
মা—এই ছোট্ট শব্দে যেমন ভালোবাসার গভীরতা, তেমনি লুকিয়ে থাকে জান্নাতের প্রতিশ্রুতি। সেই মমতার প্রতীক ‘মা’ ও নারীজাতির সম্মান রক্ষায় এক অনন্য মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন নরসিংদীর কৃতী সন্তান, সমাজসেবক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. জাহাঙ্গীর সরকার। জেলার হাজীপুর ইউনিয়নের বাদুয়ারচর মৌজায় নারীদের জন্য পৃথক গোরস্থান ও মসজিদ নির্মাণে ২.৫০ শতাংশ জমি দান করেছেন তিনি। সমাজে যেখানে নারীর মর্যাদা নিয়ে প্রশ্ন উঠে, সেখানে এই ভূমিদান এক সাহসী এবং উদার মানসিকতার পরিচয়— যা নিছক জমি দান নয়, বরং নারীসমাজের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের এক জ্বলন্ত প্রতীক। চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি জমিটি রেহেনা আক্তার নামে দলিলভুক্ত করা হলেও, এর মূল উদ্যোক্তা হোটেল নিরালা আবাসিক ও নিরালা রেস্টুরেন্টের স্বত্বাধিকারী মো. জাহাঙ্গীর সরকার। স্থানীয়ভাবে প্রস্তাবিত এই পবিত্র স্থানটি চিহ্নিত করা যায় পুরানপাড়া ব্রিজ পেরিয়ে দ্বিতীয় ব্রিজের বাঁ পাশে, অথবা আমিরগঞ্জ মোড় থেকে ডানে গিয়ে—যেখানে গড়ে উঠবে একদিন নারীদের নিজস্ব গোরস্থান ও একটি মাদ্রাসা। এই পদক্ষেপ শুধু একটি অবকাঠামো নির্মাণ নয়, বরং নারীসমাজের প্রতি শ্রদ্ধা, ইসলামী মূল্যবোধের প্রতি বিশ্বাস এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার এক নীরব বিপ্লব। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ মনে করছেন—এই উদ্যোগ আগামীর প্রজন্মের কাছে এক আদর্শিক ও মানবিক বার্তা বহন করবে। ইসলামে নারীর মর্যাদা অপরিসীম। প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর বাণী— “মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের জান্নাত।” হাদিসে বর্ণিত হযরত আলকামার ঘটনাও প্রমাণ করে, মায়ের প্রতি অবজ্ঞা জান্নাতের পথ রুদ্ধ করতে পারে। এই প্রেক্ষাপটে মো. জাহাঙ্গীর সরকারের এ উদ্যোগ কেবল সমাজের প্রতি দায় নয়, বরং নিজের বিশ্বাস ও নৈতিক অবস্থানেরও দৃঢ় প্রকাশ। এখন সময় এসেছে, এই মহান কাজ থেকে অনুপ্রেরণা নেওয়ার। আসুন, আমরা সবাই মা ও নারীর মর্যাদাকে হৃদয়ে ধারণ করি, এবং এগিয়ে আসি মানবিক সমাজ গঠনে।