
নড়াইলের কালিয়া পৌরসভার কুলশুর গ্রামের জিল্লুর রহমান হত্যা মামলা দায়েরের পর তিন ঘণ্টার মধ্যে এজাহার নামীয় পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে কালিয়া থানা পুলিশ।
শনিবার রাতে উপজেলার হামিদপুর ইউনিয়নের মাধবপাশা ও বাবুপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, বাবুপুর গ্রামের, মৃত কেরামত শেখের ছেলে এজাহার নামীয় আসামি কামরুল শেখ ও খাইরুল শেখ, জালাল শেখের ছেলে রাতুল শেখ, হাবিবুর শেখের ছেলে সাজিদ শেখ ওরফে সজীব শেখ এবং সাঈদ শেখ এর ছেলে আকাশ শেখ।পুলিশ ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, নিহত জিল্লুর রহমান সরদার এর সাথে আসামিদের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত স্থানীয় সামাজিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।
গত ১০ জুলাই শুক্রবার উপজেলার শহীদ এখলাস উদ্দিন আহমেদ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এর মাঠে ফুটবল খেলা কে কেন্দ্র করে পাচকাহুনিয়া এবং বাবুপুর এলাকার লোকজনের মধ্য মারামারি হয়।পরে বিষয়টি মীমাংসা হয়ে যায়। পরবর্তীতে ১১ জুলাই বিকালে উক্ত আসামীগন লাঠি সোটা নিয়ে মাঠে গেলে স্থানীয়রা তাদেরকে তাড়িয়ে দেয়।
এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে কালিয়া পৌরসভার কুলশুর গ্রামের মজিবুর রহমান সরদারের বাড়ির সামনে থেকে জিল্লুর রহমান সরদারকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করেন। আহত জিল্লুর রহমানকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরে জিল্লুর রহমান সরদারকে মৃত ঘোষণা করেন সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক। এ ঘটনায় গতকাল শনিবার রাতে নিহতের ভাই আলী হোসেন সরদার বাদী হয়ে ৩৩ জনের নাম উল্লেখপূর্বক আরো ৮ থেকে ১০ জনকে অজ্ঞাত করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন কালিয়া থানায়। মামলা নং ৩।
এ বিষয়ে কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, গত শুক্রবার স্থানীয় বিরোধ ও একটি ফুটবল খেলা কে কেন্দ্র করে কালিয়া পৌরসভার কুলশুর গ্রামের আবুল হাসেম সর্দারের ছেলে জিল্লুর রহমান সরদার কে কুপিয়ে হত্যা করে আসামিরা।ঘটনায় মামলা দায়েরের পর অভিযান চালিয়ে রাতেই পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের নড়াইল বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে এবং হত্যার মূল উদ্দেশ্য উদঘাটনের জন্য রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন আছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। নড়াইল জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব কাজী এহসানুল কবীর মহোদয়ের নির্দেশনায় অপরাধমুক্ত নড়াইল গড়ার লক্ষ্যে জেলা পুলিশ আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।##