০৮:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারতীয় সীমান্ত ছুঁয়ে বকশীগঞ্জে আলোড়ন সীমান্তে বিএসএফের পুশইন, নারীসহ আটক ৭

সীমান্তে আন্তর্জাতিক আইনের তোয়াক্কা না করে পুশইনের অপতৎপরতা অব্যাহত রেখেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী। বিজিবি-বিএসএফের একাধিক পতাকা বৈঠক সত্ত্বেও থামছে না এই মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা।সর্বশেষ বৃহস্পতিবার ভোরে জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর সীমান্ত দিয়ে চার নারীসহ সাতজন বাংলাদেশিকে জোরপূর্বক পুশইন করে বিএসএফ। ভোর ৪টার দিকে সীমান্তের ১০৮৩ নম্বর পিলারের নিকট দিয়ে তাদের বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানো হয়।স্থানীয়রা জানায়, ভোররাতে সীমান্তে সন্দেহজনক চলাফেরা লক্ষ্য করে গ্রামবাসী এগিয়ে যায়। পরে সাতজনকে আটক করে বকশীগঞ্জ থানা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।আটককৃতরা হলেন, এনায়েত খাঁ (৫৫) ও মোহাম্মদ ইসলাম (২২), পিতা-পুত্র, মোড়লগঞ্জ, বাগেরহাট, কোরবান আলী (২০) ও তার মা তাছলিমা বেগম (৫০), ফরিদপুর, সুমি আক্তার (৩০) ও রেমি আক্তার (২০), দুই বোন, খুলনার খালিশপুর, মায়া আক্তার (৩২), পাথরঘাটা, বরগুনা। স্থানীয় ইউপি সদস্য মোতালেব মিয়া জানান, সকালেই খবর পাই ভারত থেকে ৭ জনকে পুশইন করা হয়েছে। গ্রামবাসীকে সঙ্গে নিয়ে তাদের সীমান্ত থেকে আটক করি।আটক ব্যক্তিরা জানান, জীবিকার সন্ধানে দালালের মাধ্যমে তারা ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে গিয়েছিলেন। কিন্তু সাম্প্রতিককালে বিএসএফ বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশিদের জোরপূর্বক ফেরত পাঠানো শুরু করেছে।বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ বলেন, সীমান্ত পুশইনের পর স্থানীয়দের সহায়তায় সাতজনকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।সীমান্তে এই ধরনের ক্রমাগত পুশইন কেবল মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন নয়, বরং তা আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেও গুরুতর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

তারেক রহমানের সাথে সাক্ষাতের আমন্ত্রণ পেল জুলাই আন্দোলনে নিহত বিপ্লব হাসানের পরিবার

ভারতীয় সীমান্ত ছুঁয়ে বকশীগঞ্জে আলোড়ন সীমান্তে বিএসএফের পুশইন, নারীসহ আটক ৭

পোস্ট হয়েছেঃ ০৬:২৮:৫৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫

সীমান্তে আন্তর্জাতিক আইনের তোয়াক্কা না করে পুশইনের অপতৎপরতা অব্যাহত রেখেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী। বিজিবি-বিএসএফের একাধিক পতাকা বৈঠক সত্ত্বেও থামছে না এই মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা।সর্বশেষ বৃহস্পতিবার ভোরে জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর সীমান্ত দিয়ে চার নারীসহ সাতজন বাংলাদেশিকে জোরপূর্বক পুশইন করে বিএসএফ। ভোর ৪টার দিকে সীমান্তের ১০৮৩ নম্বর পিলারের নিকট দিয়ে তাদের বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানো হয়।স্থানীয়রা জানায়, ভোররাতে সীমান্তে সন্দেহজনক চলাফেরা লক্ষ্য করে গ্রামবাসী এগিয়ে যায়। পরে সাতজনকে আটক করে বকশীগঞ্জ থানা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।আটককৃতরা হলেন, এনায়েত খাঁ (৫৫) ও মোহাম্মদ ইসলাম (২২), পিতা-পুত্র, মোড়লগঞ্জ, বাগেরহাট, কোরবান আলী (২০) ও তার মা তাছলিমা বেগম (৫০), ফরিদপুর, সুমি আক্তার (৩০) ও রেমি আক্তার (২০), দুই বোন, খুলনার খালিশপুর, মায়া আক্তার (৩২), পাথরঘাটা, বরগুনা। স্থানীয় ইউপি সদস্য মোতালেব মিয়া জানান, সকালেই খবর পাই ভারত থেকে ৭ জনকে পুশইন করা হয়েছে। গ্রামবাসীকে সঙ্গে নিয়ে তাদের সীমান্ত থেকে আটক করি।আটক ব্যক্তিরা জানান, জীবিকার সন্ধানে দালালের মাধ্যমে তারা ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে গিয়েছিলেন। কিন্তু সাম্প্রতিককালে বিএসএফ বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশিদের জোরপূর্বক ফেরত পাঠানো শুরু করেছে।বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ বলেন, সীমান্ত পুশইনের পর স্থানীয়দের সহায়তায় সাতজনকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।সীমান্তে এই ধরনের ক্রমাগত পুশইন কেবল মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন নয়, বরং তা আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেও গুরুতর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।