
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার মোড়দহ গাড়াবাড়ি দাখিল মাদ্রাসার সুপার মোঃ নুরুল ইসলাম আনছারী ও তার ছেলে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উল্লাপাড়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে জামাত-শিবির সংশ্লিষ্ট একদল সন্ত্রাসী কর্তৃক শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই তারা রাজনৈতিক কারণে তাকে নানাভাবে হয়রানি করে আসছে।
নুরুল ইসলাম আনছারী জানান, অদ্য সকাল ১০টার দিকে তিনি প্রতিদিনের মতো মাদ্রাসায় গিয়ে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এমন সময় মোড়দহ গ্রামের মৃত মহির উদ্দিনের ছেলে আমিরুল ইসলাম (৪৫), চক-বাঙ্গালা গ্রামের ইব্রাহিমের ছেলে ইসমাইল হোসেন (৩৫), গাড়াবাড়ী গ্রামের মৃত কাসেম আলীর ছেলে আলীম (৪৮),মোরদহ গ্রামের মৃত- ময়েন উদ্দিনের ছেলে, গোলাপ হোসেন (৫৫), কাটার মহাল গ্রামের মৃত আহন্মদ আলী খার ছেলে আব্দুল জলিল খা (৫২),গাড়াবাড়ী গ্রামের -মৃত-কাসেম আলীর ছেলে, আজাদ হোসেন (৩৫) এবং কাঁটার মহাল বাঙ্গালা গ্রামের, মৃত-ফজল করিমের ছেলে হায়দার আলী (৬০) সহ আরও কয়েকজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে অনধিকার প্রবেশ করে। তারা তাঁকে ও তাঁর ছেলেকে এলোপাতাড়ি মারধর করে এবং দুজনের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। একপর্যায়ে তিনি ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশের সহায়তা চান। পরে উল্লাপাড়া মডেল থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে নিরাপদে বাড়িতে পৌঁছে দেয়।
সংবাদ সম্মেলনে আনছারী বলেন, “আমি একজন শিক্ষক হিসেবে শুধু আমার দায়িত্ব পালন করছিলাম। অথচ রাজনৈতিক পরিচয়ে সন্ত্রাসীরা আমাকে ও আমার পরিবারকে টার্গেট করেছে। এই অন্যায়ের বিচার চাই।”
ঘটনার পরপরই তিনি উল্লাপাড়া মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন, যাতে অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হয়।
তিনি প্রশাসন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্র করে এমন ধরণের বর্বরতা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
নুরুল ইসলাম আনছারী আরো বলেন, এই হামলা শুধু তার ব্যক্তি নিরাপত্তার উপর হামলা নয়,বরং একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কে অস্হুির করার সুপরিকল্পিত অপচেষ্টা। তিনি স্হানীয় প্রশাসন, শিক্ষা দপ্তর, এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও দোষীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করেন।