১১:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কালীগঞ্জে জুলাই ২৪ গণঅভ্যুত্থানে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ভূমিকা শীর্ষক ছাত্র সমাবেশ অনুষ্ঠিত

লালমনিরহাট কালীগঞ্জ উপজেলায় ০৫ এ জুলাই রোজ শনিবার বিকেলে জুলাই ২৪ এ গণঅভ্যুত্থানের জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ভূমিকা শীর্ষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জনাব জাহাঙ্গীর আলম এবং সভাপতিত্ব করেন কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মোমছেদুল খান বুলবুল।
মোমছেদুল খান বুলবুল বলেন “গণঅভ্যুত্থানে বিজয়ী ছাত্র-জনতাকে একটি শোকাবহ খবর জানাতে হচ্ছে। এই আন্দোলনে আমাদের ৪৯ জন নেতাকর্মী শহীদ হয়েছেন। আন্দোলনে হাজারের অধিক ছাত্র-জনতা শহীদ হয়েছেন। আমি আমাদের ছাত্রদলের ৪৯ শহীদসহ সব শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি, তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।
 জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল অগণতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসছে। ২০০৯ সাল থেকে শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রাজপথে সক্রিয় প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। গণতান্ত্রিক সংগ্রামে আমাদের অসংখ্য সহযোদ্ধা গুম, খুন, ক্রসফায়ারের শিকার হয়েছে, আয়নাঘরে বন্দি হয়েছে। রিমান্ডে, কারাগারে নির্যাতনের শিকার হয়েছে। শত নির্যাতনের পরও আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত ছিল। বিগত ষোল বছরে আমরা একটি দিনের জন্যও আন্দোলনের মাঠ ছেড়ে যাইনি।
সমাবেশে আরও বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদল অগ্রসৈনিকের ভূমিকা পালন করেছে। জনগণের সব ন্যায্য দাবিতেও আন্দোলন গড়ে তুলেছে।তিনি বলেন, “সম্প্রতি জুলাই-আগস্ট মাসের আন্দোলনে ছাত্রদলের ত্যাগ ছিল নজিরবিহীন। কোটা সংস্কারের দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলনে শুরু থেকেই ছাত্রদল পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ছাত্রদলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা সাধারণ ছাত্রদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আন্দোলনকে বেগবান করেছে।”
কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘জুলাই মাসের শুরুতেই ছাত্রদলের এই উদ্যোগের জন্য ধন্যবাদ। জুলাই আন্দোলন একদিনে ঘটেনি, হাজার হাজার মানুষের জীবন দিয়েই তা অর্জিত হয়েছে। ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানও রক্তের বিনিময়ে সম্ভব হয়েছিল। ৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিজয় অর্জিত হয়েছিল। আজ আমরা একটি হাসিনামুক্ত বাংলাদেশ পেয়েছি। শহীদ ওয়াসিম, সাঈদের রক্ত বৃথা যাবে না।’
তিনি বলেন, “জুলাই ম্যাসাকার এবং আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে ‘প্রাচ্যের কসাই’ পলাতক ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ছাত্রদলের মোট ৪৯ জন সহযোদ্ধাকে খুন করেছে।”
এসময় কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

ঘোড়াঘাটে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জাহিদ হোসেন

কালীগঞ্জে জুলাই ২৪ গণঅভ্যুত্থানে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ভূমিকা শীর্ষক ছাত্র সমাবেশ অনুষ্ঠিত

পোস্ট হয়েছেঃ ০৮:০৫:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫
লালমনিরহাট কালীগঞ্জ উপজেলায় ০৫ এ জুলাই রোজ শনিবার বিকেলে জুলাই ২৪ এ গণঅভ্যুত্থানের জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ভূমিকা শীর্ষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জনাব জাহাঙ্গীর আলম এবং সভাপতিত্ব করেন কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মোমছেদুল খান বুলবুল।
মোমছেদুল খান বুলবুল বলেন “গণঅভ্যুত্থানে বিজয়ী ছাত্র-জনতাকে একটি শোকাবহ খবর জানাতে হচ্ছে। এই আন্দোলনে আমাদের ৪৯ জন নেতাকর্মী শহীদ হয়েছেন। আন্দোলনে হাজারের অধিক ছাত্র-জনতা শহীদ হয়েছেন। আমি আমাদের ছাত্রদলের ৪৯ শহীদসহ সব শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি, তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।
 জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল অগণতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসছে। ২০০৯ সাল থেকে শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রাজপথে সক্রিয় প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। গণতান্ত্রিক সংগ্রামে আমাদের অসংখ্য সহযোদ্ধা গুম, খুন, ক্রসফায়ারের শিকার হয়েছে, আয়নাঘরে বন্দি হয়েছে। রিমান্ডে, কারাগারে নির্যাতনের শিকার হয়েছে। শত নির্যাতনের পরও আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত ছিল। বিগত ষোল বছরে আমরা একটি দিনের জন্যও আন্দোলনের মাঠ ছেড়ে যাইনি।
সমাবেশে আরও বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদল অগ্রসৈনিকের ভূমিকা পালন করেছে। জনগণের সব ন্যায্য দাবিতেও আন্দোলন গড়ে তুলেছে।তিনি বলেন, “সম্প্রতি জুলাই-আগস্ট মাসের আন্দোলনে ছাত্রদলের ত্যাগ ছিল নজিরবিহীন। কোটা সংস্কারের দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলনে শুরু থেকেই ছাত্রদল পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ছাত্রদলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা সাধারণ ছাত্রদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আন্দোলনকে বেগবান করেছে।”
কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘জুলাই মাসের শুরুতেই ছাত্রদলের এই উদ্যোগের জন্য ধন্যবাদ। জুলাই আন্দোলন একদিনে ঘটেনি, হাজার হাজার মানুষের জীবন দিয়েই তা অর্জিত হয়েছে। ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানও রক্তের বিনিময়ে সম্ভব হয়েছিল। ৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিজয় অর্জিত হয়েছিল। আজ আমরা একটি হাসিনামুক্ত বাংলাদেশ পেয়েছি। শহীদ ওয়াসিম, সাঈদের রক্ত বৃথা যাবে না।’
তিনি বলেন, “জুলাই ম্যাসাকার এবং আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে ‘প্রাচ্যের কসাই’ পলাতক ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ছাত্রদলের মোট ৪৯ জন সহযোদ্ধাকে খুন করেছে।”
এসময় কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।