০৩:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভূয়া কাবিনের ১২ লাখ টাকা আদায় করতে শশুড়ের দৌড়ঝাঁপ

  • মোঃ নয়ন শেখ
  • পোস্ট হয়েছেঃ ০১:৪০:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫
  • 30
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে সরকারি মেডিকেল অফিসার জামাইকে ফাঁসাতে বিয়ের ২ লাখ টাকার কাবিন গোপন করে  ১২ লাখ টাকার ভূয়া কাবিনের মাধ্যমে  মামলা করায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। শুধু ভূয়া কাবিন করেই ক্ষাম্ত হননি স্ত্রীর পরিবার তারা মেডিকেল অফিসারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ সহ  আপোষের জন্য প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছেন। ঘটনাটি ঘটেছে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর পান্টি ইউনিয়নের পিতম্বরবসী গ্রামে। ভুক্তভোগী কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সাবেক  আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. শরিফুল ইসলাম।
সরেজমিনে গেলে জানা যায়,  কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের (আরএমও) ডা. শরিফুল ইসলাম  ২০২২  সালের জুলাই মাসে পরিবারের লোকজন নিয়ে  পান্টি ইউনিয়নের পিতম্বরবসী গ্রামের মকছেদ আলী মোল্লার মেয়ে শারমিন সুলতানা সোনালীকে দেখতে যান। মেয়ে পছন্দ না হওয়ায় বিয়ে করতে রাজি নাহলে মেয়ের অভিভাবক ও আত্নীয়স্বজন ডা. শরিফুল ও তার পরিবারের উপর চাপ সৃষ্টি করেন। এসময় স্থানীয় নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজী) মো. রহমতুল্লাহ ২ লাখ টাকা দেনমোহর উল্লেখ করে কাবিননামা প্রস্তুত করেন। একপর্যায়ে জোরপূর্বক কবুল করাতে বাধ্য করলেও শরিফুল কাবিনে সই করতে রাজি হননি। এদিকে মেয়ের পরিবার লোভের বশবর্তী হয়ে কাবিনে স্বাক্ষর না করলেও মেয়েকে শরিফুলের হাতে তুলে দেন। এবং বিয়ের ৮ মাসের মাথায় সোনালী অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় বাবার বাড়িতে চলে আসেন এবং সেখানে অবস্থানের পর একটি কন্যা সন্তান ভূমিষ্ট হয়। পরবর্তীতে তিনি  স্বামীর বাড়িতে যেতে রাজি নাহলে দুই পরিবারের অভিভাবক বুঝিয়ে ডাক্তার শরিফুলের তৎকালীন কর্মস্থল ভেড়ামারা নিয়ে যান। এবং দু’মাসের মাথায় সোনালী  পূণরায় বাবার বাড়িতে ফিরে আসেন ও তার স্বামীর নামে ২০২৩ ও ২০২৫ সালে আদালতে ২ টি মামলা করেন। ২০২৫ সালের দেনমোহর ও খোরপোষের  মামলায় ১২ লাখ টাকার কাবিননামা দেখানো হয়। সেখানে ডা. শরিফুল ও সোনালীর বিয়ে দেখানো হয় মিরপুর উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়ন নিকাহ রেজিস্ট্রার নুরুল আমিন টিক্কার অফিস কক্ষে। এছাড়াও ডা. শরিফুলের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় যাকে স্বাক্ষী করা হয়েছে স্বাক্ষী এ নির্যাতনের  বিষয়ে কিছু জানেননা উল্লেখ করেছেন।
এ বিষয়ে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শরিফুল ইসলাম জানান, বিয়ের পর থেকে তাদের স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বনিবনা হয়নি। তার স্ত্রী অত্যন্ত  সন্দেহ প্রবন ও মুখরা  হওয়ায় ক্রমেই দুজনের মধ্যে সম্পর্কের ঘাটতি হতে থাকে। তার স্ত্রী তাকে  সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে বিভিন্ন ধরনের কৌশল অবলম্বন করতেন। তার স্ত্রীর চাচা ও চাচী  ডাক্তার হওয়ার সুবাদে মেডিকেল সার্টিফিকেট নিয়ে তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করা হয়েছে। নির্যাতনের যে সময় উল্লেখ করা হয়েছে তার অনেক আগেই তার স্ত্রী বাবার বাড়িতে চলে যায় এবং ওইদিন তিনি ভেড়ামারা আধুনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী দেখছিলেন তার একাধিক প্রমাণ আছে।  ভূয়া কাবিনের মাধ্যমে তার কাছ ১২ লাখ টাকা আদায়ের উদ্দেশ্য স্ত্রীর পরিবার মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাকে চাকরিচ্যুত করতে মিনিস্ট্রি সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এবং আপোষ করার জন্য বিভিন্ন ভাবে হুমকি দেওয়ায় তিনি ইতিমধ্যে কুমারখালী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন ও ভূয়া কাবিনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন বলে জানান।
বিষয়গুলো জানতে শরিফুল ইসলামের স্ত্রী সোনালীর বাবার বাড়িতে গেলে প্রথমেই সাংবাদিকদের উপর চড়াও হন পরিবারের লোকজন। পরবর্তীতে সোনালী জানান, তাকে নির্যাতন করা হতো যেকারণে মামলা করেছেন। ভূয়া কাবিনের বিষয়টি তিনি কৌশলে এড়িয়ে গেলেও তার বাবা মকছেদ আলী মোল্লা  ২ লাখ দেনমোহর ধার্য্য করে কুমারখালীর পান্টি তার বাড়িতে বিয়ের বিষয়টি স্বীকার করেন।
মিরপুর চিথলিয়া ইউনিয়ন নিকাহ রেজিস্ট্রার নুরুল আমিন টিক্কা জানান, দেনমোহরে যে স্বাক্ষর করা হয়েছে এটা তার নয়। বিয়ে সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেনা। এটা জাল ও ভূয়া কাবিননামা। এ বিষয়ে ইতিমধ্যে বর পক্ষকে একটি প্রত্যয়ন দিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন।
পান্টি ইউনিয়ন নিকাহ রেজিস্ট্রার মো. রহমতুল্লাহ জানান, ২ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য্য করে কুমারখালীর পান্টি ইউনিয়নের  পিতম্বরবসী গ্রামে মেয়ের বাড়িতে বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের দিনে বর কাবিননামায় স্বাক্ষর না করায় এবং পরবর্তিতেও স্বাক্ষর না করলে কাবিননামা বাতিল হয়ে যায়। এ বিষয়ে তিনি প্রত্যয়ন দিয়েছেন বলে জানান।
শিশু ও নারী নির্যাতন দমন আইন মামলার স্বাক্ষী পোড়াদহের মিলন  জানান, সোনালীর ভাই রানার সাথে তার সম্পর্ক আছে। ফোনে রানা তার বোনের বিষয়ে শালিসি বৈঠকে উপস্থিত থাকার প্রয়োজন হতে পারে বলে জানান। কিন্তু তার বোনকে নির্যাতন করা হয়েছে এমন বিষয়ে তিনি কিছুই জানেননা। তাকে না জানিয়েই মামলার স্বাক্ষী করা হয়েছে।
ভেড়ামারা আধুনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কথা বলে জানা যায়, যে তারিখে নির্যাতন দেখানো হয়েছে সেদিন ডা. শরিফুল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী দেখেছেন, রোগীর সিরিয়াল সহ একাধিক প্রমাণ রয়েছে।
স্থানীয় শাহিন ও বিয়ের ঘটক জালাল জানান, কুমারখালীর পান্টি ইউনিয়নের পিতম্বরবসী গ্রামে মেয়ের বাড়িতে বিয়ে হয়। অনুষ্ঠানে তারা উপস্থিত ছিলেন। ২ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে হলেও সেসময় বর কাবিননামায় স্বাক্ষর করেননি। শুধুমাত্র লোভের বশবর্তী হয়ে মেয়ে পক্ষ এভাবে বিয়ে দেন।
পান্টি ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নং ওয়ার্ড  সদস্য আলম শেখ জানান , বিয়ের দিন তিনি ছিলেননা তবে পরবর্তীতে ছেলে ও মেয়ের পরিবারের মধ্যে ঝামেলা সৃষ্টি হলে তিনি কুমারখালীর পান্টি ইউনিয়ন নিকাহ রেজিস্ট্রার এর নিকট  গিয়ে ২ লাখ টাকার কাবিন জানতে পারেন।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

জুলাই আন্দোলনে হত্যাচেষ্টার আসামিকে বাঁচাতে বিএনপির নেতার বাঁধা

ভূয়া কাবিনের ১২ লাখ টাকা আদায় করতে শশুড়ের দৌড়ঝাঁপ

পোস্ট হয়েছেঃ ০১:৪০:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে সরকারি মেডিকেল অফিসার জামাইকে ফাঁসাতে বিয়ের ২ লাখ টাকার কাবিন গোপন করে  ১২ লাখ টাকার ভূয়া কাবিনের মাধ্যমে  মামলা করায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। শুধু ভূয়া কাবিন করেই ক্ষাম্ত হননি স্ত্রীর পরিবার তারা মেডিকেল অফিসারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ সহ  আপোষের জন্য প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছেন। ঘটনাটি ঘটেছে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর পান্টি ইউনিয়নের পিতম্বরবসী গ্রামে। ভুক্তভোগী কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সাবেক  আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. শরিফুল ইসলাম।
সরেজমিনে গেলে জানা যায়,  কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের (আরএমও) ডা. শরিফুল ইসলাম  ২০২২  সালের জুলাই মাসে পরিবারের লোকজন নিয়ে  পান্টি ইউনিয়নের পিতম্বরবসী গ্রামের মকছেদ আলী মোল্লার মেয়ে শারমিন সুলতানা সোনালীকে দেখতে যান। মেয়ে পছন্দ না হওয়ায় বিয়ে করতে রাজি নাহলে মেয়ের অভিভাবক ও আত্নীয়স্বজন ডা. শরিফুল ও তার পরিবারের উপর চাপ সৃষ্টি করেন। এসময় স্থানীয় নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজী) মো. রহমতুল্লাহ ২ লাখ টাকা দেনমোহর উল্লেখ করে কাবিননামা প্রস্তুত করেন। একপর্যায়ে জোরপূর্বক কবুল করাতে বাধ্য করলেও শরিফুল কাবিনে সই করতে রাজি হননি। এদিকে মেয়ের পরিবার লোভের বশবর্তী হয়ে কাবিনে স্বাক্ষর না করলেও মেয়েকে শরিফুলের হাতে তুলে দেন। এবং বিয়ের ৮ মাসের মাথায় সোনালী অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় বাবার বাড়িতে চলে আসেন এবং সেখানে অবস্থানের পর একটি কন্যা সন্তান ভূমিষ্ট হয়। পরবর্তীতে তিনি  স্বামীর বাড়িতে যেতে রাজি নাহলে দুই পরিবারের অভিভাবক বুঝিয়ে ডাক্তার শরিফুলের তৎকালীন কর্মস্থল ভেড়ামারা নিয়ে যান। এবং দু’মাসের মাথায় সোনালী  পূণরায় বাবার বাড়িতে ফিরে আসেন ও তার স্বামীর নামে ২০২৩ ও ২০২৫ সালে আদালতে ২ টি মামলা করেন। ২০২৫ সালের দেনমোহর ও খোরপোষের  মামলায় ১২ লাখ টাকার কাবিননামা দেখানো হয়। সেখানে ডা. শরিফুল ও সোনালীর বিয়ে দেখানো হয় মিরপুর উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়ন নিকাহ রেজিস্ট্রার নুরুল আমিন টিক্কার অফিস কক্ষে। এছাড়াও ডা. শরিফুলের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় যাকে স্বাক্ষী করা হয়েছে স্বাক্ষী এ নির্যাতনের  বিষয়ে কিছু জানেননা উল্লেখ করেছেন।
এ বিষয়ে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শরিফুল ইসলাম জানান, বিয়ের পর থেকে তাদের স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বনিবনা হয়নি। তার স্ত্রী অত্যন্ত  সন্দেহ প্রবন ও মুখরা  হওয়ায় ক্রমেই দুজনের মধ্যে সম্পর্কের ঘাটতি হতে থাকে। তার স্ত্রী তাকে  সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে বিভিন্ন ধরনের কৌশল অবলম্বন করতেন। তার স্ত্রীর চাচা ও চাচী  ডাক্তার হওয়ার সুবাদে মেডিকেল সার্টিফিকেট নিয়ে তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করা হয়েছে। নির্যাতনের যে সময় উল্লেখ করা হয়েছে তার অনেক আগেই তার স্ত্রী বাবার বাড়িতে চলে যায় এবং ওইদিন তিনি ভেড়ামারা আধুনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী দেখছিলেন তার একাধিক প্রমাণ আছে।  ভূয়া কাবিনের মাধ্যমে তার কাছ ১২ লাখ টাকা আদায়ের উদ্দেশ্য স্ত্রীর পরিবার মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাকে চাকরিচ্যুত করতে মিনিস্ট্রি সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এবং আপোষ করার জন্য বিভিন্ন ভাবে হুমকি দেওয়ায় তিনি ইতিমধ্যে কুমারখালী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন ও ভূয়া কাবিনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন বলে জানান।
বিষয়গুলো জানতে শরিফুল ইসলামের স্ত্রী সোনালীর বাবার বাড়িতে গেলে প্রথমেই সাংবাদিকদের উপর চড়াও হন পরিবারের লোকজন। পরবর্তীতে সোনালী জানান, তাকে নির্যাতন করা হতো যেকারণে মামলা করেছেন। ভূয়া কাবিনের বিষয়টি তিনি কৌশলে এড়িয়ে গেলেও তার বাবা মকছেদ আলী মোল্লা  ২ লাখ দেনমোহর ধার্য্য করে কুমারখালীর পান্টি তার বাড়িতে বিয়ের বিষয়টি স্বীকার করেন।
মিরপুর চিথলিয়া ইউনিয়ন নিকাহ রেজিস্ট্রার নুরুল আমিন টিক্কা জানান, দেনমোহরে যে স্বাক্ষর করা হয়েছে এটা তার নয়। বিয়ে সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেনা। এটা জাল ও ভূয়া কাবিননামা। এ বিষয়ে ইতিমধ্যে বর পক্ষকে একটি প্রত্যয়ন দিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন।
পান্টি ইউনিয়ন নিকাহ রেজিস্ট্রার মো. রহমতুল্লাহ জানান, ২ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য্য করে কুমারখালীর পান্টি ইউনিয়নের  পিতম্বরবসী গ্রামে মেয়ের বাড়িতে বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের দিনে বর কাবিননামায় স্বাক্ষর না করায় এবং পরবর্তিতেও স্বাক্ষর না করলে কাবিননামা বাতিল হয়ে যায়। এ বিষয়ে তিনি প্রত্যয়ন দিয়েছেন বলে জানান।
শিশু ও নারী নির্যাতন দমন আইন মামলার স্বাক্ষী পোড়াদহের মিলন  জানান, সোনালীর ভাই রানার সাথে তার সম্পর্ক আছে। ফোনে রানা তার বোনের বিষয়ে শালিসি বৈঠকে উপস্থিত থাকার প্রয়োজন হতে পারে বলে জানান। কিন্তু তার বোনকে নির্যাতন করা হয়েছে এমন বিষয়ে তিনি কিছুই জানেননা। তাকে না জানিয়েই মামলার স্বাক্ষী করা হয়েছে।
ভেড়ামারা আধুনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কথা বলে জানা যায়, যে তারিখে নির্যাতন দেখানো হয়েছে সেদিন ডা. শরিফুল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী দেখেছেন, রোগীর সিরিয়াল সহ একাধিক প্রমাণ রয়েছে।
স্থানীয় শাহিন ও বিয়ের ঘটক জালাল জানান, কুমারখালীর পান্টি ইউনিয়নের পিতম্বরবসী গ্রামে মেয়ের বাড়িতে বিয়ে হয়। অনুষ্ঠানে তারা উপস্থিত ছিলেন। ২ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে হলেও সেসময় বর কাবিননামায় স্বাক্ষর করেননি। শুধুমাত্র লোভের বশবর্তী হয়ে মেয়ে পক্ষ এভাবে বিয়ে দেন।
পান্টি ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নং ওয়ার্ড  সদস্য আলম শেখ জানান , বিয়ের দিন তিনি ছিলেননা তবে পরবর্তীতে ছেলে ও মেয়ের পরিবারের মধ্যে ঝামেলা সৃষ্টি হলে তিনি কুমারখালীর পান্টি ইউনিয়ন নিকাহ রেজিস্ট্রার এর নিকট  গিয়ে ২ লাখ টাকার কাবিন জানতে পারেন।