
পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার চরকাজল ইউনিয়নের আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায় ৬নম্বর ওয়ার্ডের ছোট শিবা এলাকার মৃত মোঃ সুলতান আহম্মেদ ফরাজীর ছেলে মোঃ শাহজাহান ফরাজীর সরকারি বন্দোবস্ত ৩ একর জমির মধ্যে জোর দখল করে পুকুর থেকে মাটি কেটে নিয়ে যায় প্রতিপক্ষ হাদী হাওলাদার ও নাসির মাঝি গং। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাযায় ঘটনাটি ঘটে ৭ এপ্রিল চরকাজল ইউনিয়নের ছোট শিবা এলাকার শাহজাহান ফরাজীর বসতবাড়ির মধ্যে। বিবাদী মৃত রশিদ ফরাজীর ছেলে লিটন ফরাজী,মাসুদ ফরাজী,দুলাল ফরাজীর নির্দেশে স্থানীয় সুদি ব্যবসায়ী মোঃ হাদী হাওলাদার, মিনারা বেগম, নাসির মাঝি, খোকন মাঝি, ও মুক্তা বেগম সহ আরো অজ্ঞাতনামা লোকজন নিয়ে জোর দখল করে পুকুর থেকে মাটি কেটে নিয়ে যায়। তবে এই জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে বলে জানান। মামলাটি করেন গত ৩০ জানুয়ারি ২০২৪ সালে। এছাড়া মামলা সূত্রে জানাযায় ছোট শিবা মৌজার সাবেক জে এল নং১৬২ হালে ১৩৬, বন্দোবস্ত কেস নং ৭৭৮ গলা/১৯৫৯-৬০, বন্দোবস্ত খতিয়ান নং ৬৭৫, বন্দোবস্ত দাগ নং ৪২৩৯/৪২৪০ মোট জমির পরিমান ৩ একর। উক্ত ভূমি বন্দোবস্ত হোল্ডার মোঃ সুলতান আহম্মেদ নামে ১ টাকায় রেকর্ড হয়। তবে এবিষয় নিয়ে প্রতিপক্ষ দুলাল ফরাজীর সাথে কথা বলে জমাজমির বিষয়ে তার কি কাগজপত্র আছে জানতে চাইলে তা তিনি দেখাতে অপারগতা প্রকাশ করেন এবং তিনি বলেন ওয়ারিশ সূত্রে এই জমির মালিক তারা। এছাড়াও মামুন হুজুর নামে একজনকে জোর করে জমিতে বসতঘর তুলে থাকতে দেয়ন তারা। তিনি সাংবাদিকদের সাথে উচ্চ ভাষা কথা বলেন। তিনি আরো বলেন প্রয়োজনে আদালতকে কাগজপত্র দেখাবে সাংবাদিকদের কাগজপত্র দেখানোর কোন প্রয়োজন মনে করেননা। এবিষয়ে ভুক্তভোগী শাহজাহান ফরাজী বলেন আইনি সহায়তা পাওয়ার জন্য চরকাজল পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ করলে তারা আদালত গিয়ে মামলা করতে বলে। এছাড়াও বহু বার স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি, ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার সহ সালিশ বৈঠক বসলেও কোন সুরাহা হয়নি। তাই তিনি সরকারে কাছে ও সরকারের উর্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে তদন্ত সাপেক্ষে সঠিক বিচারের দাবী জানান।