
রৌমারী উপজেলা থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার উত্তরে ভারত বাংলাদেশ লাগোয়া গ্রামের নাম ছাট কড়াইবাড়ি। এই গ্রামের দিন মজুর মৃতু শফিয়ার রহমানের স্ত্রী বাক ও বধির প্রতিবন্ধী মহিমা খাতুন (৪৫)। প্রতিবন্ধী ভাতায় একমাত্র ভরসা। খাবার জোটেনা ঠিকমত। তাদের সহযোগীতায় একমাত্র ভাতিজা বাবুল হোসেন।
দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের ভারত বাংলাদেশ সীমান্তঘেষা ছাটকড়াই বাড়ি গ্রামে গিয়ে মৃতু শফিয়ারের বড় ভাই আব্দুল বাতেন জানান, বাক ও বধির প্রতিবন্ধী মহিমা গুটলি গ্রামের মৃতু মজত উদ্দিনের মেয়ে। ছাট কড়াইবাড়ি গ্রামে শফিয়ার রহমানের সাথে প্রায় ১৪ বছর আগে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিবাহের ২ বছর যেতেই মমিন বাদশাহ (৭) নামের এক ছেলে সন্তান জন্ম গ্রহন করেন। সংসারে সুখ শান্তি আসতে না আসতেই স্বামী শফিয়ার রহমান হঠাৎ মৃতু বরণ করেন। কপালে শুরু হয় সনির আখড়া। তার নাই কোন জমিজিরাত ও ঘরবাড়ি। অন্যের বাড়িতে বসবাস করে আসছে।
ছাটকড়াইবাড়ি গ্রামটি নিম্ন ও মধ্যবিত্ব পরিবারের বসবাস। আব্দুল বাতেন কষ্টের সাথে বলেন, এই অসহায় প্রতিবন্ধি পরিবারকে তারা যেটুকু করেন, তাদের প্রয়োজনের তুলনায় সেটা নগন্য। তারা সরকারি দপ্তর ও সমাজের বিত্তবানদের এই অসহায় পরিবারটির সহযোগীতায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।