০৬:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাগমারায় জাহেলিয়া যুগীয় কায়দায়এক ভ্যানচালককে নির্যাতনের অভিযোগ

বাগমারা রাজশাহীর বাগমারায় গাছে বেধে মধ্যযুগীয় কায়দায় ভ্যানচালককে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার নরদাশ ইউনিয়নের মাধনগর গ্রামে। বুধবার (২৩ জুলাই) বেলা দুই’টার দিকে ভ্যান চালক সেচ সংক্রান্ত পাওনা টাকা চাইতে গেলে নির্যাতনের শিকার হন। নির্যাতিত ব্যক্তি মজিবুর রহমান। তিনি একই ইউনিয়নের বাসুদেবপাড়া গ্রাসের বাসীন্দা। অভিযুক্ত (নির্যাতনকারী) ব্যক্তিরা হলেন, মাধনগর গ্রামের আবুল কালাম (ছোট কালাম), আফসার আলী, নাদের আলী, বাসুদেবপাড়া গ্রামের পিয়ারবক্স।
সূত্র জানায়, জোঁকা বিলে মৎস্য চাষ প্রকল্প রয়েছে। প্রকল্পের লোকজন যাবতীয় সেচ কাজের বিল পরিশোধ করেন। কিন্তু তাঁরা সেচ কাজের টাকা বকেয়া রাখেন। গভীর নলকূপের ড্রাইভার ভিকটিম মজিবুর রহমান পাওনা টাকা চাইলে তাঁকে গাছের সাথে রশি দিয়ে বেধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন চালানো হয়। স্থানীয়রা ট্রিপল নাইনে ফোন করলে পুলিশ ভিকটিম মজিবুর রহমানকে ভ্যান সহ উদ্ধার করেন। স্থানীয় এক যুবক বাগমারা হেল্পলাইনে গাছে বেধে রাখা ছবি ট্যাগ করে সহযোগিতা চান।
উল্লেখ্য জোঁকা বিলে মাছ চাষকে কেন্দ্র করে পূর্বে হামলা, পাল্টা-হামলার ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা আরও জানিয়েছে, এ বিল নিয়ে একাধিক খুনের ঘটনা ও ঘটেছে। বিকেল ৫.৪৩ মিনিটে অভিযুক্ত আবুল কালামের ব্যক্তিগত মুঠোফোনে কল দিলে সেটি বন্ধ পাওয়া গেছে। কয়েক মিনিট পর আবার ফোন দিলে ফোন রিসিভ করেননি। বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলামের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, জালসহ মুজিবুর রহমানকে মৎস্য চাষ প্রকল্পের লোকজন আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। তিনি এখন কোথায় এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, তাঁরা অভিযোগ না করায় তাকে স্থানীয়দের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে শিশুশ্রম নিরসনের বেশি প্রাধান্য দিবে -মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

বাগমারায় জাহেলিয়া যুগীয় কায়দায়এক ভ্যানচালককে নির্যাতনের অভিযোগ

পোস্ট হয়েছেঃ ০৫:৫৮:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫

বাগমারা রাজশাহীর বাগমারায় গাছে বেধে মধ্যযুগীয় কায়দায় ভ্যানচালককে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার নরদাশ ইউনিয়নের মাধনগর গ্রামে। বুধবার (২৩ জুলাই) বেলা দুই’টার দিকে ভ্যান চালক সেচ সংক্রান্ত পাওনা টাকা চাইতে গেলে নির্যাতনের শিকার হন। নির্যাতিত ব্যক্তি মজিবুর রহমান। তিনি একই ইউনিয়নের বাসুদেবপাড়া গ্রাসের বাসীন্দা। অভিযুক্ত (নির্যাতনকারী) ব্যক্তিরা হলেন, মাধনগর গ্রামের আবুল কালাম (ছোট কালাম), আফসার আলী, নাদের আলী, বাসুদেবপাড়া গ্রামের পিয়ারবক্স।
সূত্র জানায়, জোঁকা বিলে মৎস্য চাষ প্রকল্প রয়েছে। প্রকল্পের লোকজন যাবতীয় সেচ কাজের বিল পরিশোধ করেন। কিন্তু তাঁরা সেচ কাজের টাকা বকেয়া রাখেন। গভীর নলকূপের ড্রাইভার ভিকটিম মজিবুর রহমান পাওনা টাকা চাইলে তাঁকে গাছের সাথে রশি দিয়ে বেধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন চালানো হয়। স্থানীয়রা ট্রিপল নাইনে ফোন করলে পুলিশ ভিকটিম মজিবুর রহমানকে ভ্যান সহ উদ্ধার করেন। স্থানীয় এক যুবক বাগমারা হেল্পলাইনে গাছে বেধে রাখা ছবি ট্যাগ করে সহযোগিতা চান।
উল্লেখ্য জোঁকা বিলে মাছ চাষকে কেন্দ্র করে পূর্বে হামলা, পাল্টা-হামলার ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা আরও জানিয়েছে, এ বিল নিয়ে একাধিক খুনের ঘটনা ও ঘটেছে। বিকেল ৫.৪৩ মিনিটে অভিযুক্ত আবুল কালামের ব্যক্তিগত মুঠোফোনে কল দিলে সেটি বন্ধ পাওয়া গেছে। কয়েক মিনিট পর আবার ফোন দিলে ফোন রিসিভ করেননি। বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলামের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, জালসহ মুজিবুর রহমানকে মৎস্য চাষ প্রকল্পের লোকজন আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। তিনি এখন কোথায় এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, তাঁরা অভিযোগ না করায় তাকে স্থানীয়দের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে।