
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার নির্বাহী অফিসার মোঃ মোশারফ হোসাইন একজন জনবান্ধব প্রশাসক হিসাবে অফিস- বাহির দুটোই আন্তরিকতা, মেধা ও পরিশ্রমের সাথে সামলাচ্ছেন। অল্প সময়ে তিনি সরাইলবাসীর মধ্যমণি হয়ে উঠেছেন।
তিনি প্রশাসনিক কাজের পাশাপাশি সামাজিক-রাজনৈতিক- আইন-শৃঙ্খলা অবনতির বিষয়ে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। মাদক সমস্যা,
ইভটিজিং সমস্যা, নিয়মিত বাজার মনিটরিং, আজবপুরের মেঘনা নদী ভাঙ্গন রোধে দ্রুততার সাথে কাজগুলো সম্পন্ন করছেন।
ইদানিং এইচএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র নিয়ে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হয়েছিল। বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সরাইল সরকারী কলেজ, মহিলা কলেজ ও তিতাস কলেজের প্রায় ৬০০ শিক্ষার্থীকে পরীক্ষা দিতে হবে অরুয়াইল আব্দুস সাত্তার ডিগ্রি কলেজে, অপরদিকে অরুয়াইল কলেজ ও পানিশ্বর কলেজের প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা দিতে হবে সরাইল সরকারী কলেজে। এক্ষেত্রে সমস্যা হলো সরাইল থেকে অরুয়াইল এবং অরুয়াইল থেকে সরাইল আসা যাওয়ায় পরীক্ষার্থীদের ২/৩ ঘণ্টা সময় ব্যয় হবে শুধু রাস্তায়। রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ এবং পর্যাপ্ত সিএনজির ব্যবস্থাও নেই। অরুয়াইল মফস্বল এলাকা হওয়ায় এতোগুলো শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকদের থাকার সুবিধাও নেই। সমস্যাটি নিয়ে শিক্ষার্থীরা সরাইল ইউএনও এর কাছে হাজির হলে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেন এবং বিষয়টি নিয়ে দাপ্তরিক চিঠি দেন। ইউএনওর হস্তক্ষেপে কুমিল্লা বোর্ড কর্তৃপক্ষ নিজ এলাকায় পরীক্ষা দিতে অনুমোদন দেন। এতে পরীক্ষার্থীরা অরুয়াইল- সরাইল দৌড়াদৌড়ি করতে হবে না। এ খবরটি পেয়ে পরীক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক মহলে এক আনন্দের পরিবেশ বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোশারফ হোসাইন বলেন,” শিক্ষার্থীদের দূর্ভোগ লাগবের জন্য আমার কাছে আসলে তা আমি উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে বিষয়টি সমাধান করি। তিনি আরও জানান, এছাড়া সরাইল উপজেলার যে কোন সমস্যা সমাধানের জন্য আমি সর্বাত্মক চেষ্টা করবো।