
অনলাইনে জুয়া খেলার তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের লাঞ্ছিত ও ব্লাক মেইল করার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার বিকাল তিন টার দিকে শিবগঞ্জ উপজেলার দাইপুখুরিয়া ইউনিয়নের গোলাপবাজার এলাকায়। দাইপুখুয়িার ইউনিয়নের গোলাপ বাজারে ব্যাংক এশিয়া অফিসের পাশে জে কে এস আই টি ফার্মে অনলাইনে জুয়া খেলা সহ বিভিন্ন ধরনের অসামাজিক কাজ হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কয়েকজন গণমাধ্যম কর্মী তথ্য সংগ্রহে গিয়ে নিজেদের পরিচয় দিয়ে অনুমতি সাপেক্ষে আই টি রুমে প্রবেশের সময় ব্যাংক এশিয়ার ক্যাশিয়ার মোসা: শারমিন খাতুন তার অফিস থেকে দৌঁড় দিয়ে গিয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের ভিতরে যেতে বাধা দেয় এবং দরজা বন্ধ করে দেয়। এ সময় অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও বিভিন্ন ধরনের হুমকী দেয়। এ সময় তিনি ফোন করে কয়েকজনকে ডেকে জটলা পাকার চেষ্টা করেন। এ সময় প্রতিষ্ঠানের পরিচালকের ভাই ফারুক আহম্মেদ ও কিন্ডার গার্টেনের শিক্ষক দুরুল হক ঘটনা এসে কথা বলেন। এ সময় মোসা: শারমিন খাতুনকে তার অশ্লীল ভাষা ও অসদাচরণ করার জন্য দু:খ প্রকাশ করতে বললেও তিনি দু:খ প্রকাশ করেননি। উল্লেখ্য যে মোসা:শারমিন খাতুনের বিরুদ্ধে নানা কৌশলে সুবিধাভোগীদের টাকা আত্মসাতের একাধিক অভিযোগ আছে বলে কয়েকটি সুত্রে জানা গেছে। তাছাড়া পরবর্তীতে দুরুল ঘটনাটি সমাধানের অজুহাতে একজন গণমাধ্যম কর্মীকে বন্ধু পরিচয় দিযে ফোনে কথা বলার সময় ব্লাক মেইল করার চেষ্টা করেন। এব্যাপারে ব্যাংক এশিয়া,জে কে এস আইটি ফার্ম ও কিন্ডার গার্টেনের পরিচালক আবুল কালাম আজাদের সাথে ফোনে কথা বললে তিনি ওই ঘটনার জন্য দু:খ প্রকাশ করেন এবং মোসা:শারমিন খাতুনের বিরুদ্ধে সময় সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবে বলে জানান। তিনি জানান তিনি ব্যাংক এশিয়ার ক্যাশিয়ার । তার আই টি বিভাগে যাওয়া ঠিক হয়নি। তিনি আরো জানান, আমার তিন প্রতিষ্ঠানে কোন ধরনের অনিয়ম ,দূর্নীতি হয় না। আইটি কেন্দ্রে কোন জুয়া খেলা বা অসামাজিক কাজ হয় না। তবে দুরুল হক গণমাধ্যম কর্মীর সাথে ব্লাক মেইলের চেষ্টা যদি সত্যি হয় তা অবশ্যই দু:খজনক।শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম কিবরিয়া বলেন বিষয়টি জরুরী ভিত্তিতে তদন্ত সাপেপ্রেয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।