
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে প্রেসক্লাব ভবনে ঢুকে একদল সন্ত্রাসী পলাশবাড়ী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও ৭১ টেলিভিশনের স্থানীয় সাংবাদিক পাপুল সরকারকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছে। শনিবার (৫ জুলাই) রাত আনুমানিক ৯টা ৩০ মিনিটে উপজেলার চৌমাথা মোড়ে অবস্থিত প্রেসক্লাব ভবনে এ ঘটনা ঘটে।
প্রাপ্ত সিসি টিভি ফুটেজে দেখা যায়, ঘটনার কিছুক্ষণ আগে থেকেই প্রেসক্লাবে অবস্থান করছিলেন পলাশবাড়ী উপজেলা যুব জামায়াতের সভাপতি ও জামায়াতের রোকন শামিম এবং যুব জামায়াত নেতা হিন্দোলসহ কয়েকজন। কিছুক্ষণ পর প্রেসক্লাবে প্রবেশ করেন পাপুল সরকার। তিনি সৌজন্যমূলকভাবে শামিমের সঙ্গে করমর্দন করে স্বাভাবিকভাবে চেয়ারে বসেন।
তবে এর কিছু সময় পরই শুরু হয় উত্তপ্ত বাকবিতণ্ডা। শামিম ও হিন্দোল তাকে ঘিরে হাত নেড়ে উত্তেজিত ভঙ্গিতে কথা বলতে থাকেন। এক পর্যায়ে তারা সাংবাদিক পাপুল সরকারের উপর হামলা চালায়। তাকে মারধর করে তার ব্যবহৃত অ্যান্ড্রয়েড ফোন ছিনিয়ে নেয়। এরপর টি-শার্টের কলার ধরে তাকে টেনে-হিঁচড়ে প্রেসক্লাব ভবনের বাইরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে জনমনে এবং সাংবাদিক সমাজে তীব্র ক্ষোভ, নিন্দা ও প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়লে নিন্দার ঝড় ওঠে সর্বত্র।
সাধারণ সম্পাদক পাপুল সরকার জানান, পলাশবাড়ী উপজেলা যুব জামায়াতের কতিপয় নেতাকর্মী পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালিয়েছে। তাদের এমন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড উপজেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। এ ঘটনায় পলাশবাড়ী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ এবং গাইবান্ধা অস্থায়ী সেনা ক্যাম্পেও একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন বলে জানিয়েছেন পাপুল সরকার।
ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন তিনি এবং গাইবান্ধার গণমাধ্যমকর্মীরা। এ ঘটনায় পলাশবাড়ী প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।