১১:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কয়লার চেয়ে প্রাণ দামী: বাঁশখালীর শহিদদের স্মরণে ময়মনসিংহে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ

অন্যচিত্র ফাউন্ডেশন, CLEAN এবং BWGED-এর উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) ময়মনসিংহে একটি প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে জীবাশ্ম জ্বালানির বিনিয়োগ বন্ধ এবং দ্রুত নবায়নযোগ্য শক্তিতে রূপান্তরের দাবি জানানো হয়। এই কর্মসূচি ২০১৬ সালের চট্টগ্রামে বাঁশখালী আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে আয়োজন করা হয়, যেখানে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের বিরুদ্ধে আন্দোলনে ছয়জন নিহত হন। ২০১৬ সালের ৪ এপ্রিল বাঁশখালীতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের বিরুদ্ধে কৃষক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের রক্তাক্ত আন্দোলনের স্মরণে আজ খুলনায় এক প্রতিবাদাভিযান অনুষ্ঠিত হয়েছে। “বাঁশখালী ভুলিনি” শিরোনামে এই কর্মসূচির মধ্য দিয়ে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয় এবং জীবিকার ওপরে জীবনের অধিকারকে অগ্রাধিকার দেওয়ার দাবি পুনর্ব্যক্ত করা হয়।এই স্মরণাভিযানে অংশ নেন পরিবেশবাদী কর্মী, ছাত্রসংগঠন, মানবাধিকার সংগঠন এবং প্রগতিশীল নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি। বক্তারা বলেন, “এই আন্দোলন শুধু বাঁশখালীর নয়, এটি সমগ্র দেশের ভূমি ও জীবনের লড়াইয়ের প্রতীক।” বক্তারা বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা বাতাসের দূষণ, বাড়তি বিদ্যুৎ ব্যয় এবং জলবায়ু সংকট আরও তীব্র করছে। বিশেষজ্ঞরা যুক্তি দেন যে, কয়লা ও এলএনজি নির্ভরতা পরিবেশের পাশাপাশি অর্থনীতির জন্যও হুমকি এবং বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ টেকসই করতে সৌর ও বায়ু শক্তিতে বিনিয়োগ অত্যন্ত জরুরি। ২০১৬ সালে চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের বিরোধিতা করতে গিয়ে কৃষিজমি ও কবরস্থান রক্ষার দাবিতে যেসব মানুষ জীবন দিয়েছেন, তাঁদের আত্মত্যাগের স্মরণে আজকের কর্মসূচি ছিল এক প্রতিজ্ঞা— “ উন্নয়নের নামে আর যেন সাধারণ জনগণের প্রাণ না ঝরে। অন্যচিত্র ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী রেবেকা সুলতানা বলেন, “বাঁশখালী আন্দোলন আমাদের জন্য একটি শিক্ষা ছিল। আমরা আর কোনো সাধারণ জনগনকে জীবাশ্ম জ্বালানি প্রকল্পের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে দিতে পারি না। সরকারকে অবশ্যই টেকসই ভবিষ্যতের জন্য নবায়নযোগ্য শক্তিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।” মানববন্ধনের শেষে আয়োজকরা ন্যায়সঙ্গত ও টেকসই জ্বালানি রূপান্তরের পক্ষে তাদের আন্দোলন অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। মানববন্ধনটি ময়মনসিংহ নগরীর জয়নুল উদ্যানে অবস্থিত স্কেটিং চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ সচেতন নাগরিকদের মধ্যে তুহিন তালুকদার, সাঈদ হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান, নাগরিক প্লাটফর্মের সদস্য মমতাজ বেগম, জান্নাতুল ফেরদৌস মীম, নাজমুন নাহার মুক্তা, যুব ফোরামের সদস্য মামুন মিয়া, ফারদিন, কথা আক্তার, মিলি আক্তার প্রমুখ।

ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

কুড়িগ্রামে ট্রাক চাপায় ১ ব্যক্তি নিহত জনতার হাতে ট্রাকসহ ড্রাইভার আটক

কয়লার চেয়ে প্রাণ দামী: বাঁশখালীর শহিদদের স্মরণে ময়মনসিংহে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ

পোস্ট হয়েছেঃ ১১:৫৫:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫
অন্যচিত্র ফাউন্ডেশন, CLEAN এবং BWGED-এর উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) ময়মনসিংহে একটি প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে জীবাশ্ম জ্বালানির বিনিয়োগ বন্ধ এবং দ্রুত নবায়নযোগ্য শক্তিতে রূপান্তরের দাবি জানানো হয়। এই কর্মসূচি ২০১৬ সালের চট্টগ্রামে বাঁশখালী আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে আয়োজন করা হয়, যেখানে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের বিরুদ্ধে আন্দোলনে ছয়জন নিহত হন। ২০১৬ সালের ৪ এপ্রিল বাঁশখালীতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের বিরুদ্ধে কৃষক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের রক্তাক্ত আন্দোলনের স্মরণে আজ খুলনায় এক প্রতিবাদাভিযান অনুষ্ঠিত হয়েছে। “বাঁশখালী ভুলিনি” শিরোনামে এই কর্মসূচির মধ্য দিয়ে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয় এবং জীবিকার ওপরে জীবনের অধিকারকে অগ্রাধিকার দেওয়ার দাবি পুনর্ব্যক্ত করা হয়।এই স্মরণাভিযানে অংশ নেন পরিবেশবাদী কর্মী, ছাত্রসংগঠন, মানবাধিকার সংগঠন এবং প্রগতিশীল নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি। বক্তারা বলেন, “এই আন্দোলন শুধু বাঁশখালীর নয়, এটি সমগ্র দেশের ভূমি ও জীবনের লড়াইয়ের প্রতীক।” বক্তারা বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা বাতাসের দূষণ, বাড়তি বিদ্যুৎ ব্যয় এবং জলবায়ু সংকট আরও তীব্র করছে। বিশেষজ্ঞরা যুক্তি দেন যে, কয়লা ও এলএনজি নির্ভরতা পরিবেশের পাশাপাশি অর্থনীতির জন্যও হুমকি এবং বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ টেকসই করতে সৌর ও বায়ু শক্তিতে বিনিয়োগ অত্যন্ত জরুরি। ২০১৬ সালে চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের বিরোধিতা করতে গিয়ে কৃষিজমি ও কবরস্থান রক্ষার দাবিতে যেসব মানুষ জীবন দিয়েছেন, তাঁদের আত্মত্যাগের স্মরণে আজকের কর্মসূচি ছিল এক প্রতিজ্ঞা— “ উন্নয়নের নামে আর যেন সাধারণ জনগণের প্রাণ না ঝরে। অন্যচিত্র ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী রেবেকা সুলতানা বলেন, “বাঁশখালী আন্দোলন আমাদের জন্য একটি শিক্ষা ছিল। আমরা আর কোনো সাধারণ জনগনকে জীবাশ্ম জ্বালানি প্রকল্পের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে দিতে পারি না। সরকারকে অবশ্যই টেকসই ভবিষ্যতের জন্য নবায়নযোগ্য শক্তিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।” মানববন্ধনের শেষে আয়োজকরা ন্যায়সঙ্গত ও টেকসই জ্বালানি রূপান্তরের পক্ষে তাদের আন্দোলন অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। মানববন্ধনটি ময়মনসিংহ নগরীর জয়নুল উদ্যানে অবস্থিত স্কেটিং চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ সচেতন নাগরিকদের মধ্যে তুহিন তালুকদার, সাঈদ হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান, নাগরিক প্লাটফর্মের সদস্য মমতাজ বেগম, জান্নাতুল ফেরদৌস মীম, নাজমুন নাহার মুক্তা, যুব ফোরামের সদস্য মামুন মিয়া, ফারদিন, কথা আক্তার, মিলি আক্তার প্রমুখ।