১০:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভরা মৌসুমেও ইলিশের দেখা নেই

  • নেছার উদ্দিন
  • পোস্ট হয়েছেঃ ১১:২১:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫
  • 25
ভোলার উপকূলের জেলেরা যে সময়টার জন্য মুখিয়ে থাকেন সেই ভরা মৌসুম চললেও তাদের জালে কাঙ্খিত ইলিশের দেখা মিলছে না। মেঘনা-তেতুলিয়া নদীর কোনো পয়েন্টেই ইলিশের আনাগোনা নেই। ফলে তারা হতাশ হয়ে পড়ছেন। অনেকটা নির্জীব সময় পার করছেন। বর্ষার আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে অন্যান্য বছরে জেলেদের যেরকম হাঁকডাক থাকে, এ বছর তেমন হাঁকডাক নেই। কারণ তাদের জালে মিলছে না রূপালি ইলিশের দেখা। ধারদেনা করে নদীতে গেলেও ফিরতে হচ্ছে অনেকটা শূন্য হাতে। নৌকা-ট্রলারের মাঝি-মাল্লারা বাসায় খাওয়ার মত ইলিশও পাচ্ছেন না। বিক্রি তো দূরের কথা।লালমোহনের   হাটবাজারের কয়েকটি বাজার ঘুরেও ইলিশের তেমন দেখা মেলেনি। খুচরা বিক্রতারা জানান, তারা মৎস্য অবতরণকেন্দ্র ও ইলিশ মাছের আড়তগুলোতে যোগাযোগ করেও তেমন ইলিশ মাছ পাচ্ছেন না। যে খুচরা বাজারে এনে বিক্রি করবেন! স্থানীয় জেলেরা জানান, ভারী বৃষ্টিপাত ও নদীতে পানি বাড়লে সাগর থেকে ইলিশ মাছ নদীতে চলে আসে। এ সময় জেলেদের জালে ইলিশ মাছ ধরা পড়ার কথা। এছাড়া গত কয়েকদিনে নদীতে পানি বেড়েছে। ফলে মেঘনা নদীতে পানি এখন থৈ থৈ করছে। তারপরও জেলেদের জালে ইলিশ ধরা পড়ছে না। জেলেদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ়, শ্রাবণ, ভাদ্র ইলিশ মাছের ভরা মৌসুম। নদীতে জাল ফেলে হন্যে হয়ে ঘুরলেও ইলিশ মাছের দেখা মিলছে না। একজন জেলে বলেন, নাব্য সংকট ও অসংখ্য ডুবোচরের কারণে ইলিশ সাগর থেকে নদীতে আসছে না। তিনি আরো বলেন, মাছ শিকারের নিষিদ্ধ সময়ে জেলেরা মাছ আহরণ থেকে দূরে ছিল, তারপরও কেন নদীতে ইলিশের দেখা নেই বুঝতেছি না। তাছাড়া মঙ্গল শিকদার নদীর পাড়ের পুরাতন ব্যবসায়ী আলাউদ্দিন জামাল মিয়ার সাথে আলাপকালে তিনি বলেন আমরা লক্ষ লক্ষ টাকা নদীতে দাদন দেওয়া জেলেরা কোন মাছ না পাওয়াতে আমাদের ব্যবসা  হিমশিম খাচ্ছে  তিনি আরো বলেন, নদীতে ইলিশ মাছ নেই বলেই তো বাড়িতে বসে আছি। তিনি প্রশ্ন রেখে আরও বলেন, এ সময় কি আমাদের বাড়িতে বসে থাকার সময় বাতির খাল মৎস্য ঘাটের আড়তদার এক ব্যবসায়ী  জানান, নদীতে ইলিশের দেখা নেই বললেই চলে, দু’ একটা মাছ কোন কোন ট্রলার-বোট- নৌকা পেলেও তাতে তাদের জ্বালানী খরচ  পোষায় না। মাঝি-মাল্লারা দু’চার টাকা পাওয়া  দূরের কথা। তারা এখন আর নদীতে তেমন যায় না  তাই আমরাও নির্জীব সময় অতিবাহিত করছি  লালমোহন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা কামাল মিয়া বলেন বলেন, সমুদ্রে ইলিশ আছে, বর্তমানে জেলেরা ইলিশ কম পাচ্ছেন। নদীতে পানি কম হওয়ায় তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় নদীতে ইলি আসেনি। এখন যে পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে চলে আসছে। আসা করি সামনের পূর্ণিমাতে ইলিশ উপকূলীয় নদী আসবে। জেলেরা ইলিশ পাবেন ইনশাআল্লাহ ।
ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

হুজরাপুর মডেল একাডেমী প্রাঙ্গণে জলাবদ্ধতা অতি বৃষ্টিতে হাঁটু পানি, ব্যাহত পাঠদান

ভরা মৌসুমেও ইলিশের দেখা নেই

পোস্ট হয়েছেঃ ১১:২১:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫
ভোলার উপকূলের জেলেরা যে সময়টার জন্য মুখিয়ে থাকেন সেই ভরা মৌসুম চললেও তাদের জালে কাঙ্খিত ইলিশের দেখা মিলছে না। মেঘনা-তেতুলিয়া নদীর কোনো পয়েন্টেই ইলিশের আনাগোনা নেই। ফলে তারা হতাশ হয়ে পড়ছেন। অনেকটা নির্জীব সময় পার করছেন। বর্ষার আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে অন্যান্য বছরে জেলেদের যেরকম হাঁকডাক থাকে, এ বছর তেমন হাঁকডাক নেই। কারণ তাদের জালে মিলছে না রূপালি ইলিশের দেখা। ধারদেনা করে নদীতে গেলেও ফিরতে হচ্ছে অনেকটা শূন্য হাতে। নৌকা-ট্রলারের মাঝি-মাল্লারা বাসায় খাওয়ার মত ইলিশও পাচ্ছেন না। বিক্রি তো দূরের কথা।লালমোহনের   হাটবাজারের কয়েকটি বাজার ঘুরেও ইলিশের তেমন দেখা মেলেনি। খুচরা বিক্রতারা জানান, তারা মৎস্য অবতরণকেন্দ্র ও ইলিশ মাছের আড়তগুলোতে যোগাযোগ করেও তেমন ইলিশ মাছ পাচ্ছেন না। যে খুচরা বাজারে এনে বিক্রি করবেন! স্থানীয় জেলেরা জানান, ভারী বৃষ্টিপাত ও নদীতে পানি বাড়লে সাগর থেকে ইলিশ মাছ নদীতে চলে আসে। এ সময় জেলেদের জালে ইলিশ মাছ ধরা পড়ার কথা। এছাড়া গত কয়েকদিনে নদীতে পানি বেড়েছে। ফলে মেঘনা নদীতে পানি এখন থৈ থৈ করছে। তারপরও জেলেদের জালে ইলিশ ধরা পড়ছে না। জেলেদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ়, শ্রাবণ, ভাদ্র ইলিশ মাছের ভরা মৌসুম। নদীতে জাল ফেলে হন্যে হয়ে ঘুরলেও ইলিশ মাছের দেখা মিলছে না। একজন জেলে বলেন, নাব্য সংকট ও অসংখ্য ডুবোচরের কারণে ইলিশ সাগর থেকে নদীতে আসছে না। তিনি আরো বলেন, মাছ শিকারের নিষিদ্ধ সময়ে জেলেরা মাছ আহরণ থেকে দূরে ছিল, তারপরও কেন নদীতে ইলিশের দেখা নেই বুঝতেছি না। তাছাড়া মঙ্গল শিকদার নদীর পাড়ের পুরাতন ব্যবসায়ী আলাউদ্দিন জামাল মিয়ার সাথে আলাপকালে তিনি বলেন আমরা লক্ষ লক্ষ টাকা নদীতে দাদন দেওয়া জেলেরা কোন মাছ না পাওয়াতে আমাদের ব্যবসা  হিমশিম খাচ্ছে  তিনি আরো বলেন, নদীতে ইলিশ মাছ নেই বলেই তো বাড়িতে বসে আছি। তিনি প্রশ্ন রেখে আরও বলেন, এ সময় কি আমাদের বাড়িতে বসে থাকার সময় বাতির খাল মৎস্য ঘাটের আড়তদার এক ব্যবসায়ী  জানান, নদীতে ইলিশের দেখা নেই বললেই চলে, দু’ একটা মাছ কোন কোন ট্রলার-বোট- নৌকা পেলেও তাতে তাদের জ্বালানী খরচ  পোষায় না। মাঝি-মাল্লারা দু’চার টাকা পাওয়া  দূরের কথা। তারা এখন আর নদীতে তেমন যায় না  তাই আমরাও নির্জীব সময় অতিবাহিত করছি  লালমোহন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা কামাল মিয়া বলেন বলেন, সমুদ্রে ইলিশ আছে, বর্তমানে জেলেরা ইলিশ কম পাচ্ছেন। নদীতে পানি কম হওয়ায় তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় নদীতে ইলি আসেনি। এখন যে পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে চলে আসছে। আসা করি সামনের পূর্ণিমাতে ইলিশ উপকূলীয় নদী আসবে। জেলেরা ইলিশ পাবেন ইনশাআল্লাহ ।