০৫:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০১ অগাস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বকশীগঞ্জ থানার ব্যতিক্রমী উদ্যোগ, হারানো ও চুরি হওয়া মোবাইল ফোন ফেরত পেলেন ১৫ জন মালিক

জামালপুরের বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করে হারানো ও চুরি যাওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধার করে তা প্রকৃত মালিকদের হাতে ফিরিয়ে দিয়ে মানবিকতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দুপুরে থানা প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে উদ্ধার হওয়া ২০টি মোবাইল ফোনের মধ্যে ১৫টি ফোন প্রকৃত মালিকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। বাকি ৫টি ফোন যথাযথ প্রমাণের ভিত্তিতে পরবর্তীতে মালিকদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার শাকের আহাম্মেদ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেওয়ানগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম। তিনি উদ্ধারকৃত মোবাইলগুলো মালিকদের হাতে তুলে দেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম বলেন, জনগণের আস্থা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই পুলিশের প্রধান লক্ষ্য। এই উদ্যোগ সেই দায়িত্ব পালনেরই অংশ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি নাগরিকদের হারানো সম্পদ উদ্ধার করে ফিরিয়ে দেওয়ার কাজ অব্যাহত থাকবে।

ওসি খন্দকার শাকের আহাম্মেদ বলেন, প্রযুক্তির সহায়তা ও আমাদের টিমের সম্মিলিত চেষ্টায় মোবাইল ফোনগুলো উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। সাধারণ মানুষের মুখে হাসি ফিরিয়ে আনতে পারাই আমাদের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। ভবিষ্যতেও এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

ফোন ফিরে পেয়ে ভুক্তভোগীরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বকশীগঞ্জ থানা পুলিশের প্রতি। তাদের চোখেমুখে ছিল স্বস্তি ও আনন্দের ছাপ। স্থানীয়রা মনে করছেন, এই ধরণের উদ্যোগ সাধারণ মানুষের মধ্যে পুলিশের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস আরও সুদৃঢ় করবে।

ট্যাগঃ
প্রতিনিধির তথ্য

জনপ্রিয় পোস্ট

কোথায় লড়বেন তারেক রহমান? বগুড়া, ঢাকা না সিলেট—ভোটের গুঞ্জন তুঙ্গে

বকশীগঞ্জ থানার ব্যতিক্রমী উদ্যোগ, হারানো ও চুরি হওয়া মোবাইল ফোন ফেরত পেলেন ১৫ জন মালিক

পোস্ট হয়েছেঃ ১১:৪২:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫

জামালপুরের বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করে হারানো ও চুরি যাওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধার করে তা প্রকৃত মালিকদের হাতে ফিরিয়ে দিয়ে মানবিকতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দুপুরে থানা প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে উদ্ধার হওয়া ২০টি মোবাইল ফোনের মধ্যে ১৫টি ফোন প্রকৃত মালিকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। বাকি ৫টি ফোন যথাযথ প্রমাণের ভিত্তিতে পরবর্তীতে মালিকদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার শাকের আহাম্মেদ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেওয়ানগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম। তিনি উদ্ধারকৃত মোবাইলগুলো মালিকদের হাতে তুলে দেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম বলেন, জনগণের আস্থা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই পুলিশের প্রধান লক্ষ্য। এই উদ্যোগ সেই দায়িত্ব পালনেরই অংশ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি নাগরিকদের হারানো সম্পদ উদ্ধার করে ফিরিয়ে দেওয়ার কাজ অব্যাহত থাকবে।

ওসি খন্দকার শাকের আহাম্মেদ বলেন, প্রযুক্তির সহায়তা ও আমাদের টিমের সম্মিলিত চেষ্টায় মোবাইল ফোনগুলো উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। সাধারণ মানুষের মুখে হাসি ফিরিয়ে আনতে পারাই আমাদের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। ভবিষ্যতেও এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

ফোন ফিরে পেয়ে ভুক্তভোগীরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বকশীগঞ্জ থানা পুলিশের প্রতি। তাদের চোখেমুখে ছিল স্বস্তি ও আনন্দের ছাপ। স্থানীয়রা মনে করছেন, এই ধরণের উদ্যোগ সাধারণ মানুষের মধ্যে পুলিশের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস আরও সুদৃঢ় করবে।