
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে অবস্থিত আদমজী ইপিজেডে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে যোগ না দেওয়ায় দুটি পোশাক কারখানায় ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১২ এপ্রিল) বিকেল পাঁচটার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন শিল্প পুলিশের পরিদর্শক সেলিম বাদশা।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, বিকেলে কয়েক শতাধিক মানুষ গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে আদমজী ইপিজেডের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করছিলেন। একপর্যায়ে মিছিলটি ইপিজেড এলাকার ভেতরে প্রবেশ করে এবং সেখানকার শ্রমিকদেরও আন্দোলনে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ না করায় উত্তেজিত বিক্ষোভকারীরা ভাঙচুর চালায়।
পরিদর্শক সেলিম বাদশা জানান, **ইউনেস্কো বিডি লিমিটেড** এবং **অনন্ত হুয়াশিং লিমিটেড** নামের দুটি রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানায় ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এ সময় ইপিজেড এলাকার আশপাশে থাকা কয়েকটি যানবাহনেও হামলা চালানো হয়।
খবর পেয়ে শিল্প পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ঘটনাস্থল থেকে ভাঙচুরে জড়িত সন্দেহে **একাধিক ব্যক্তিকে আটক** করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) তারেক আল মেহেদী বলেন, “ইপিজেডের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে র্যাব ও সেনাবাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে কুইক রেসপন্স করে। পরবর্তীতে সেনাবাহিনী **৪৫ জনকে আটক** করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছে।”
এ ঘটনার পেছনে পরিকল্পিত কোনো ষড়যন্ত্র থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন পুলিশ কর্মকর্তারা। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক আল মেহেদী বলেন, “ফিলিস্তিন ইস্যু একটি মানবিক বিষয় এবং সাধারণত এতে সব দল-মত-ধর্মের মানুষ অংশ নেয়। তবে কেউ যদি এই ইস্যুকে ব্যবহার করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করে থাকে, সেটি খতিয়ে দেখা হবে।”
ঘটনার তদন্ত চলছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।