বাংলাদেশ নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট (আরআরআই) প্রকাশিত সাম্প্রতিক একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ফিশারিজ সংশ্লিষ্ট কোনো বিভাগ অন্তর্ভুক্ত না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থীরা। এ সিদ্ধান্তকে বৈষম্যমূলক উল্লেখ করে দ্রুত সার্কুলার পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন তারা। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ অনুষদের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘নদী ও জলজ পরিবেশের গবেষণায় আমরা সরাসরি যুক্ত থাকি। অথচ নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট আমাদের বাদ দিয়ে যে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে, তা অবিচার।’ শুধু বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় নয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, জামালপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা মনে করছেন, এই সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের জন্য হুমকি নয়, বরং দেশের নদীভিত্তিক প্রাকৃতিক সম্পদের টেকসই ব্যবস্থাপনাকেও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। শিক্ষার্থীদের ভাষ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের নদ-নদী, হাওর-বাঁওড় ও অন্যান্য জলাশয়ে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, মাছের প্রজনন ক্ষেত্র চিহ্নিতকরণ ও ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ফিশারিজ গ্র্যাজুয়েটদের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অথচ এই বিজ্ঞপ্তিতে তাদের উপেক্ষা করা হয়েছে, যা প্রাতিষ্ঠানিক বৈষম্যের নজির বলে উল্লেখ করেন তারা। তাদের দাবি, ফিশারিজ ডিগ্রিধারীদের যথাযথ মূল্যায়নের মাধ্যমে পুনরায় বিজ্ঞপ্তিতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। একই সঙ্গে নদী গবেষণার প্রতিটি ধাপে মাৎস্যবিজ্ঞানীদের অবদান নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশ নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট (আরআরআই)-এর পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আন্দোলনের আওয়াজ ক্রমেই জোরালো হচ্ছে।