০৩:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রবাসী’র কাছ থেকে জেলা নির্বাচন অফিসার এর ২ লাখ টাকা ঘুস দাবির অভিযোগ দর কশাকশি’র অডিও ফাস

  • parvez press
  • পোস্ট হয়েছেঃ ০৬:৩৮:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫
  • 61
 ইলিয়াচুর রহমান নামে গোপালগঞ্জের এক সৌদি প্রবাসী তার এন আই ডি কার্ড সংশোধনের জন্য জেলা নির্বাচন অফিসার মো : মাহফুজুর রহমানের কাছে যান গত ১৮ জুন তখন তিনি প্রবাসী ইলিয়াচুর রহমান এর কাছে এন আই ডি ‘র বয়স ও নাম সংশোধনের জন্য ২ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। পরের দিন ১৯ জুন আবার ইলিয়াচুর রহমান তার কাছে গেলে ১১ মিনিটের কথোপোকথনে নিজের মোবাইল দিয়ে গোপনে নির্বাচন অফিসারের ঘুষ নিয়ে দর কশাকষি’র একটি অডিও রেকর্ড করেন। সেখানে অভিযোগকারী ইলিয়াচুর রহমানের ভাষ্যমতে নির্বাচন অফিসার মাহফুজুর রহমানকে বলতে শোনা যায় ২ লাখ থেকে ২০ হাজার কম দিয়েন, পরে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা ঘুষের বিনিময়ে এন আই ডি সংশোধন করে দিতে রাজি হন ঔ কর্মকর্তা। এ বিষয়ে ঘুষ দাবির অভিযোগ এনে গত ২৫/০৬/২০২৫ তারিখে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিব বরাবর একটি অভিযোগ দেন ভুক্তভুগী ইলিয়াচুর রহমান। (অভিযোগের কপি ও ঘুষ নিয়ে দর কশাকষি’র অডিও সংযুক্ত ) ।
অভিযোগকারী গোপালগঞ্জ শহরের আরামবাগ এলাকার বাসিন্দা ইলিয়াচুর  রহমান বলেন, আমি ৪ বছর প্রবাস জীবন কাটিয়ে ২০২১ সালে দেশে আসি,সম্প্রতি আমার জাতীয় পরিচয় পত্রের বয়স ও নামের বানান সংশোধনের জন্য জেলা নির্বাচন অফিসার মো: মাহফুজুর রহমান কে আমার পাসপোর্ট সহ সমস্ত কাগজ পত্র দেখালে তিনি বিষয়টিকে অত্যন্ত জটিল বলে উল্লেখ করেন। এন আইডি সংশোধনের আবেদন এর ক্রমিকনং : (এনআইডিসিএ ১৯৮৯০৩৪১) । পরে তিনি আমার কাছে ২ লাখ টাকা ঘুষ চেয়ে বলেন তাহলে আমি ঢাকা থেকে সংশোধন করিয়ে আনবো।  এ বিষয়ে জেলা নির্বচন অফিসার মাহফুজুর রহমান এর কার্যালয়ে তার বক্তব্যের জন্য  গেলে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি তিনি। তবে অফ রেকর্ড এ  ঘুষ নিয়ে দর কশাকশি’র বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন বর্তমানে এ আই প্রযুক্তি দিয়ে কত জনের ইতো কথা নকল করা যায়।  তবে  গোপালগঞ্জ জেলা নির্বাচন অফিসে কর্মরত সুমন নামে একজন স্টাফ (01710157550)এই নাম্বার থেকে হোয়াটসঅ্যাপে নগদ একাউন্ট নাম্বার চেয়ে অর্থের বিনিময়ে প্রতিবেদককে ম্যানেজ করার খুঁজে বার্তা পাঠায়। যার স্ক্রিনশট রয়েছে।   অভিযোগের বিষয়টি অবগত আছেন বলে জানান, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন এর সচিব আখতার আহমেদ।  তিনি বলেন গোপালগঞ্জ জেলা নির্বাচন অফিসার এর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত হলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

ব্রাহ্মণপাড়ার জন্য একটি ফায়ার সার্ভিসের ব্যবস্থা করব ব্যারিষ্টার আবদুল্লাহ আল মামুন

প্রবাসী’র কাছ থেকে জেলা নির্বাচন অফিসার এর ২ লাখ টাকা ঘুস দাবির অভিযোগ দর কশাকশি’র অডিও ফাস

পোস্ট হয়েছেঃ ০৬:৩৮:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫
 ইলিয়াচুর রহমান নামে গোপালগঞ্জের এক সৌদি প্রবাসী তার এন আই ডি কার্ড সংশোধনের জন্য জেলা নির্বাচন অফিসার মো : মাহফুজুর রহমানের কাছে যান গত ১৮ জুন তখন তিনি প্রবাসী ইলিয়াচুর রহমান এর কাছে এন আই ডি ‘র বয়স ও নাম সংশোধনের জন্য ২ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। পরের দিন ১৯ জুন আবার ইলিয়াচুর রহমান তার কাছে গেলে ১১ মিনিটের কথোপোকথনে নিজের মোবাইল দিয়ে গোপনে নির্বাচন অফিসারের ঘুষ নিয়ে দর কশাকষি’র একটি অডিও রেকর্ড করেন। সেখানে অভিযোগকারী ইলিয়াচুর রহমানের ভাষ্যমতে নির্বাচন অফিসার মাহফুজুর রহমানকে বলতে শোনা যায় ২ লাখ থেকে ২০ হাজার কম দিয়েন, পরে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা ঘুষের বিনিময়ে এন আই ডি সংশোধন করে দিতে রাজি হন ঔ কর্মকর্তা। এ বিষয়ে ঘুষ দাবির অভিযোগ এনে গত ২৫/০৬/২০২৫ তারিখে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিব বরাবর একটি অভিযোগ দেন ভুক্তভুগী ইলিয়াচুর রহমান। (অভিযোগের কপি ও ঘুষ নিয়ে দর কশাকষি’র অডিও সংযুক্ত ) ।
অভিযোগকারী গোপালগঞ্জ শহরের আরামবাগ এলাকার বাসিন্দা ইলিয়াচুর  রহমান বলেন, আমি ৪ বছর প্রবাস জীবন কাটিয়ে ২০২১ সালে দেশে আসি,সম্প্রতি আমার জাতীয় পরিচয় পত্রের বয়স ও নামের বানান সংশোধনের জন্য জেলা নির্বাচন অফিসার মো: মাহফুজুর রহমান কে আমার পাসপোর্ট সহ সমস্ত কাগজ পত্র দেখালে তিনি বিষয়টিকে অত্যন্ত জটিল বলে উল্লেখ করেন। এন আইডি সংশোধনের আবেদন এর ক্রমিকনং : (এনআইডিসিএ ১৯৮৯০৩৪১) । পরে তিনি আমার কাছে ২ লাখ টাকা ঘুষ চেয়ে বলেন তাহলে আমি ঢাকা থেকে সংশোধন করিয়ে আনবো।  এ বিষয়ে জেলা নির্বচন অফিসার মাহফুজুর রহমান এর কার্যালয়ে তার বক্তব্যের জন্য  গেলে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি তিনি। তবে অফ রেকর্ড এ  ঘুষ নিয়ে দর কশাকশি’র বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন বর্তমানে এ আই প্রযুক্তি দিয়ে কত জনের ইতো কথা নকল করা যায়।  তবে  গোপালগঞ্জ জেলা নির্বাচন অফিসে কর্মরত সুমন নামে একজন স্টাফ (01710157550)এই নাম্বার থেকে হোয়াটসঅ্যাপে নগদ একাউন্ট নাম্বার চেয়ে অর্থের বিনিময়ে প্রতিবেদককে ম্যানেজ করার খুঁজে বার্তা পাঠায়। যার স্ক্রিনশট রয়েছে।   অভিযোগের বিষয়টি অবগত আছেন বলে জানান, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন এর সচিব আখতার আহমেদ।  তিনি বলেন গোপালগঞ্জ জেলা নির্বাচন অফিসার এর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত হলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।