
মোঃ রকি মিয়া (২২), পিতা মোঃ মাহাবুব, সাং- করিমপাড়া, থানা গাবতলী, জেলাঃ বগুড়া ভিকটিম মোছাঃ মিম আক্তার (১২), পিতা মোঃ মোনারুল ইসলাম, সাং- করিমপাড়া, গাবতলীকে বেস কিছুদিন ধরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে উত্তপ্ত করে আসছিল। এরইমধ্যে গত ১৩ জুন একই পাড়াস্থ তার বান্ধবী মোছাঃ চাঁদনী আক্তার (১২) এর বাসায় রাত্রি যাপনের উদ্দেশ্যে রওনা করিলে ১নং আসামী মোঃ রকি মিয়া (২২) এর বসত বাড়ীর উঠান অতিক্রম করার সময় তাকে একা পেয়ে পিছন থেকে ভিকটিমের মুখ হাত দিয়ে চেপে আসামীর শয়ন কক্ষে নিয়ে মুখ বেধে আটকে রেখে একাধিক বার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ভিকটিম শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে আসামী ভিকটিমকে তার বাড়ীর শয়ন কক্ষের বাহিরে বের করে দেয়। উক্ত ঘটনাটি আশে পাশের লোকজন জেনে গেলে আসামীগণ ভিকটিমের পরিবারকে মামলা না করার জন্য হুমকি এবং চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। পরবর্তীতে ভিকটিমের চাচী বাদী হয়ে বগুড়া জেলার গাবতলী থানায় এজাহার নামীয় ২ জনকে আসামী করে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। বগুড়া গাবতলী মডেল থানার মামলা নং-১৭ তারিখ-১৫/০৬/২০২৫ ইং ধারা-নারী শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৯(১)/৩০।উক্ত মামলার প্রেক্ষিতে র্যাব-১২, সিপিএসসি, বগুড়া আসামীদেরকে দ্রুত গ্রেফতার করতে গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে এবং গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, বগুড়া শহরের মালতীনগর শান্তিবাগ এলাকায় উল্লিখিত ধর্ষণ মামলার এজাহার নামীয় ০১নং পালাতক আসামী মোঃ রকি মিয়া (২২) অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১২, অধিনায়ক মহোদয়ের দিকনির্দেশনায় রবিবার ১৩ জুলাই র্যাব-১২, সিপিএসসি বগুড়া এর একটি চৌকষ আভিযানিক দল বগুড়া জেলার সদর থানাধীন মালতীনগর শান্তিবাগ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উল্লেখিত ধর্ষণ মামলার এজাহার নামীয় ১নং পলাতক আসামী মোঃ রকি মিয়া (২২), পিতাঃ মোঃ মাহাবুব, সাং করিমপাড়া, থানাঃ গাবতলী, গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বগুড়া গাবতলী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।