০৭:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‎শেখ হাসিনা সহ তার দোসরদের দ্রুত বিচার না হলে শহীদদের আত্মা শান্তি পাবে না—ছাত্রদল নেতা আকরাম আহমেদ

‎গোপালগঞ্জে এনসিপি আয়োজিত অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রের বিভিন্ন নিরাপত্তা বাহিনীর সম্মিলিত সহায়তা এবং সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়টিকে “গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত” হিসেবে উল্লেখ করেছেন ছাত্রদল ঢাকা মহানগর পশ্চিমের সাধারণ সম্পাদক আকরাম আহমেদ।

‎এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “গোপালগঞ্জে এনসিপিকে যেভাবে রাষ্ট্রের সব বাহিনী সম্মিলিতভাবে নিরাপত্তা দিয়েছে, তা নিঃসন্দেহে একটি সংগঠনের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ। যদি গত সাড়ে পনেরো বছরে বিরোধী দল—বিশেষ করে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা—একইরকম রাষ্ট্রীয় সদিচ্ছা, নিরাপত্তা ও সহনশীলতা পেতো, তাহলে দেশে কখনোই স্বৈরশাসনের পরিবেশ সৃষ্টি হতো না।”

‎তিনি আরও বলেন, “একটি রাষ্ট্রের প্রকৃত শক্তি হলো মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, রাজনৈতিক সহনশীলতা এবং আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধা। কিন্তু গত দেড় দশকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন ভোটারবিহীন অবৈধ সরকার বিরোধী মতকে দমন করেছে, রাষ্ট্রযন্ত্রকে দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করেছে এবং জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে।”

‎আকস্মিকভাবে তীব্র ভাষায় আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে ছাত্রদল নেতা বলেন, “এই দীর্ঘ সময় ধরে চালানো নিপীড়ন, গুম, খুন, হত্যা ও দমন-পীড়নের জন্য শেখ হাসিনা যেমন দায়ী, তেমনি তার দোসররাও দায়ী। জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পেরিয়ে গেলেও ছাত্র-জনতার ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় এখনো কোনো বিচার হয়নি, যা বর্তমান সরকারের চরম ব্যর্থতা ও নিষ্ঠুর উদাসীনতার প্রমাণ।”

‎তিনি অভিযোগ করেন, “শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের ওপর গুলি চালিয়ে যে নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছিল, তার জন্য শেখ হাসিনাসহ তার দোসররা সরাসরি দায়ী। আজ পর্যন্ত কোনো স্বাধীন তদন্ত হয়নি, কোনো চার্জশিট দেওয়া হয়নি, এমনকি বিচারিক প্রক্রিয়াও শুরু হয়নি।”

‎আকরাম আহমেদ দাবি করেন, “আমরা মনে করি, শহীদদের রক্ত বৃথা যেতে দেওয়া যাবে না। এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও শেখ হাসিনাসহ জড়িত সকলের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে হবে।”

‎নিজেকে জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের একজন ফ্রন্টলাইনের যোদ্ধা হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বিচার না হওয়ায় আমি লজ্জিত। বিচার নিয়ে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কেবল তামাশা করছে। ১৫ বছরের হাজারো গুম, খুন এবং ছাত্র-জনতার ওপর হত্যাকাণ্ডের বিচার না হলে শহীদদের আত্মা শান্তি পাবে না।”

‎ছাত্রদল নেতা আকরাম আহমেদের এই বক্তব্য গণতন্ত্র, ন্যায্যতা ও রাষ্ট্রীয় নিরপেক্ষতার প্রশ্নে নতুন করে ভাবনার সৃষ্টি করেছে। অনেকের মতে, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর দায়িত্বশীলতা যদি সব দলের প্রতি সমভাবে প্রযোজ্য হতো, তবে দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ অনেক বেশি সহনশীল ও স্থিতিশীল হতো।

ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে যুবদলের বিক্ষোভ

‎শেখ হাসিনা সহ তার দোসরদের দ্রুত বিচার না হলে শহীদদের আত্মা শান্তি পাবে না—ছাত্রদল নেতা আকরাম আহমেদ

পোস্ট হয়েছেঃ ০১:২৩:১২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫

‎গোপালগঞ্জে এনসিপি আয়োজিত অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রের বিভিন্ন নিরাপত্তা বাহিনীর সম্মিলিত সহায়তা এবং সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়টিকে “গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত” হিসেবে উল্লেখ করেছেন ছাত্রদল ঢাকা মহানগর পশ্চিমের সাধারণ সম্পাদক আকরাম আহমেদ।

‎এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “গোপালগঞ্জে এনসিপিকে যেভাবে রাষ্ট্রের সব বাহিনী সম্মিলিতভাবে নিরাপত্তা দিয়েছে, তা নিঃসন্দেহে একটি সংগঠনের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ। যদি গত সাড়ে পনেরো বছরে বিরোধী দল—বিশেষ করে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা—একইরকম রাষ্ট্রীয় সদিচ্ছা, নিরাপত্তা ও সহনশীলতা পেতো, তাহলে দেশে কখনোই স্বৈরশাসনের পরিবেশ সৃষ্টি হতো না।”

‎তিনি আরও বলেন, “একটি রাষ্ট্রের প্রকৃত শক্তি হলো মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, রাজনৈতিক সহনশীলতা এবং আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধা। কিন্তু গত দেড় দশকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন ভোটারবিহীন অবৈধ সরকার বিরোধী মতকে দমন করেছে, রাষ্ট্রযন্ত্রকে দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করেছে এবং জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে।”

‎আকস্মিকভাবে তীব্র ভাষায় আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে ছাত্রদল নেতা বলেন, “এই দীর্ঘ সময় ধরে চালানো নিপীড়ন, গুম, খুন, হত্যা ও দমন-পীড়নের জন্য শেখ হাসিনা যেমন দায়ী, তেমনি তার দোসররাও দায়ী। জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পেরিয়ে গেলেও ছাত্র-জনতার ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় এখনো কোনো বিচার হয়নি, যা বর্তমান সরকারের চরম ব্যর্থতা ও নিষ্ঠুর উদাসীনতার প্রমাণ।”

‎তিনি অভিযোগ করেন, “শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের ওপর গুলি চালিয়ে যে নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছিল, তার জন্য শেখ হাসিনাসহ তার দোসররা সরাসরি দায়ী। আজ পর্যন্ত কোনো স্বাধীন তদন্ত হয়নি, কোনো চার্জশিট দেওয়া হয়নি, এমনকি বিচারিক প্রক্রিয়াও শুরু হয়নি।”

‎আকরাম আহমেদ দাবি করেন, “আমরা মনে করি, শহীদদের রক্ত বৃথা যেতে দেওয়া যাবে না। এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও শেখ হাসিনাসহ জড়িত সকলের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে হবে।”

‎নিজেকে জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের একজন ফ্রন্টলাইনের যোদ্ধা হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বিচার না হওয়ায় আমি লজ্জিত। বিচার নিয়ে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কেবল তামাশা করছে। ১৫ বছরের হাজারো গুম, খুন এবং ছাত্র-জনতার ওপর হত্যাকাণ্ডের বিচার না হলে শহীদদের আত্মা শান্তি পাবে না।”

‎ছাত্রদল নেতা আকরাম আহমেদের এই বক্তব্য গণতন্ত্র, ন্যায্যতা ও রাষ্ট্রীয় নিরপেক্ষতার প্রশ্নে নতুন করে ভাবনার সৃষ্টি করেছে। অনেকের মতে, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর দায়িত্বশীলতা যদি সব দলের প্রতি সমভাবে প্রযোজ্য হতো, তবে দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ অনেক বেশি সহনশীল ও স্থিতিশীল হতো।