০৪:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বৃক্ষ প্রেমিক রাশেদুল হাসান মামুন,গাছ লাগানো এবং পরিচর্যা করাই যেন তার নেশা

রাশেদুল হাসান মামুন  পেশায় একজন মস্য কর্মকর্তা।  চাকুরীর পাশাপাশি অবসর পেলেই ব্যস্ত হয়ে পড়েন  গাছ লাগানো ও গাছ পরিচর্যায়,বৃক্ষই তার নেশা। বৃক্ষপ্রেমি হিসেবে রাশেদুল হাসান মামুন ইতিমধ্যে এলাকায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন।সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলার মস্য অফিসের একজন কর্মকর্তা। বৃক্ষই তাঁর নেশা। তিনি শুধুমাত্র বৃক্ষ রোপণই করেন না রোপিত বৃক্ষ বড় না হওয়া পর্যন্ত নিজ হাতে তার পরিচর্যাও করেন। বনজ, ফলদ, ঔষধি, ভেষজ, ফুলের বৃক্ষ রোপণ করে যাচ্ছেন বছরের পর বছর।  তার রোপিত গাছ শোভা বর্ধিত করছে সিরাজগঞ্জ কাজিপুর সড়কের দুই পাশে গ্রামের  বিভিন্ন অলি-গলি, বিভিন্ন শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানসহ নানান স্খানে। এলাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, রাস্তার পাশ, ইউনিয়ন পরিষদ চত্বর, বিভিন্ন ব্যক্তির ফাঁকা জায়গায় প্রায় ৫ বছর ধরে  নিজ অর্থায়নে বৃক্ষ রোপণ করে যাচ্ছেন।তার রোপণকৃত বৃক্ষের মধ্যে রয়েছে ঔষধি বৃক্ষ আমলকি, হরতোকি, বহেরা, অর্জুন সহ বিভিন্ন রকম ফলজ ও বনজ বৃক্ষ। তাঁর লাগোনো বৃক্ষে বিভিন্ন স্থানের শোভাও বৃদ্ধি পেয়েছে। নিজের টাকায় ক্রয় করে নিজ হাতে এলাকার বিভিন্ন কলেজ, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, মন্দির প্রাঙ্গণ, রাস্তা-ব্রিজের পাশে ও বিভিন্ন ব্যক্তির ফাঁকা জায়গায় বৃক্ষ লাগিয়ে  গাছের পরিচর্চা করছেন নিজ হাতে। এ বিষয়ে চিলগাছা গ্রামের মুরুব্বি মো. সেরাজুল আলম তালুকদার বলেন, রাশেদুল হাসান মামুন সদর উপজেলার রতনকান্দি ইউনিয়নের চিলগাছা গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদ আকন্দের ছেলে সে ছোট বেলা থেকেই বিনোদন ও সাংস্কৃতিক বান্ধব ছেলে। তার চাকরির পাশাপাশি  অবসর সময়ে বিভিন্ন রাস্তা ঘাটে ফাঁকা জায়গায় গাছ লাগায় এবং পরিচর্যা করে মানুষকে গাছ লাগানোর উৎসাহ দিয়ে থাকেন। এলাকায় একজন বৃক্ষ প্রেমিক লোক হিসেবে পরিচিত। তিনি জেলার বিভিন্ন জায়গার বৃক্ষ রোপন করে আসছেন। এটা অত্যান্ত ভালো একটা উদ্যোগ। আমি কাজের সাফল্য কামনা করি।  কেসি, আর, জমিলা মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাওলানা মো. শহিদুল ইসলাম ( ফারুকী)  তিনি জানান, মামুন ছেলে হিসেবে অত্যন্ত ভালো মানুষ সে আমাদের প্রতিষ্ঠানে ও বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগাইয়াছে। তার এই কর্মকান্ডকে আমার প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সমর্থন করি। আশা করি উনার এই কর্মকান্ড থেকে সমাজের আরো মানুষ উদ্ধুদ হবে। আরো মানুষ এই বৃক্ষরোপনে এগিয়ে আসবে।  উনি যখনই যে কোন সহযোগিতা চাইবে আমরা তাঁকে সকল সহযোগিতা করবো ইনশাআল্লাহ। চিলগাছা খাতুনে জান্নাত মহিলা মাদ্রাসার মোহ তামিম হজরত মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক তিনি বলেন,  রাশেদুল হাসান মামুন এর মতো সমাজের সবাই যদি বৃক্ষ রেপানে ভূমিকা রাখে। দেশের প্রকৃতি ও তাঁর প্রাণ বৈচিত্র রক্ষায় ব্যাপক ভুমিকা রাখবে বলে আমি আশা করছি।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

নড়াইলে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু আহত দুই গৃহবধূ

বৃক্ষ প্রেমিক রাশেদুল হাসান মামুন,গাছ লাগানো এবং পরিচর্যা করাই যেন তার নেশা

পোস্ট হয়েছেঃ ১১:৩২:০৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫
রাশেদুল হাসান মামুন  পেশায় একজন মস্য কর্মকর্তা।  চাকুরীর পাশাপাশি অবসর পেলেই ব্যস্ত হয়ে পড়েন  গাছ লাগানো ও গাছ পরিচর্যায়,বৃক্ষই তার নেশা। বৃক্ষপ্রেমি হিসেবে রাশেদুল হাসান মামুন ইতিমধ্যে এলাকায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন।সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলার মস্য অফিসের একজন কর্মকর্তা। বৃক্ষই তাঁর নেশা। তিনি শুধুমাত্র বৃক্ষ রোপণই করেন না রোপিত বৃক্ষ বড় না হওয়া পর্যন্ত নিজ হাতে তার পরিচর্যাও করেন। বনজ, ফলদ, ঔষধি, ভেষজ, ফুলের বৃক্ষ রোপণ করে যাচ্ছেন বছরের পর বছর।  তার রোপিত গাছ শোভা বর্ধিত করছে সিরাজগঞ্জ কাজিপুর সড়কের দুই পাশে গ্রামের  বিভিন্ন অলি-গলি, বিভিন্ন শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানসহ নানান স্খানে। এলাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, রাস্তার পাশ, ইউনিয়ন পরিষদ চত্বর, বিভিন্ন ব্যক্তির ফাঁকা জায়গায় প্রায় ৫ বছর ধরে  নিজ অর্থায়নে বৃক্ষ রোপণ করে যাচ্ছেন।তার রোপণকৃত বৃক্ষের মধ্যে রয়েছে ঔষধি বৃক্ষ আমলকি, হরতোকি, বহেরা, অর্জুন সহ বিভিন্ন রকম ফলজ ও বনজ বৃক্ষ। তাঁর লাগোনো বৃক্ষে বিভিন্ন স্থানের শোভাও বৃদ্ধি পেয়েছে। নিজের টাকায় ক্রয় করে নিজ হাতে এলাকার বিভিন্ন কলেজ, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, মন্দির প্রাঙ্গণ, রাস্তা-ব্রিজের পাশে ও বিভিন্ন ব্যক্তির ফাঁকা জায়গায় বৃক্ষ লাগিয়ে  গাছের পরিচর্চা করছেন নিজ হাতে। এ বিষয়ে চিলগাছা গ্রামের মুরুব্বি মো. সেরাজুল আলম তালুকদার বলেন, রাশেদুল হাসান মামুন সদর উপজেলার রতনকান্দি ইউনিয়নের চিলগাছা গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদ আকন্দের ছেলে সে ছোট বেলা থেকেই বিনোদন ও সাংস্কৃতিক বান্ধব ছেলে। তার চাকরির পাশাপাশি  অবসর সময়ে বিভিন্ন রাস্তা ঘাটে ফাঁকা জায়গায় গাছ লাগায় এবং পরিচর্যা করে মানুষকে গাছ লাগানোর উৎসাহ দিয়ে থাকেন। এলাকায় একজন বৃক্ষ প্রেমিক লোক হিসেবে পরিচিত। তিনি জেলার বিভিন্ন জায়গার বৃক্ষ রোপন করে আসছেন। এটা অত্যান্ত ভালো একটা উদ্যোগ। আমি কাজের সাফল্য কামনা করি।  কেসি, আর, জমিলা মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাওলানা মো. শহিদুল ইসলাম ( ফারুকী)  তিনি জানান, মামুন ছেলে হিসেবে অত্যন্ত ভালো মানুষ সে আমাদের প্রতিষ্ঠানে ও বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগাইয়াছে। তার এই কর্মকান্ডকে আমার প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সমর্থন করি। আশা করি উনার এই কর্মকান্ড থেকে সমাজের আরো মানুষ উদ্ধুদ হবে। আরো মানুষ এই বৃক্ষরোপনে এগিয়ে আসবে।  উনি যখনই যে কোন সহযোগিতা চাইবে আমরা তাঁকে সকল সহযোগিতা করবো ইনশাআল্লাহ। চিলগাছা খাতুনে জান্নাত মহিলা মাদ্রাসার মোহ তামিম হজরত মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক তিনি বলেন,  রাশেদুল হাসান মামুন এর মতো সমাজের সবাই যদি বৃক্ষ রেপানে ভূমিকা রাখে। দেশের প্রকৃতি ও তাঁর প্রাণ বৈচিত্র রক্ষায় ব্যাপক ভুমিকা রাখবে বলে আমি আশা করছি।