১২:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মেলান্দহে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জমি দখলের অভিযোগ

জামালপুরের মেলান্দহে আদালতের স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় থানায় ও আদালতে একাধিক মামলা করেছেন ভুক্তভোগী।

জানা গেছে, উপজেলার হাজরাবাড়ী পৌরসভার গুজামানিকা এলাকার দিদারুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি পৈত্রিক সূত্রে ভোগদখল করা ৫৬ শতাংশ জমি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছেন একই এলাকার সাইফুল ইসলাম ছক্কু ও তার পরিবারের সদস্যরা।

ভুক্তভোগী দিদারুল ইসলাম জানান, গুজামানিকা মৌজার ৪৮ নম্বর খতিয়ানে ৯৪২ ও ৯৪৩ নম্বর দাগে ওই জমি দীর্ঘদিন ধরে তাদের পরিবার ভোগদখল করে আসছে। তবে প্রতিপক্ষ একটি দলিল দেখিয়ে জমির মালিকানা দাবি করে আদালতে মামলা করে। আদালত দীর্ঘ শুনানির পর দিদারুল ইসলামের পক্ষে রায় দেন এবং সাইফুল ইসলাম গংদের বিরুদ্ধে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। আপিলে গিয়েও তারা ব্যর্থ হন।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, “৩০ জুন মীমাংসার কথা বলে তারা আদালতে মুচলেকা দিয়ে জামিন নেয়। এরপরই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আবার জমি দখলে নামে এবং বসতবাড়ি নির্মাণের চেষ্টা করে।”

অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম ছক্কু দাবি করেন, “এটা আমাদের পৈতৃক সম্পদ। আমাদের দলিল আগে করা। আমরা আদালতের রায় পেয়েছি, তবে দিদারুলরা জমি দখল করে খেয়েছে।”

মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম সম্রাট বলেন, “জমি সংক্রান্ত বিষয়টি আদালতে চলমান। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

লালমোহন ডেন্টাল এসোসিয়েশন কমিটি গঠন:

মেলান্দহে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জমি দখলের অভিযোগ

পোস্ট হয়েছেঃ ১১:৫১:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫

জামালপুরের মেলান্দহে আদালতের স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় থানায় ও আদালতে একাধিক মামলা করেছেন ভুক্তভোগী।

জানা গেছে, উপজেলার হাজরাবাড়ী পৌরসভার গুজামানিকা এলাকার দিদারুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি পৈত্রিক সূত্রে ভোগদখল করা ৫৬ শতাংশ জমি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছেন একই এলাকার সাইফুল ইসলাম ছক্কু ও তার পরিবারের সদস্যরা।

ভুক্তভোগী দিদারুল ইসলাম জানান, গুজামানিকা মৌজার ৪৮ নম্বর খতিয়ানে ৯৪২ ও ৯৪৩ নম্বর দাগে ওই জমি দীর্ঘদিন ধরে তাদের পরিবার ভোগদখল করে আসছে। তবে প্রতিপক্ষ একটি দলিল দেখিয়ে জমির মালিকানা দাবি করে আদালতে মামলা করে। আদালত দীর্ঘ শুনানির পর দিদারুল ইসলামের পক্ষে রায় দেন এবং সাইফুল ইসলাম গংদের বিরুদ্ধে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। আপিলে গিয়েও তারা ব্যর্থ হন।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, “৩০ জুন মীমাংসার কথা বলে তারা আদালতে মুচলেকা দিয়ে জামিন নেয়। এরপরই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আবার জমি দখলে নামে এবং বসতবাড়ি নির্মাণের চেষ্টা করে।”

অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম ছক্কু দাবি করেন, “এটা আমাদের পৈতৃক সম্পদ। আমাদের দলিল আগে করা। আমরা আদালতের রায় পেয়েছি, তবে দিদারুলরা জমি দখল করে খেয়েছে।”

মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম সম্রাট বলেন, “জমি সংক্রান্ত বিষয়টি আদালতে চলমান। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”