০৮:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১১৪ কোটি টাকা অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগে রাউজানের সাবেক এমপি ফজলে করিমের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনের সাবেক এমপি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার (১৩ জুলাই) দুদকের চট্টগ্রাম সমম্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাটি করেন প্রধান কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মো. নিজাম উদ্দিন। এই মামলায় ১০৮ কোটি ৬৪ লাখ ৮৫ হাজার ৭৯০ টাকা সন্দেহজনক লেনদেন ও ৫ কোটি ৯৪ লাখ ৯২ হাজার ৭৭২ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনেন দুদক।মামলার বিষয়টি  নিশ্চিত করেন দুদক চট্টগ্রাম সমম্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর উপ-পরিচালক সুবেল আহমেদ।
দুদকের মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে ১২টি ব্যাংক হিসাবে ১০৮ কোটি ৬৪ লাখ ৮৫ হাজার ৭৯০ টাকা সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পাওয়া যায়।
এর মধ্যে ৫৪ কোটি ৩৯ লাখ ১৩ হাজার ৭২ টাকা জমা ও ৫৪ কোটি ২৫ লাখ ৭২ হাজার ৭১৮ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। দুর্নীতি ও ঘুষের’ মাধ্যমে অর্জিত সম্পদের অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশে ১২টি ব্যাংক হিসেবে এ অস্বাভাবিক লেনদেন হয়েছে।
এর মাধ্যমে এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী অনিয়ম-দুর্নীতির অনুসন্ধানে তার ২৪ কোটি ৮ লাখ ৩০ হাজার ২৩২ কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়।
আয়কর নথি পর্যালোচনায় দুদক ফজলে করিমের ১৮ কোটি ১৩ লাখ ৩৭ হাজার ৪৬০ টাকার বৈধ ও গ্রহণযোগ্য আয় পেয়েছে। আয়কর দেয়া বৈধ সম্পদের চেয়ে তার অর্জিত সম্পদ ৫ কোটি ৯৪ লাখ ৯২ হাজার ৭৭২ টাকার বেশি পেয়েছে দুদক, যা তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধভাবে অর্জন এবং ভোগদখল করছেন।
ফজলে করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে ২০০৪ সালের দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের ২৭(১) এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪(২) ও ৪(৩) এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১২ সেপ্টেম্বর অবৈধভাবে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার গাজীরবাজার থেকে এবিএম ফজলে করিমকে আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। পরে ১৯ সেপ্টেম্বর বিকেলে তাকে একটি হেলিকপ্টারে করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কারাগার থেকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

হরিপুরে সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে যুবকের মৃত্যু/উভ/ঠাকুরগাঁও

১১৪ কোটি টাকা অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগে রাউজানের সাবেক এমপি ফজলে করিমের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

পোস্ট হয়েছেঃ ০৬:৫৭:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫
চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনের সাবেক এমপি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার (১৩ জুলাই) দুদকের চট্টগ্রাম সমম্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাটি করেন প্রধান কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মো. নিজাম উদ্দিন। এই মামলায় ১০৮ কোটি ৬৪ লাখ ৮৫ হাজার ৭৯০ টাকা সন্দেহজনক লেনদেন ও ৫ কোটি ৯৪ লাখ ৯২ হাজার ৭৭২ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনেন দুদক।মামলার বিষয়টি  নিশ্চিত করেন দুদক চট্টগ্রাম সমম্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর উপ-পরিচালক সুবেল আহমেদ।
দুদকের মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে ১২টি ব্যাংক হিসাবে ১০৮ কোটি ৬৪ লাখ ৮৫ হাজার ৭৯০ টাকা সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পাওয়া যায়।
এর মধ্যে ৫৪ কোটি ৩৯ লাখ ১৩ হাজার ৭২ টাকা জমা ও ৫৪ কোটি ২৫ লাখ ৭২ হাজার ৭১৮ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। দুর্নীতি ও ঘুষের’ মাধ্যমে অর্জিত সম্পদের অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশে ১২টি ব্যাংক হিসেবে এ অস্বাভাবিক লেনদেন হয়েছে।
এর মাধ্যমে এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী অনিয়ম-দুর্নীতির অনুসন্ধানে তার ২৪ কোটি ৮ লাখ ৩০ হাজার ২৩২ কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়।
আয়কর নথি পর্যালোচনায় দুদক ফজলে করিমের ১৮ কোটি ১৩ লাখ ৩৭ হাজার ৪৬০ টাকার বৈধ ও গ্রহণযোগ্য আয় পেয়েছে। আয়কর দেয়া বৈধ সম্পদের চেয়ে তার অর্জিত সম্পদ ৫ কোটি ৯৪ লাখ ৯২ হাজার ৭৭২ টাকার বেশি পেয়েছে দুদক, যা তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধভাবে অর্জন এবং ভোগদখল করছেন।
ফজলে করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে ২০০৪ সালের দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের ২৭(১) এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪(২) ও ৪(৩) এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১২ সেপ্টেম্বর অবৈধভাবে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার গাজীরবাজার থেকে এবিএম ফজলে করিমকে আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। পরে ১৯ সেপ্টেম্বর বিকেলে তাকে একটি হেলিকপ্টারে করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কারাগার থেকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়।