
গত কিছুদিন আগে তিনি এই রোবোটিক্সের উপর স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। তার এই পড়াশোনার পেছনে অনুপ্রেরনা যুগিয়েছেন, সাহস যুগিয়েছেন তার সংগ্রামী মা। লাভলুর ভাষায় -আমার মা ছোটবেলা থেকেই মানুষের বাসায় কাজ করতো। মায়ের বয়স যখন ৮/৯ বছর তখন আমার দাদু/দিদা মারা যান। তখন থেকে মা মানুষের অবহেলায় বড় হয়েছে। প্রকৃতির নিয়মে একদিন তার বিয়ে হয়েছে আমার বাবার সাথে।
আমার বয়স যখন ২-৩ বছর তখনও দেখতাম মানুষের বাসায় কোন অনুষ্ঠান বা জম্মদিন হলে মায়ের ডাক পড়তো কাজের জন্য। সেখানে কিছু খেতে দিলে মা কাপড়ের আঁচলে করে আমাদের জন্য নিয়ে আসতো। আমাদের গ্রামের এক উপজেলা মেম্বার মাকে সরকারি একটি চাকরি দিল। মায়ের বেতন ছিল ১৬০০ টাকা। কাজ ছিল প্রতিদিন রাস্তা পরিষ্কার করা। মায়ের এই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা আস্তে আস্তে বড় হতে থাকি। এখন আমি রোবোটিক্সের উপর পড়াশোনা করে স্নাতক ডিগ্রী সম্পন্ন করেছি। বিভিন্ন কোম্পানির সাথে রোবোটিক্স এর উপর কাজ করছি, নিজেও ঢাকায় একটি অফিস দিয়েছি। আমি ইন্ডিয়া সহ বিভিন্ন দেশে গিয়েছি, সামনে জাপানের একটি ট্রেড ফেয়ার এ যাওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছি।সেখানে বাংলাদেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করব বলে আশা প্রকাশ করি।খুশি হয়ে বলে
এখন আমাদের সেই অভাবটা আর নেই।।মাকে আর কষ্ট করতে হয় না। মাকে আমাদের কাছে নিয়ে এসেছি। আমি রোবোটিকস নিয়ে পড়াশোনা করেছি বলে ঢাকাতে নিজের জন্য রোবট নিয়ে গবেষণা প্রতিষ্ঠানও খুলেছি। বিভিন্ন বড় বড় কোম্পানির সাথে চুক্তিতে কাজ করছি। মা আজ আমাদের সাথে খুবই সুখে শান্তিতে আছেন।জয় বড়ুয়া লাভলু তার সাফল্যের সমস্ত কৃতিত্ব তার মাকে দিতে চান। একমাত্র তার মায়ের আশীর্বাদে সে সফল হয়েছে বলে স্বীকার করে। নিজের মায়ের সম্পর্কে তরুণ রোবোটিক্স জয় বড়ুয়া লাভলু এক নিমিষে কথাগুলো বলেছে। এইরকম প্রত্যেক সন্তানের উচিত রোবোটিক্স লাভলুর মত নিজের জীবনের সাফল্যের পেছনে মায়ের অবদানকে স্বীকার করা, মায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা। আমরা জানি মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেস্ত, তাই
প্রতিটি সন্তানকে তাদের মায়ের প্রতি শ্রদ্ধায় মাথা নত করা উচিত। বর্তমানে জয় বড় লাভলু তার মা ও ছোট ভাইকে নিয়ে বুদ্ধগয়া পরিদর্শনে গেছেন,, যেখানে গৌতম বুদ্ধ বোধি জ্ঞান লাভ করেছিলেন। আমি জয় বুড়ুয়া লাভলুর উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি এবং সে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে বিশ্বের মধ্যে নিজেকে ও বাংলাদেশকে একটি মর্যাদার আসনে নিয়ে যেতে পারে সেই শুভ কামনা করি।