০৬:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভোলায় জলবায়ু-সহনশীলতা ও এনডিসি ৩.০ নিয়ে সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত তরুণদের মতামতের ভিত্তিতে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান

  • মোঃমাকসুদ আলম
  • পোস্ট হয়েছেঃ ০৫:৫৩:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫
  • 21

Oplus_131072

ভোলায় জলবায়ু পরিবর্তন, এনডিসি (জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অবদান) এবং কিশোর-তরুণদের অংশগ্রহণে এনডিসি ৩.০ বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৩ জুলাই) ভোলা সদর হাসপাতাল মিলনায়তনে জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে এবং ইউনিসেফ বাংলাদেশের সহযোগিতায় এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ভোলা জেলা তথ্য অফিসার শাহ আব্দুর রহিম নুরন্নবীর সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. তোতা মিয়া, ইউনিসেফের বরিশাল বিভাগীয় চীফ আনোয়ার হোসেন, সোশ্যাল অ্যান্ড বিহেভিয়ার চেঞ্জ অফিসার সনজিত কুমার দাস, নিউট্রিশন অফিসার রমা শাহা, সুশীলনের ডেপুটি ডিরেক্টর শিরীনা আক্তার এবং প্রজেক্ট অফিসার পলাশ মোড়ল।এছাড়াও ইউনিসেফের যুব প্রতিনিধি আমানুল্লাহ পরাগসহ জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত ২৫ জন কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরুণী সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন।বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন একটি বৈশ্বিক সংকট হলেও বাংলাদেশ এর অন্যতম নির্মম শিকার। জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনায় চরম উষ্ণতা, অনিয়মিত বৃষ্টিপাত, নদীভাঙন, খরা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস এবং লবণাক্ততা বৃদ্ধিসহ ১৪টি প্রধান ঝুঁকি চিহ্নিত করা হয়েছে।সেমিনারে আলোচনায় উঠে আসে, কীভাবে এনডিসি ৩.০ এর মাধ্যমে বাংলাদেশ গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমণ কমিয়ে আনতে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং কিশোর-তরুণদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে এই কার্যক্রম আরও কার্যকর করা যায়।বিশ্ব নেতৃত্বের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বক্তারা বলেন, কার্বন নিঃসরণ হ্রাস, অধিক বনায়ন, উপকূলীয় এলাকায় জলবায়ুসহনশীল কৃষি সম্প্রসারণ ও স্থানীয় পর্যায়ে বরাদ্দ বৃদ্ধির মাধ্যমে এই সংকট মোকাবেলা করা জরুরি।এছাড়াও সেমিনারে এনডিসি, প্যারিস চুক্তি, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং তা বাংলাদেশের শিশু ও তরুণদের জীবনে কীভাবে প্রভাব ফেলে—সেসব বিষয়েও সচেতনতামূলক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে শিশুশ্রম নিরসনের বেশি প্রাধান্য দিবে -মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

ভোলায় জলবায়ু-সহনশীলতা ও এনডিসি ৩.০ নিয়ে সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত তরুণদের মতামতের ভিত্তিতে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান

পোস্ট হয়েছেঃ ০৫:৫৩:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫

ভোলায় জলবায়ু পরিবর্তন, এনডিসি (জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অবদান) এবং কিশোর-তরুণদের অংশগ্রহণে এনডিসি ৩.০ বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৩ জুলাই) ভোলা সদর হাসপাতাল মিলনায়তনে জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে এবং ইউনিসেফ বাংলাদেশের সহযোগিতায় এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ভোলা জেলা তথ্য অফিসার শাহ আব্দুর রহিম নুরন্নবীর সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. তোতা মিয়া, ইউনিসেফের বরিশাল বিভাগীয় চীফ আনোয়ার হোসেন, সোশ্যাল অ্যান্ড বিহেভিয়ার চেঞ্জ অফিসার সনজিত কুমার দাস, নিউট্রিশন অফিসার রমা শাহা, সুশীলনের ডেপুটি ডিরেক্টর শিরীনা আক্তার এবং প্রজেক্ট অফিসার পলাশ মোড়ল।এছাড়াও ইউনিসেফের যুব প্রতিনিধি আমানুল্লাহ পরাগসহ জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত ২৫ জন কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরুণী সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন।বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন একটি বৈশ্বিক সংকট হলেও বাংলাদেশ এর অন্যতম নির্মম শিকার। জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনায় চরম উষ্ণতা, অনিয়মিত বৃষ্টিপাত, নদীভাঙন, খরা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস এবং লবণাক্ততা বৃদ্ধিসহ ১৪টি প্রধান ঝুঁকি চিহ্নিত করা হয়েছে।সেমিনারে আলোচনায় উঠে আসে, কীভাবে এনডিসি ৩.০ এর মাধ্যমে বাংলাদেশ গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমণ কমিয়ে আনতে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং কিশোর-তরুণদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে এই কার্যক্রম আরও কার্যকর করা যায়।বিশ্ব নেতৃত্বের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বক্তারা বলেন, কার্বন নিঃসরণ হ্রাস, অধিক বনায়ন, উপকূলীয় এলাকায় জলবায়ুসহনশীল কৃষি সম্প্রসারণ ও স্থানীয় পর্যায়ে বরাদ্দ বৃদ্ধির মাধ্যমে এই সংকট মোকাবেলা করা জরুরি।এছাড়াও সেমিনারে এনডিসি, প্যারিস চুক্তি, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং তা বাংলাদেশের শিশু ও তরুণদের জীবনে কীভাবে প্রভাব ফেলে—সেসব বিষয়েও সচেতনতামূলক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।