০৫:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দামুড়হুদা উপজেলা পাট কর্মকর্তা সেনা সদস্যের স্ত্রী নগদ অর্থ-স্বর্ণালংকার নিয়ে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি; থানায় অভিযোগ

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা পার্ট কর্মকর্তা রিয়াজুর ইসলাম (৩৮) এক সেনা সদস্য’র স্ত্রী সন্তান, নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার নিয়ে অজানার উদ্দেশ্য পাড়ি জমিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় সেনা সদস্য’র পিতা মাসুদুর রহমান বাদী হয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় পুত্রবধূ ও পাট কর্মকর্তা রিয়াজুর সহ অঙ্গাতনাম ২/৩ জন সহযোগীর বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ রয়েছে পাট কর্মকর্তা রিয়াজুর এর আগেও এমন একাধিক ঘটনা ঘটিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চাকরি সুবাদে মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার জুগিন্দা গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে দামুড়হুদা উপজেলা পাট কর্মকর্তা রিয়াজুর ইসলাম উপজেলা সদরের দেউলী মোড় সংলগ্ন নতিপোতা ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান আজিজুর রহমানের বাসায় দীর্ঘদিন যাবত ভাড়া থেকে বসবাস করে আসছিলেন। ওই বাড়িতে উপজেলার হাউলি ইউনিয়নের পুরাতন বাস্তপুর গ্রামের মক্তবপাড়ার এক সেনা সদস্যর স্ত্রী নীতু (ছব্দনাম) তার একমাত্র ছেলে সন্তানকে নিয়ে ভাড়া থেকে বসবাস করে আসছিলেন। উভয়ে দীর্ঘদিন একই বাসায় ভাড়া থাকার সুবাদে তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে অবৈধ প্রেমের পরকীয়া সম্পর্ক। অবৈধ সম্পর্ক তাদের উভয়ের মধ্যে গভীর থেকে গভীরে রুপ নিলে তারা অজানার উদ্দেশ্য পাড়ি জামান। এ ঘটনায় পালিয়ে যাওয়া গৃহবধূর শ্বশুর বাদী হয়ে অভিযুক্ত গৃহবধূ সহ তার পরকীয়া প্রেমিক পাট কর্মকর্তা রিয়াজুর ইসলাম ও সহযোগী আরও ২/৩ জন অঙ্গাতনামর বিরুদ্ধে(২৪ এপ্রিল) দামুড়হুদা মডেল থানাতে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
লিখিত ওই অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,তার সেনাসদস্য ছেলের সাথে দীর্ঘ প্রায় ১১ বছর পূর্বে একই গ্রামের নীতু (ছব্দনাম) এর  সাথে ধর্মীয় রীতিমতো বিবাহ হয়। বিবাহের পর আমার ছেলের সংসার আলোকিত করতে জন্ম হয় এক ছেলে সন্তান।যার বর্তমান বয়স ৯ বছর।পরবর্তীতে আমার ছেলের সংসারে বিভিন্ন বিষয়াদী নিয়ে তাদের উভয়ের মধ্যে সৃষ্টি হয়  মনোমালিন্য। পরে আমার ছেলে তাকে দামুড়হুদা বাসা ভাড়া করে রাখেন, সেখানেই আমার ছেলের স্ত্রী ও আমার নাতিছেলে বসবাস করে আসছিলেন।তবে আমার ছেলের স্ত্রী বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্যাক্তির সাথে মোবাইলে কথা বলতেন। এমন বিষয়টি বুঝতে পেরে আমি একাধিকবার আমার  ছেলেকে জানালেও ছেলে তা আমলে নেয়নি। পরে জানতে পারি আমার ছেলের স্ত্রীর যে বাসায় ভাড়া থাকেন সে বাসাতে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানার জুগিন্দ গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে উপজেলা পাট কর্মকর্তা  রিয়াজুল ইসলাম নামের একজন ভাড়া থাকতেন।একই বাড়িতে ভাড়া থাকার সুবাদে তাদের উভয়ের মধ্যে পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে উঠলে কথা বার্তা বলতে থাকেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত (২৪ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটার দিকে অভিযুক্ত রিয়াজুর ইসলাম আমার পুত্রবধূকে  বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে আমার ৯ বছরের নাতি ছেলে,তার কাছে থাকা আমার ছেলের পাঠানো নগদ ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা সহ স্বর্ণের চেইন, আংটি, ব্যাচলেট, কানের, বালা ও সাংসারিক ব্যাবহার্য জিনিসপত্র নিয়ে দু’জনে অন্যত্র পালিয়ে যায়।এমন ঘটনার বিষয়ে জানাতে পেরে বিভিন্ন স্থানে খোঁজখুজি করলেও তাদের সন্ধান না মেলায় থানাতে একটি লিখিত অভিযোগ করি।
সচেতন মহল সহ অভিজ্ঞরা বলছেন,পরকীয় অসংখ্য সুখের সংসার ভেঙে তসনস হয়ে যাচ্ছে।এক্ষেত্রে এমন অপরাধে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখে চলছেন ফেইসবুক, ইমো। সামাজিক এসকল যোগাযোগ মাধ্যমেই এসকল সম্পর্ক গড়ে প্রতিনিয়ত ধ্বংস হয়ে সুখের সংসার নিমিষেই তসনস হয়ে যাচ্ছে অসংখ্য সুখের পরিবার। ফলে নিষ্পাপ সন্তান হারাচ্ছে তার পিতা- মাতার স্নেহ মমতা, বেড়ে উঠছেন চরম অনাদরে। পাশাপাশি এমন ঘটনায় ঘটে থাকেন খুনাখুনি সহ শিশু হত্যার মতো অপরাধ ! এটি সামাজিক ব্যাবিচার,এ বিষয়গুলো কঠোরভাবে দেখা উচিত!
বিষয়টি জানতে একাধিক বার বাদীর মুঠোফোনে ফোন দিলেও তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবির সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ হয়েছিলো।তবে অভিযুক্ত নারী তার ছেলেকে পিতার নিকট ফিরিয়ে দিয়েছেন। ওই নারী তার পূর্বের স্বামীকে ডিভোর্স দিয়েছেন। ফলে এ বিষয়ে বাদী পক্ষের আর কোন অভিযোগ নাই।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

লাম্পিতে বিপর্যস্ত খামারিরা

দামুড়হুদা উপজেলা পাট কর্মকর্তা সেনা সদস্যের স্ত্রী নগদ অর্থ-স্বর্ণালংকার নিয়ে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি; থানায় অভিযোগ

পোস্ট হয়েছেঃ ০৭:৩৩:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা পার্ট কর্মকর্তা রিয়াজুর ইসলাম (৩৮) এক সেনা সদস্য’র স্ত্রী সন্তান, নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার নিয়ে অজানার উদ্দেশ্য পাড়ি জমিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় সেনা সদস্য’র পিতা মাসুদুর রহমান বাদী হয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় পুত্রবধূ ও পাট কর্মকর্তা রিয়াজুর সহ অঙ্গাতনাম ২/৩ জন সহযোগীর বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ রয়েছে পাট কর্মকর্তা রিয়াজুর এর আগেও এমন একাধিক ঘটনা ঘটিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চাকরি সুবাদে মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার জুগিন্দা গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে দামুড়হুদা উপজেলা পাট কর্মকর্তা রিয়াজুর ইসলাম উপজেলা সদরের দেউলী মোড় সংলগ্ন নতিপোতা ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান আজিজুর রহমানের বাসায় দীর্ঘদিন যাবত ভাড়া থেকে বসবাস করে আসছিলেন। ওই বাড়িতে উপজেলার হাউলি ইউনিয়নের পুরাতন বাস্তপুর গ্রামের মক্তবপাড়ার এক সেনা সদস্যর স্ত্রী নীতু (ছব্দনাম) তার একমাত্র ছেলে সন্তানকে নিয়ে ভাড়া থেকে বসবাস করে আসছিলেন। উভয়ে দীর্ঘদিন একই বাসায় ভাড়া থাকার সুবাদে তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে অবৈধ প্রেমের পরকীয়া সম্পর্ক। অবৈধ সম্পর্ক তাদের উভয়ের মধ্যে গভীর থেকে গভীরে রুপ নিলে তারা অজানার উদ্দেশ্য পাড়ি জামান। এ ঘটনায় পালিয়ে যাওয়া গৃহবধূর শ্বশুর বাদী হয়ে অভিযুক্ত গৃহবধূ সহ তার পরকীয়া প্রেমিক পাট কর্মকর্তা রিয়াজুর ইসলাম ও সহযোগী আরও ২/৩ জন অঙ্গাতনামর বিরুদ্ধে(২৪ এপ্রিল) দামুড়হুদা মডেল থানাতে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
লিখিত ওই অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,তার সেনাসদস্য ছেলের সাথে দীর্ঘ প্রায় ১১ বছর পূর্বে একই গ্রামের নীতু (ছব্দনাম) এর  সাথে ধর্মীয় রীতিমতো বিবাহ হয়। বিবাহের পর আমার ছেলের সংসার আলোকিত করতে জন্ম হয় এক ছেলে সন্তান।যার বর্তমান বয়স ৯ বছর।পরবর্তীতে আমার ছেলের সংসারে বিভিন্ন বিষয়াদী নিয়ে তাদের উভয়ের মধ্যে সৃষ্টি হয়  মনোমালিন্য। পরে আমার ছেলে তাকে দামুড়হুদা বাসা ভাড়া করে রাখেন, সেখানেই আমার ছেলের স্ত্রী ও আমার নাতিছেলে বসবাস করে আসছিলেন।তবে আমার ছেলের স্ত্রী বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্যাক্তির সাথে মোবাইলে কথা বলতেন। এমন বিষয়টি বুঝতে পেরে আমি একাধিকবার আমার  ছেলেকে জানালেও ছেলে তা আমলে নেয়নি। পরে জানতে পারি আমার ছেলের স্ত্রীর যে বাসায় ভাড়া থাকেন সে বাসাতে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানার জুগিন্দ গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে উপজেলা পাট কর্মকর্তা  রিয়াজুল ইসলাম নামের একজন ভাড়া থাকতেন।একই বাড়িতে ভাড়া থাকার সুবাদে তাদের উভয়ের মধ্যে পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে উঠলে কথা বার্তা বলতে থাকেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত (২৪ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটার দিকে অভিযুক্ত রিয়াজুর ইসলাম আমার পুত্রবধূকে  বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে আমার ৯ বছরের নাতি ছেলে,তার কাছে থাকা আমার ছেলের পাঠানো নগদ ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা সহ স্বর্ণের চেইন, আংটি, ব্যাচলেট, কানের, বালা ও সাংসারিক ব্যাবহার্য জিনিসপত্র নিয়ে দু’জনে অন্যত্র পালিয়ে যায়।এমন ঘটনার বিষয়ে জানাতে পেরে বিভিন্ন স্থানে খোঁজখুজি করলেও তাদের সন্ধান না মেলায় থানাতে একটি লিখিত অভিযোগ করি।
সচেতন মহল সহ অভিজ্ঞরা বলছেন,পরকীয় অসংখ্য সুখের সংসার ভেঙে তসনস হয়ে যাচ্ছে।এক্ষেত্রে এমন অপরাধে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখে চলছেন ফেইসবুক, ইমো। সামাজিক এসকল যোগাযোগ মাধ্যমেই এসকল সম্পর্ক গড়ে প্রতিনিয়ত ধ্বংস হয়ে সুখের সংসার নিমিষেই তসনস হয়ে যাচ্ছে অসংখ্য সুখের পরিবার। ফলে নিষ্পাপ সন্তান হারাচ্ছে তার পিতা- মাতার স্নেহ মমতা, বেড়ে উঠছেন চরম অনাদরে। পাশাপাশি এমন ঘটনায় ঘটে থাকেন খুনাখুনি সহ শিশু হত্যার মতো অপরাধ ! এটি সামাজিক ব্যাবিচার,এ বিষয়গুলো কঠোরভাবে দেখা উচিত!
বিষয়টি জানতে একাধিক বার বাদীর মুঠোফোনে ফোন দিলেও তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবির সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ হয়েছিলো।তবে অভিযুক্ত নারী তার ছেলেকে পিতার নিকট ফিরিয়ে দিয়েছেন। ওই নারী তার পূর্বের স্বামীকে ডিভোর্স দিয়েছেন। ফলে এ বিষয়ে বাদী পক্ষের আর কোন অভিযোগ নাই।