০৫:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ছাতকে বিভিন্ন জায়গায় নদীর তীরবর্তী আকস্মিক ভাঙন

Oplus_0

সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রাম এলাকায় বাঁধের প্রায় কয়েক’শ মিটার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া দেখা দিয়েছে বড় আকারের ফাটল।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বেশ কয়েকশ মিটার জায়গা ভেঙে পড়ায় নতুন করে ঝুঁকিতে পড়েছেন। ছাতক উপজেলার দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের ০৯নং
 ওয়ার্ডে রাম চন্দ্র পুর গ্রামে সুরমা নদীর শাখা গানুরা নদী পাড়ে বসবাস কারী জনসংখ্যা প্রায় ৫০০ জন
নদী ভাংগনে ফসলী জমি, শশ্মান ঘাট কালাছান বাড়ি মন্দির গ্রাম্যডাক্তার খানা, গণশিক্ষা কেন্দ্র,বসত বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে মানূষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে বাউশা,বেরাজপুর, ব্রাম্মন গাও, দেবেরগাঁও (জাফরশাহ)গ্রামের অন্তত কয়েকশ মানুষ নদী ভাঙ্গনে অসহায়,চরমহল্লা ইউনিয়নের কামার খাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভাঙ্গনের মুখে,
জানা যায় গত কয়েক বছর ধরে ছাতক উপজেলার ভিন্ন ভিন্ন  এলাকায় নদীর তীব্র ভাঙনে  গ্রামের কয়েক হাজার একর ফসলি জমি এবং ঘর-বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বসতভিটা হারিয়েছে অনেক মানুষ । বিভিন্ন এলাকার মানুষ জোয়ার-ভাটার সঙ্গে যুদ্ধ করে বেঁচে আছে।
ছাতক উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দারা  বলেন, আমরা বছরে ৬ মাস পানির সঙ্গে যুদ্ধ করে চলি। আমাদের এই কষ্টগুলো কারো চোখে পড়ে না।’
‘দ্রুত টেকসই বাঁধ নির্মাণ করা না গেলে পুরো ক্ষতিগ্রস্থ ছাতক উপজেলার ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গার চিত্র মুছে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের আতঙ্কে দিন কাটছে যার ফলে সরকারের কাছে তাদের আকুল আবেদন দ্রুত কাজ শুরু করার মাধ্যমে বসতভিটা,রাস্তা এবং স্কুল গুলো রক্ষা করা
স্থানীয়রা যোগাযোগ করা হলে ছাতক উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো: তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ পরিদর্শন করে ঝুঁকিপূর্ণ বাড়ির নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে বাঁধ মেরামত ও নদী ভাঙ্গন রোধ করতে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
 পানি উন্নয়ন বোর্ডের  প্রকৌশলী মাসুম চৌধুরী বলেন, নদী সংলগ্ন ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ এলাকা আমরা পরিদর্শন করেছি। আগামী বছরের মধ্যে ছাতক উপজেলার ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা চিহ্নিত করে বাঁধের নির্মাণ ও ক্ষতিগ্রস্থ জায়গা নির্ধারন করে কাজ শুরু করার চেষ্টা করব। আমরা  বসতভিটা, রাস্তা এবং স্কুল রক্ষা করার কাজ করব ।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

রাজধানীর ফকিরাপুলে গোয়েন্দা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি বর্ষনের ঘটনায় দুই সহযোগীসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী বাপ্পিকে তিনটি বিদেশী পিস্তল ও বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদসহ গ্রেফতার করেছে ডিবি

ছাতকে বিভিন্ন জায়গায় নদীর তীরবর্তী আকস্মিক ভাঙন

পোস্ট হয়েছেঃ ০৬:৩৩:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫
সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রাম এলাকায় বাঁধের প্রায় কয়েক’শ মিটার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া দেখা দিয়েছে বড় আকারের ফাটল।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বেশ কয়েকশ মিটার জায়গা ভেঙে পড়ায় নতুন করে ঝুঁকিতে পড়েছেন। ছাতক উপজেলার দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের ০৯নং
 ওয়ার্ডে রাম চন্দ্র পুর গ্রামে সুরমা নদীর শাখা গানুরা নদী পাড়ে বসবাস কারী জনসংখ্যা প্রায় ৫০০ জন
নদী ভাংগনে ফসলী জমি, শশ্মান ঘাট কালাছান বাড়ি মন্দির গ্রাম্যডাক্তার খানা, গণশিক্ষা কেন্দ্র,বসত বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে মানূষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে বাউশা,বেরাজপুর, ব্রাম্মন গাও, দেবেরগাঁও (জাফরশাহ)গ্রামের অন্তত কয়েকশ মানুষ নদী ভাঙ্গনে অসহায়,চরমহল্লা ইউনিয়নের কামার খাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভাঙ্গনের মুখে,
জানা যায় গত কয়েক বছর ধরে ছাতক উপজেলার ভিন্ন ভিন্ন  এলাকায় নদীর তীব্র ভাঙনে  গ্রামের কয়েক হাজার একর ফসলি জমি এবং ঘর-বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বসতভিটা হারিয়েছে অনেক মানুষ । বিভিন্ন এলাকার মানুষ জোয়ার-ভাটার সঙ্গে যুদ্ধ করে বেঁচে আছে।
ছাতক উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দারা  বলেন, আমরা বছরে ৬ মাস পানির সঙ্গে যুদ্ধ করে চলি। আমাদের এই কষ্টগুলো কারো চোখে পড়ে না।’
‘দ্রুত টেকসই বাঁধ নির্মাণ করা না গেলে পুরো ক্ষতিগ্রস্থ ছাতক উপজেলার ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গার চিত্র মুছে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের আতঙ্কে দিন কাটছে যার ফলে সরকারের কাছে তাদের আকুল আবেদন দ্রুত কাজ শুরু করার মাধ্যমে বসতভিটা,রাস্তা এবং স্কুল গুলো রক্ষা করা
স্থানীয়রা যোগাযোগ করা হলে ছাতক উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো: তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ পরিদর্শন করে ঝুঁকিপূর্ণ বাড়ির নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে বাঁধ মেরামত ও নদী ভাঙ্গন রোধ করতে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
 পানি উন্নয়ন বোর্ডের  প্রকৌশলী মাসুম চৌধুরী বলেন, নদী সংলগ্ন ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ এলাকা আমরা পরিদর্শন করেছি। আগামী বছরের মধ্যে ছাতক উপজেলার ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা চিহ্নিত করে বাঁধের নির্মাণ ও ক্ষতিগ্রস্থ জায়গা নির্ধারন করে কাজ শুরু করার চেষ্টা করব। আমরা  বসতভিটা, রাস্তা এবং স্কুল রক্ষা করার কাজ করব ।