠামো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সন্দ্বীপ বলেন, ফেরি সার্ভিসটি পুরোপুরি চালু হলে সন্দ্বীপে আমূল পরিবর্তন সাধিত হবে। চাইলেই গাড়ি নিয়ে যে কেউ সন্দ্বীপ আসা-যাওয়া করতে পারবে। বিকাশ ঘটবে পর্যটন শিল্পের। ফেরী চলাচলের পাশাপাশি স্পিডবোটও ফেরিঘাট দিয়ে যাতায়াত করতে পারবে। সবমিলিয়ে সন্দ্বীপের মানুষের জীবন যাত্রার মান আরও আরও উন্নত হবে।
শুভ কামনা রইল সন্দ্বীপবাসীর জন্য।