১১:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে ফেসবুকে প্রপাগান্ডা ছড়ানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

  • Md Yunus Ali
  • পোস্ট হয়েছেঃ ১১:২৯:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫
  • 161

খুলনা জেলা বিএনপির সিনিয়ার যুগ্ম আহ্বায়ক মোমরেজুল ইসলামের চরিত্রহনন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) প্রপাগান্ডা ছড়ানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকাল ১১টায় উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কয়রা উপজেলা যুব দলের আহ্বায়ক ও প্রেস ক্লাবের সভাপতি শরিফুল আলম।
লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, খুলনা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোমরেজুল ইসলাম পেশায় একজন আইনজীবী। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন সংগ্রামে তাঁর বলিষ্ঠ ভূমিকা ছিল। এর পাশাপাশি গত ১৬ বছরে স্বৈরাচারী সরকারের দেওয়া সকল মামলা পরিচালনায় স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিঃস্বার্থভাবে সহযোগিতা করে আসছেন। তিনি ছাত্রজীবন থেকেই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। দীর্ঘদিন তিনি কয়রা উপজেলা বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে কখনও কোন দুর্নাম অথবা স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ নেই। আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা-৬ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে তিনি গণসংযোগ করে যাচ্ছেন। তাঁকে নিয়ে এর মধ্যে স্থানীয় নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। ঠিক সেই মুহূর্তে একজন জনপ্রিয় ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবীদের দীর্ঘদিনের অর্জিত সুনাম ক্ষুণ্ন করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে একটি মহল । গত ১২ জুলাই তাঁর বিরুদ্ধে কাল্পনিক ও মনগড়া তথ্য উপস্থাপন করে একটি ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করে তা ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানে কুরুচিপূর্ণ ভাষা ব্যবহার করে যেভাবে তাঁর চরিত্রহননের চেষ্টা করা হয়েছে তাতে বিস্মিত হয়েছেন এলাকার মানুষ।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও জানিয়েছেন, কিছুদিন আগে উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদে জামায়াতে ইসলামির মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন। সেখানে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ও মহারাজপুর ইউপি’র নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন। তার বক্তব্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে সমালোচনা করেন। এর প্রতিবাদে স্থানীয় বিএনপি বিক্ষোভ সমাবেশ করে। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোমরেজুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন। জামায়াতের মতবিনিময় সভায় আওয়ামী লীগগ নেতার বক্তব্য দেওয়া এবং প্রতিবাদ সমাবেশে তাঁর অপসারণ দাবির বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এরপর থেকে স্থানীয় সংবাদকর্মী ও রাজনৈতিক নেতাদের চরিত্রহনন করে ফেসবুকে ভিডিও কন্টেন্ট ছড়িয়ে দেওয়া শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১২ জুলাই ‘প্রতিদিনের খবর’ নামে একটি ফেসবুক আইডিসহ কয়েকটি আইডি থেকে খুলনা জেলা বিএনপির সিনিয়ার যুগ্ম আহ্বায়ক মোমরেজুল ইসলামের নামে কোন তথ্য প্রমাণ ছাড়াই প্রপাগান্ডা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানে প্রতিবেদক ও তথ্য সরবরাহকারী হিসেবে যুবদলের আহ্বায়ক শরিফুল আলমের নাম ব্যবহার করা হয়েছে। যা উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং প্রতিপক্ষের গভীর ষড়যন্ত্র জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, খুলনা জেলা বিএনপির সদস্য এম এ হাসান, বিএনপির নেতা মনজুরুল আলম, রফিকুল ইসলাম, হারুন অর রশিদ, শহীদুল্লাহ শাহীন, আবুল বাশার ডাবলু, গোলাম রসুল, নুর ইসলাম খোকন, নুরুল ইসলাম, ডি এম হেলাল উদ্দীন, মনজুর মোরশেদ, রবিউল ইসলাম, এহসানুর রহমান, আবুল কালাম কাজল, ইউনুস আলী, আরিফ বিল্লাহ সবুজ প্রমুখ।

ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

ঝিনাইদহে টানা বৃষ্টির প্রভাবে বেড়েছে সবজির দাম, কাঁচা মরিচের দাম চড়া

বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে ফেসবুকে প্রপাগান্ডা ছড়ানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

পোস্ট হয়েছেঃ ১১:২৯:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫

খুলনা জেলা বিএনপির সিনিয়ার যুগ্ম আহ্বায়ক মোমরেজুল ইসলামের চরিত্রহনন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) প্রপাগান্ডা ছড়ানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকাল ১১টায় উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কয়রা উপজেলা যুব দলের আহ্বায়ক ও প্রেস ক্লাবের সভাপতি শরিফুল আলম।
লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, খুলনা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোমরেজুল ইসলাম পেশায় একজন আইনজীবী। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন সংগ্রামে তাঁর বলিষ্ঠ ভূমিকা ছিল। এর পাশাপাশি গত ১৬ বছরে স্বৈরাচারী সরকারের দেওয়া সকল মামলা পরিচালনায় স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিঃস্বার্থভাবে সহযোগিতা করে আসছেন। তিনি ছাত্রজীবন থেকেই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। দীর্ঘদিন তিনি কয়রা উপজেলা বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে কখনও কোন দুর্নাম অথবা স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ নেই। আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা-৬ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে তিনি গণসংযোগ করে যাচ্ছেন। তাঁকে নিয়ে এর মধ্যে স্থানীয় নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। ঠিক সেই মুহূর্তে একজন জনপ্রিয় ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবীদের দীর্ঘদিনের অর্জিত সুনাম ক্ষুণ্ন করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে একটি মহল । গত ১২ জুলাই তাঁর বিরুদ্ধে কাল্পনিক ও মনগড়া তথ্য উপস্থাপন করে একটি ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করে তা ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানে কুরুচিপূর্ণ ভাষা ব্যবহার করে যেভাবে তাঁর চরিত্রহননের চেষ্টা করা হয়েছে তাতে বিস্মিত হয়েছেন এলাকার মানুষ।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও জানিয়েছেন, কিছুদিন আগে উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদে জামায়াতে ইসলামির মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন। সেখানে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ও মহারাজপুর ইউপি’র নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন। তার বক্তব্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে সমালোচনা করেন। এর প্রতিবাদে স্থানীয় বিএনপি বিক্ষোভ সমাবেশ করে। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোমরেজুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন। জামায়াতের মতবিনিময় সভায় আওয়ামী লীগগ নেতার বক্তব্য দেওয়া এবং প্রতিবাদ সমাবেশে তাঁর অপসারণ দাবির বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এরপর থেকে স্থানীয় সংবাদকর্মী ও রাজনৈতিক নেতাদের চরিত্রহনন করে ফেসবুকে ভিডিও কন্টেন্ট ছড়িয়ে দেওয়া শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১২ জুলাই ‘প্রতিদিনের খবর’ নামে একটি ফেসবুক আইডিসহ কয়েকটি আইডি থেকে খুলনা জেলা বিএনপির সিনিয়ার যুগ্ম আহ্বায়ক মোমরেজুল ইসলামের নামে কোন তথ্য প্রমাণ ছাড়াই প্রপাগান্ডা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানে প্রতিবেদক ও তথ্য সরবরাহকারী হিসেবে যুবদলের আহ্বায়ক শরিফুল আলমের নাম ব্যবহার করা হয়েছে। যা উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং প্রতিপক্ষের গভীর ষড়যন্ত্র জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, খুলনা জেলা বিএনপির সদস্য এম এ হাসান, বিএনপির নেতা মনজুরুল আলম, রফিকুল ইসলাম, হারুন অর রশিদ, শহীদুল্লাহ শাহীন, আবুল বাশার ডাবলু, গোলাম রসুল, নুর ইসলাম খোকন, নুরুল ইসলাম, ডি এম হেলাল উদ্দীন, মনজুর মোরশেদ, রবিউল ইসলাম, এহসানুর রহমান, আবুল কালাম কাজল, ইউনুস আলী, আরিফ বিল্লাহ সবুজ প্রমুখ।