০২:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে গিয়ে যুবদল নেতার মৃত্যু, হত্যার অভিযোগ

বাগেরহাটে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের মারপিটে সোহাগ সরদার (২৭) নামের এক যুবদল নেতার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার (২৩ জুলাই) রাতে গুরুত্বর আহত অবস্থায় বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সোহাগকে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে সোহাগের মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্তের জন্য সোহাগের মরদেহ বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে রয়েছে।
নিহত সোহাগ চিতলমারি উপজেলার সন্তোষপুর গ্রামের আবেদ আলী সরদারের ছেলে। তিনি সন্তোষপুর ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য ছিলেন। বছর দেড়েক আগে পারিবারিকভাবে সদর উপজেলার আদিখালি গ্রামের দীলু মাঝির মেয়ে সোনিয়া আক্তারকে বিয়ে করেন তিনি।
নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানাযায়, নিহত সোহাগ বুধবার শ্বশুর বাড়িতে ছিলেন। সোহাগকে বেধড়ক মারপিট করে, মুখে বিষ দিয়ে হাসপাতালে নিয়ে আসেন শ্বশুর বাড়ির লোকজন। ঘটনার পর থেকে সোহাগের স্ত্রী সোনিয়া আক্তার, শ্বশুর দিলু মাঝিসহ ওই পরিবারের সবাই গা ঢাকা দিয়েছেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে মারধরের সাথে জড়িত সন্দেহে রজো পাইক নামের একজনকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছে নিহতের স্বজনরা। সে এখন পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। সোহাগের স্ত্রী সোনিয়া আক্তারের মায়ের সাথে মুঠোফোনে রজোর যোগাযোগের প্রমান পেয়েছে পুলিশ। রজো পাইক আদিখালি গ্রামের ইনছান পাইকের ছেলে।
নিহত সোহাগের বোন রেখা বেগম বলেন, বিয়ের পর থেকে স্ত্রীর সাথে সোহাগের মনোমালিন্য  ছিল । যার ফলে সোহাগ তার স্ত্রীকে নিয়ে চিতলমারীতে ভাড়া বাসায় থাকতেন। এর আগেও সোহাগের স্ত্রী ও তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন সোহাগকে মারধর করেছে, হাসপাতালেও ভর্তি করা লেগেছে। আর গতকাল একেবারে আমার ভাইকে মেরে ফেলল। আমরা আমার ভাই হত্যার বিচার চাই।
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ-উল-হাসান বলেন, নিহতের পরিবার লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। একজনকে জিজ্হাসাবাদের জন্য হেফাজনে নেওয়া হয়েছে।

ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

ভেঙে যাওয়া সাঁকো নির্মাণ করলো আনন্দপুর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামী

শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে গিয়ে যুবদল নেতার মৃত্যু, হত্যার অভিযোগ

পোস্ট হয়েছেঃ ১১:২৮:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫

বাগেরহাটে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের মারপিটে সোহাগ সরদার (২৭) নামের এক যুবদল নেতার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার (২৩ জুলাই) রাতে গুরুত্বর আহত অবস্থায় বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সোহাগকে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে সোহাগের মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্তের জন্য সোহাগের মরদেহ বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে রয়েছে।
নিহত সোহাগ চিতলমারি উপজেলার সন্তোষপুর গ্রামের আবেদ আলী সরদারের ছেলে। তিনি সন্তোষপুর ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য ছিলেন। বছর দেড়েক আগে পারিবারিকভাবে সদর উপজেলার আদিখালি গ্রামের দীলু মাঝির মেয়ে সোনিয়া আক্তারকে বিয়ে করেন তিনি।
নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানাযায়, নিহত সোহাগ বুধবার শ্বশুর বাড়িতে ছিলেন। সোহাগকে বেধড়ক মারপিট করে, মুখে বিষ দিয়ে হাসপাতালে নিয়ে আসেন শ্বশুর বাড়ির লোকজন। ঘটনার পর থেকে সোহাগের স্ত্রী সোনিয়া আক্তার, শ্বশুর দিলু মাঝিসহ ওই পরিবারের সবাই গা ঢাকা দিয়েছেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে মারধরের সাথে জড়িত সন্দেহে রজো পাইক নামের একজনকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছে নিহতের স্বজনরা। সে এখন পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। সোহাগের স্ত্রী সোনিয়া আক্তারের মায়ের সাথে মুঠোফোনে রজোর যোগাযোগের প্রমান পেয়েছে পুলিশ। রজো পাইক আদিখালি গ্রামের ইনছান পাইকের ছেলে।
নিহত সোহাগের বোন রেখা বেগম বলেন, বিয়ের পর থেকে স্ত্রীর সাথে সোহাগের মনোমালিন্য  ছিল । যার ফলে সোহাগ তার স্ত্রীকে নিয়ে চিতলমারীতে ভাড়া বাসায় থাকতেন। এর আগেও সোহাগের স্ত্রী ও তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন সোহাগকে মারধর করেছে, হাসপাতালেও ভর্তি করা লেগেছে। আর গতকাল একেবারে আমার ভাইকে মেরে ফেলল। আমরা আমার ভাই হত্যার বিচার চাই।
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ-উল-হাসান বলেন, নিহতের পরিবার লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। একজনকে জিজ্হাসাবাদের জন্য হেফাজনে নেওয়া হয়েছে।