
খুলনা নগরীর সোনাডাঙ্গা এলাকার বহুতল ভবন ‘সুলতান টাওয়ার’-এ অভিযান চালিয়ে বিদেশি অস্ত্র, গুলি ও মাদকসহ এক পেশাদার সন্ত্রাসীকে আটক করেছে যৌথবাহিনী।
শনিবার (১২ জুলাই) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী ও পুলিশের সমন্বয়ে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানে আটক ব্যক্তি হলেন নাজিম উদ্দিন খান ওরফে বেল্লাল (৪২)। তার কাছ থেকে একটি বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র, কয়েক রাউন্ড গুলি এবং মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বহুল আলোচিত এ ভবনটি নির্মাণ করেছেন ঝালকাঠির আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ সুলতান হোসেন খান।
সূত্র জানায়, গত ২৪ জুলাইয়ের অভ্যুত্থানের পর থেকে তিনি আত্মগোপনে রয়েছেন। ভবনটি খুলনার কুখ্যাত এরশাদ শিকদারের বাড়ির পাশে অবস্থিত। সেখানে তিনি গড়ে তুলেছেন ‘সুলতান টাওয়ার’, যার একাংশে পরিচালিত হচ্ছে ‘জেড এন প্যালেস’ নামে একটি বিলাসবহুল আবাসিক হোটেল।
একাধিক সূত্র দাবি করেছে, অভ্যুত্থানের পর ঝালকাঠি, বরিশাল, ফরিদপুর ও মাদারীপুর জেলার পলাতক ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতারা এই ভবনে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
পরে ধীরে ধীরে তারা সুবিধাজনক স্থানে সরে যান। স্থানীয়দের ধারণা, ভবনটি দক্ষিণাঞ্চলে আওয়ামী লীগের একটি গোপন পরিকল্পনা ও সাংগঠনিক তৎপরতার ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ভবনের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করলে বিভিন্ন সময়ের আগমনকারী ব্যক্তিদের পরিচয়সহ গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক তথ্য উঠে আসতে পারে।
এ বিষয়ে ভবনের কেয়ারটেকার মনির হোসেন জানান, “ভবনের দুটি ফ্লোর একজন জাহিদ নামের ব্যক্তিকে হোটেল পরিচালনার জন্য ভাড়া দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে আমার কিছু জানা নেই।”
ভবনের মালিক সুলতান হোসেন খানের আত্মগোপনে থাকা এবং তার ভবন থেকে সন্ত্রাসী ও অস্ত্র উদ্ধার হওয়ায় নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে খুলনার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার স্বচ্ছতা নিয়ে।