০৫:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নড়াইলের কাঞ্চনপুর গ্রামে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে পরিকল্পিত হত্যাকান্ডের অভিযোগ এনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল

নড়াইলের কালিয়া উপজেলার বাবরা-হাচলা ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে পরিকল্পিতভাবে রফিকুল মোল্যাকে (৩৮) হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন ওই গ্রামের ভূক্তভোগী লোকজন। এ হত্যাকান্ডের প্রকৃত রহস্য উদঘাটন ও দোষীদের আইনের আওতায় আনা এবং নিরাপরাধ ব্যক্তিদের হয়রানি না করার দাবিতে বুধবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে কাঞ্চনপুর-বারইপাড়া সড়কে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী লোকজন। এ সময় বক্তব্য দেন-মুস্তাইন বিল্লাহ, ইভা খানম, হানেফ মোল্যা, ফিরোজ মোল্যা, আব্দুল গফুর, জামিলা খানম প্রমূখ। বক্তারা বলেন, গত ১১ এপ্রিল সন্ধ্যায় কাঞ্চনপুর গ্রামে বিবদমান দুই গ্রুপের  পূর্ব বিরোধ ও আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে ফরিদ মোল্যাকে (৫৭) কুপিয়ে হত্যা করে মিলন মোল্যার লোকজন। এ হত্যাকান্ডটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে কাউন্টার হিসেবে আসামিপক্ষের লোকজন পরিকল্পিত ভাবে গত মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) রাতে রফিকুল মোল্যার মরদেহ প্রতিপক্ষ গ্রুপের রিকাইল শেখের বাড়ির পাশে ফেলে যায়। এ ঘটনায় রফিকুলের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল মৃতদেহের খানিকটা দূরে পাওয়া গেছে। রফিকুলের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে রিকাইল শেখসহ তার লোকজনকে দোষারূপ করা হচ্ছে।  আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চাই। পুলিশ প্রশাসনসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত করলে সঠিক তথ্য বেরিয়ে আসবে। এছাড়াও তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে রফিকুল হত্যায় প্রকৃতপক্ষে কারা জড়িত, তা দ্রুত বের করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন বক্তারা। এছাড়া ভুক্তভোগীরা আরো বলেন, রফিকুলের মরদেহ উদ্ধারের পর প্রতিপক্ষের লোকজন আমাদের অন্তত ৩০টি বাড়িঘর ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, ২৫০ মণ ধান লুটপাট এবং ৪০ টি গরু-ছাগল লুটপাট করে নিয়ে গেছে। নারী ও শিশুদের মারপিট করাসহ বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন চালানো হয়েছে। অনেকে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন। আমরা এসব ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, কালিয়ার কাঞ্চনপুর গ্রামের মিলন মোল্যা এবং আফতাব মোল্যা পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। ইতোপূর্বে একাধিক সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে দুইপক্ষের মধ্যে। এসব ঘটনায় উভয়পক্ষে একাধিক মামলাও হয়েছে। এর জের ধরে গত ১১ এপ্রিল দুইপক্ষের সংঘর্ষে ফরিদ মোল্যা নিহত হন। নিহত ফরিদ আফতাব মোল্যা পক্ষের সমর্থক। এছাড়া উভয়পক্ষে অন্তত ৩০জন আহত হন। কালিয়া থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, রফিকুল মোল্যার মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। কে বা কারা জড়িত, তা তদন্তের মাধ্যমে বেরিয়ে আসবে বলে আশা করছি। মরদেহের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এ ঘটনা কে বা কারা ঘটিয়েছে তার তদন্ত চলছে।হত্যাকান্ডের প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি বলে তিনি জানান।

ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

টাংগাইল জেলা জেটেব এর আহবায়ক কমিটির বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন

নড়াইলের কাঞ্চনপুর গ্রামে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে পরিকল্পিত হত্যাকান্ডের অভিযোগ এনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল

পোস্ট হয়েছেঃ ১১:২৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

নড়াইলের কালিয়া উপজেলার বাবরা-হাচলা ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে পরিকল্পিতভাবে রফিকুল মোল্যাকে (৩৮) হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন ওই গ্রামের ভূক্তভোগী লোকজন। এ হত্যাকান্ডের প্রকৃত রহস্য উদঘাটন ও দোষীদের আইনের আওতায় আনা এবং নিরাপরাধ ব্যক্তিদের হয়রানি না করার দাবিতে বুধবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে কাঞ্চনপুর-বারইপাড়া সড়কে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী লোকজন। এ সময় বক্তব্য দেন-মুস্তাইন বিল্লাহ, ইভা খানম, হানেফ মোল্যা, ফিরোজ মোল্যা, আব্দুল গফুর, জামিলা খানম প্রমূখ। বক্তারা বলেন, গত ১১ এপ্রিল সন্ধ্যায় কাঞ্চনপুর গ্রামে বিবদমান দুই গ্রুপের  পূর্ব বিরোধ ও আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে ফরিদ মোল্যাকে (৫৭) কুপিয়ে হত্যা করে মিলন মোল্যার লোকজন। এ হত্যাকান্ডটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে কাউন্টার হিসেবে আসামিপক্ষের লোকজন পরিকল্পিত ভাবে গত মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) রাতে রফিকুল মোল্যার মরদেহ প্রতিপক্ষ গ্রুপের রিকাইল শেখের বাড়ির পাশে ফেলে যায়। এ ঘটনায় রফিকুলের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল মৃতদেহের খানিকটা দূরে পাওয়া গেছে। রফিকুলের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে রিকাইল শেখসহ তার লোকজনকে দোষারূপ করা হচ্ছে।  আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চাই। পুলিশ প্রশাসনসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত করলে সঠিক তথ্য বেরিয়ে আসবে। এছাড়াও তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে রফিকুল হত্যায় প্রকৃতপক্ষে কারা জড়িত, তা দ্রুত বের করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন বক্তারা। এছাড়া ভুক্তভোগীরা আরো বলেন, রফিকুলের মরদেহ উদ্ধারের পর প্রতিপক্ষের লোকজন আমাদের অন্তত ৩০টি বাড়িঘর ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, ২৫০ মণ ধান লুটপাট এবং ৪০ টি গরু-ছাগল লুটপাট করে নিয়ে গেছে। নারী ও শিশুদের মারপিট করাসহ বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন চালানো হয়েছে। অনেকে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন। আমরা এসব ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, কালিয়ার কাঞ্চনপুর গ্রামের মিলন মোল্যা এবং আফতাব মোল্যা পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। ইতোপূর্বে একাধিক সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে দুইপক্ষের মধ্যে। এসব ঘটনায় উভয়পক্ষে একাধিক মামলাও হয়েছে। এর জের ধরে গত ১১ এপ্রিল দুইপক্ষের সংঘর্ষে ফরিদ মোল্যা নিহত হন। নিহত ফরিদ আফতাব মোল্যা পক্ষের সমর্থক। এছাড়া উভয়পক্ষে অন্তত ৩০জন আহত হন। কালিয়া থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, রফিকুল মোল্যার মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। কে বা কারা জড়িত, তা তদন্তের মাধ্যমে বেরিয়ে আসবে বলে আশা করছি। মরদেহের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এ ঘটনা কে বা কারা ঘটিয়েছে তার তদন্ত চলছে।হত্যাকান্ডের প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি বলে তিনি জানান।