০৫:০৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রেকর্ড ভাঙল পাগলা মসজিদের দানবাক্স, মিলল ৯ কোটি ১৭ লক্ষ টাকা

  • প্রীতম
  • পোস্ট হয়েছেঃ ১২:৩৬:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫
  • 288
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সে পাওয়া টাকা গণনা।
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এ যাবৎকালের সব রেকর্ড ভেঙে ৯ কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার ৬৮৭ টাকা মিলেছে। আজ শনিবার সকাল ৭টায় সিন্দুক খোলার পর ১১ ঘণ্টা গণনা শেষে সন্ধ্যা ৬টায় মোট টাকার পরিমাণ জানান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির  আহ্বায়ক জেসমিন আক্তার।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জানান, দানবাক্সের এই টাকা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ। এর আগে ৩ মাস ১৪ দিন পর গত বছরের ৩০ নভেম্বর পাগলা মসজিদের দানবাক্সগুলো খুলে রেকর্ড ৮ কোটি ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৩০৪ টাকা পাওয়া যায়।
জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরীর উপস্থিতিতে ৪ মাস ১২ দিন পর মসজিদের ১১টি দানবাক্স ও একটি ট্রাংক খোলা হয়। দানবাক্স থেকে মেলে ২৮ বস্তা টাকা। পরে সেগুলো মসজিদের দোতলায় নেওয়া হয় গণনার জন্য। দিনভর গণনার পর দানবাক্স থেকে পাওয়া যায় এসব টাকা।
গণনাকাজ তত্ত্বাবধান করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিজাবে রহমত, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান, সহকারী কমিশনার এস এম মেহেদী হাসান, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান ও রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
মসজিদের সভাপতি ও জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান জানান, দানের টাকায় মসজিদের নিয়মিত খরচ চালিয়ে ব্যাংকে জমানো হচ্ছে। ব্যাংকে জমা আছে ৮০ কোটি ৭৫ লাখ ৭৩ হাজার টাকা।
নিরাপত্তার বিষয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী বলেন, টাকা গণনার পর ব্যাংকে নিরাপদে পৌঁছানোসহ নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়। সারা বছরই পাগলা মসজিদে পুলিশের নিরাপত্তা থাকে।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

মহম্মদপুরে অলৌকিকভাবে প্রাণে বাঁচলো মাটি চাপা যুবক

রেকর্ড ভাঙল পাগলা মসজিদের দানবাক্স, মিলল ৯ কোটি ১৭ লক্ষ টাকা

পোস্ট হয়েছেঃ ১২:৩৬:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সে পাওয়া টাকা গণনা।
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এ যাবৎকালের সব রেকর্ড ভেঙে ৯ কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার ৬৮৭ টাকা মিলেছে। আজ শনিবার সকাল ৭টায় সিন্দুক খোলার পর ১১ ঘণ্টা গণনা শেষে সন্ধ্যা ৬টায় মোট টাকার পরিমাণ জানান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির  আহ্বায়ক জেসমিন আক্তার।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জানান, দানবাক্সের এই টাকা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ। এর আগে ৩ মাস ১৪ দিন পর গত বছরের ৩০ নভেম্বর পাগলা মসজিদের দানবাক্সগুলো খুলে রেকর্ড ৮ কোটি ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৩০৪ টাকা পাওয়া যায়।
জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরীর উপস্থিতিতে ৪ মাস ১২ দিন পর মসজিদের ১১টি দানবাক্স ও একটি ট্রাংক খোলা হয়। দানবাক্স থেকে মেলে ২৮ বস্তা টাকা। পরে সেগুলো মসজিদের দোতলায় নেওয়া হয় গণনার জন্য। দিনভর গণনার পর দানবাক্স থেকে পাওয়া যায় এসব টাকা।
গণনাকাজ তত্ত্বাবধান করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিজাবে রহমত, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান, সহকারী কমিশনার এস এম মেহেদী হাসান, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান ও রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
মসজিদের সভাপতি ও জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান জানান, দানের টাকায় মসজিদের নিয়মিত খরচ চালিয়ে ব্যাংকে জমানো হচ্ছে। ব্যাংকে জমা আছে ৮০ কোটি ৭৫ লাখ ৭৩ হাজার টাকা।
নিরাপত্তার বিষয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী বলেন, টাকা গণনার পর ব্যাংকে নিরাপদে পৌঁছানোসহ নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়। সারা বছরই পাগলা মসজিদে পুলিশের নিরাপত্তা থাকে।