
টেকসই উন্নয়নে পর্যটন” স্লোগানে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দেশের শীর্ষ পর্যটন নগরী কক্সবাজারে উদযাপিত হয়েছে বিশ্ব পর্যটন দিবস ২০২৫।
দিবসটি উপলক্ষে শনিবার ২৭ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৯টায় শহরের সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে বিশ্ব পর্যটন দিবসের সূচনা করেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল মান্নান। এরপর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত বর্ণাঢ্য র্যালি হোটেল মোটেল জোন এলাকা প্রদক্ষিণ করে লাবণী পয়েন্টে এসে শেষ হয়।
ঘোড়ার গাড়ি, ব্যান্ড দল, টুরিস্ট পুলিশের সুসজ্জিত মোটরবাইক সহকারে র্যালিতে সরকারি বিভিন্ন দফতরের পদস্থ কর্মকর্তা, পর্যটন খাতের ব্যবসায়ী-কর্মী, বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থা, স্কুল শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ এই আয়োজনে অংশ নেন।
এরপর সমুদ্র সৈকত পরিচ্ছন্নতা অভিযান উদ্বোধন করে জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল মান্নান। পরে এক আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক বলেন, পর্যটনের সঙ্গে এ জেলার সব মানুষ কোনো না কোনোভাবে সম্পৃক্ত। আমরা পর্যটন সংশ্লিষ্ট সবাইকে সঙ্গে নিয়ে বিশ্ব পর্যটন দিবস উদযাপন করছি। কক্সবাজারের পর্যটন খাতকে কীভাবে আরও টেকসই ও পরিবেশবান্ধব করা যায় সে লক্ষ্যে আমাদের কর্মতৎপরতা অব্যাহত থাকবে।
পর্যটন দিবস ও পূজার ছুটিকে সামনে রেখে পর্যটকদের নিরাপত্তায় সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা জানিয়েছেন ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ। তিনি বলেন, কক্সবাজারের এই সময়ে এক ধরনের উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। পর্যটকরা যেন নির্বিঘ্নে অবকাশ যাপন করতে পারেন সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।
এদিকে পর্যটন দিবস উপলক্ষে পর্যটন মোটেলসহ তারকা মানের হোটেল গুলোতে রয়েছে নানা আয়োজন। হোটেল মোটেলগুলোতে দেওয়া হয়েছে ছাড়। সাজানো হয়েছে পর্যটন এলাকা।
ঢাকা ঘুরতে আসা সোনিয়া পারভীন বলেন, নিরাপত্তা আমাদের প্রথম চাওয়া। এমন পরিবেশ সারা বছর থাকলে কক্সবাজারে পর্যটক সমাগম বাড়বে।